Native Banner
হ্যালো ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আজকে এই পোস্টে আপনাদের সামনে হাজির হাজির হয়েছি স্বাধীনতা দিবসের সকল অজানা তথ্য নিয়ে আমরা সবাই বাংলাদেশি ।1971 সালে 26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়ে থাকে 26 শে মার্চ হাজার 971 সালে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি দেশের নামের অন্তর্ভুক্তি ঘটে বাংলাদেশ স্বাধীনতা দিবস এ দিনটিকে ঘিরে রচিত হয়েছে। প্রিয় ভিউয়ার্স আর কথা না বাড়িয়ে স্বাধীনতা দিবসের সকল অজানা তথ্য জানার জন্য আজকে আমাদের এই পোস্টটি ভাল করে পড়ুন এবং আমাদের নিয়মিত ওয়েব সাইটটি ভিজিট করুন।
1.ভূমিকা
2.ঐতিহাসিক ভাষণ
3.পটভূমি
4.স্বাধীনতা যুদ্ধের বিবরণ
5.স্বাধীনতা অর্জন
6.সংকট ময় দিন
7.স্বাধীনতা অর্জন
8.উপসংহার
আজ থেকে ৫০ বছর আগে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতি এই কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম লাভ করে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্র।
ভূমিকা:
স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনের অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ স্মরণীয় একটি দিন 1971 সালের 26 শে মার্চ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেশের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম হাজার 970 সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও পাকিস্তানের সামরিক সরকার তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে গরি মসি করে তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল তীব্র আন্দোলন ।এ আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামের রূপ নেয় ।এরপর পাকিস্তান সরকার কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করে। এবং 71 সালের 25 শে মার্চ মধ্যরাতে এদেশের নিরীহ বাঙালি ছাত্র জনতার উপর নানারকম হত্যাযজ্ঞ চালায় ।এতে অনেক মানুষ প্রাণ হারায় সে সময় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় ।এ পরিস্থিতিতে দেশের অবস্থান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাংলাদেশের সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন। এভাবেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ।তার এই রূপ ধরে প্রতিবছর 26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
ঐতিহাসিক ভাষণ:
1971 সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 7 ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা লাভের জন্য একটা হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। এই ভাষণের কারণে হাজার হাজার জনতা একত্রিত হয় এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এবং বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে যার ফলে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন হিসেবে বাংলার মানচিত্র স্থান লাভ করে। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু যখন বলেছিল এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম এই ঘোষণার ফলে হাজার হাজার জনতা নিজের অধিকার আদায়ের জন্য নিজের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ।এবং অনেক রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সক্ষম হয়।
পটভূমি:
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর 1948 সালে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরেই স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করা হয়। রাষ্ট্রের উদ্যোগে রোধ করার জন্য গঠিত হয়। সর্বদলীয় ভাষা সংগ্রাম পরিষদ হাজার 952 সালে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দিলেন ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। 952 সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে এ আন্দোলনকে দমানোর জন্য গুলি চালানো হয় ।সে গুলিতে শহীদ হন রফিক সালাম বরকত জব্বার সহ আরো অনেকেই। 1970 সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা ছাড়তে তালবাহানা শুরু করে। 1971 সালের 7 ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা ইতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে এক ভাষণ দেন তিনি ভাষণে বলেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এই ভাষণ এর মধ্যে দিয়ে সকল বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান ।সারা বাংলায় শুরু হয় তুমুল আন্দোলন ।25 শে মার্চের অন্ধকারে হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয় 25 শে মার্চ গভীর রাতে বাঙালির উপর ঝাপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা ।পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বেই 26 শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা করেন সকল বাঙালি সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য। শুরু হয় আন্দোলন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের বিবরণ:
1971 সালের 25 শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে এবং অসংখ্য ঘুমন্ত বাঙালিকে হত্যা করে তার পরবর্তী 26 শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বাঙালিরা দেশকে শত্রুমুক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে আধুনিক পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানি বাহিনীর গড়ে তুলে প্রতিরোধ হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্মম হত্যাকান্ড চালাতে থাকে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় যাকে তাকে গুলি করে হত্যা করে গরু ছাগল নিয়ে যায় বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভুতুড়ে রাজ্যে পরিণত হয় লাশের উপরে থাকে যেদিকে তাকাই শুধু লাশ দেখা যায় এ অবস্থায় সামরিক বাহিনীতে নিযুক্ত বাঙালি সদস্য ও আধাসামরিক লোকজন পুলিশ আনসার বিদ্রোহ করে বাঙ্গালীদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করে ।স্বাধীনতা লাভ করে। দেশের প্রায় এক কোটি প্রাণের ভয়ে শরণার্থী হিসেবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয় ।ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা অবতীর্ণ হয়। ছাত্র ,চাকরিজীবী উপরে স্বাধীনতা সংগ্রামী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দেশের সর্বোচ্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নাজেহাল হতে থাকে ।দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। অফিস-আদালত বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে হানাদার বাহিনী বিভাকে পড়ে সাধারণ মানুষের ধরে এনে দাঁড় করিয়ে থাকে একপর্যায়ে তারা সাধারন লোকের হাতে নাজেহাল হতে থাকে এবং তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক নানা অজুহাতে দেশের লাখ লাখ লোককে হত্যা করে। অনেক মা-বোনের ইজ্জত লুট করে এ পর্যায়ে তারা গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যায়
স্বাধীনতা অর্জন:
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ছাত্রজনতা কৃষক-শ্রমিক সবাই মিলে একসাথে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের তীব্র আক্রমণ হানাদার বাহিনী বিপাকে পড়ে। এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতি 1971 সালে তিনি সোমবার পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এ সুযোগে ভারতের সেনাবাহিনী সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে যায় ।শেষ পর্যন্ত 1971 সালের 16 ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজয় অর্জিত হয়।

স্বাধীনতা তুমি
রবি ঠাকুরের অজর কবিতা অবিনাশী গান
স্বাধীনতা তুমি
কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো
মহান পুরুষ সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা
স্বাধীনতা তুমি
শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা
উপসংহার:
স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি কালজয়ী ঘটনা যে যুদ্ধে লাখো লাখো বাঙ্গালীর প্রাণ হারিয়েছিল স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনে যেমন তাৎপর্য বহন করে তেমনি লক্ষ লক্ষ অর্থ মানুষ যাতে জাতীয় পতাকা সমুন্নত রেখে নতুন জীবনকে পাথর করে নিজের গড়ার শপথ নিতে পারে ।সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তাহলে আমরা নতুন নতুন স্বপ্ন সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠব। তার বন্ধুরা আমাদের এই পোষ্ট টি আশা করি সবারই ভাল লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার ও কমেন্ট করতে ভুলবেন না ।এবং নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।