বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছিরাস্তায় দেখে লোকটাকে চেনা চেনা লাগছে। কোথায় যেন দেখেছেন, ঠিক মনে পড়ছে না। আবার অনেক সময় একজনকে আপনি চেনেন। কিন্তু নামটা ‘পেটে আসছে তো মুখে আসছে না’। কী যেন আনতে ফ্রিজটা খুললেন, খোলার পর বেমালুম ভুলে গেলেন। এমন সব পরিস্থিতিতে আমাদের অনেককেই প্রায়ই পড়তে হয়। ‘কি ফর সাকসেস’ অনুসারে জেনে নেওয়া যাক, যে পাঁচ উপায়ে বাড়াবেন স্মৃতিশক্তি।
স্মৃতিশক্তি নষ্টের বড় কারণ হল, মানসিক স্ট্রেস। এটি যেমন সাময়িক স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে তেমনই অত্যাধিক স্ট্রেস দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতিশক্তিও নষ্ট করে। মনকে এর থেকে দূরে রাখতে বই পড়ুন, গান শুনুন বা নিজের ভাল লাগা কিছু কাজ করুন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে বা বেশি স্ট্রেস অনুভব করলে শান্ত হয়ে বসে চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস গ্রহণ করুন। এতে, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং মস্তিষ্ককে সচল রাখে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায়
স্মৃতিশক্তিই মানুষের বড় সম্বল। এই শক্তি ছাড়া মানুষ জড় পদার্থের সমান। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। বর্তমানে অল্প বয়সীদের মধ্যেও এর প্রভাব পড়ছে। কেউ বলে, ‘এত পড়ি তবু মনে থাকেনা’, আবার অনেকের মতে, ‘আমার বুদ্ধি কম তাই ভাল ফল হয়নি’। এর কারণ কিন্তু স্মরনশক্তি কম হওয়া।
পর্যাপ্ত ঘুম: রাতে যদি ঘুম কম হয়, তবে তা বার্ধক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে মস্তিষ্কে বাধার সৃষ্টি করে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি। ঘুম না হলে মস্তিষ্ক প্রায় সাত বছর বেশি বুড়িয়ে যেতে পারে।
ঠাণ্ডা ঘর: গরমের চেয়ে ঠাণ্ডায় স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ তিন গুণ বেশি থাকে। এছাড়া ঠাণ্ডা ঘর মাথাকেও ঠাণ্ডা রাখে। তাই ঘরের তাপমাত্রা কখনো ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রাখা ঠিক নয়।
পায়ের আঙুলের ম্যাসাজ: প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে পায়ের আঙুল ম্যাসাজ করুন৷ প্রথমে আঙুলের ওপর থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে টিপে টিপে নীচের দিকে যান। এই ম্যাসাজ মস্তিষ্কের কোষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।
মস্তিষ্কের খাবার: আখরোটের ‘পলিফেনল’ ব্রেনের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে দেয়৷ তাছাড়াও সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, পালং শাক, ডার্ক চকলেট, গ্রিন টি, অলিভ অয়েল, শাক-সবজি ইত্যাদি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই জরুরি।
হাঁটাহাঁটি: নিয়মিত হাঁটাচলা বা জগিং শরীরকে ভালো রাখার সঙ্গে সঙ্গে ব্রেনকেও সুস্থ রাখে। সপ্তাহে দু-তিন দিন অন্তত ২০ মিনিট করে হাঁটলে বা জগিং করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
প্রতিদিনের অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসুন: মস্তিষ্ক যেন নির্জীব হয়ে না যায়, সে জন্য ব্রেনকে সব সময় নতুন কিছু শিখতে দিতে হয়। তাই প্রতিদিনের রুটিন ভেঙে নতুন নতুন কাজ করার চেষ্টা করুন।
পায়ের আঙুলের ম্যাসাজ: প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে পায়ের আঙুলে ম্যাসাজ করুন। প্রথমে আঙুলের ওপর থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে টিপে টিপে নিচের দিকে যান। এই ম্যাসাজ মস্তিষ্কের কোষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে।
মস্তিষ্কের খাবার: আখরোটের ‘পলিফেনলস’ ব্রেনের স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়াও সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, পালংশাক, ডার্ক চকলেট, গ্রিন-টি, অলিভ অয়েল, শাকসবজি ইত্যাদি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যরক্ষায় খুবই জরুরি।
গান শুনুন: গান শোনার সময় যদি কারো মস্তিষ্কের ছবি তোলা যায়, তাহলে দেখা যাবে পুরো মস্তিষ্ক সুরের প্রভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মস্তিষ্ক সংগীতের স্মৃতি দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারে। এটা স্মৃতিভ্রংশের মতো মানসিক অবস্থা ঠেকাতে বেশ কার্যকর। তাই মাঝেমধ্যে গান শোনা যেতেই পারে।