আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমরাও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমরা আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন একটি বিষয় নিয়ে যে বিষয়টি নারী জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হবে সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়। মাসি হলো নারী দেহের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রত্যেক মেরি প্রতিমাসে মাসিক হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায় অনেকেরই নিয়মিত মাসিক হয় না বা সময়ের পরও বিনা কারণেই মাসিক মিস হয়।
সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়
সহবাসের পর মাসিক না হলে প্রথমে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করা উচিত। প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করার মাধ্যমে গর্ভবতী কিনা সেটা জানা যাবে গর্ভধারণের সময় যেহেতু আগে Human chorionic gonadotropin হরমোন মিশ্রিত হয় প্রস্রাব পরীক্ষা করার মাধ্যমে আমরা আসলে প্রসাদের Human chorionic gonadotropin এর উপস্থিতি দেখি।
প্রথম প্রস্রাব করতে বোঝায় রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর সকালবেলা যখন প্রথম প্রসাব করা হয় সেই প্রসাদ আর প্রসাব কি যে পাত্রে রাখবেন যেটি সংরক্ষণ করতে হবে অবশ্যই পরিস্কার এবং শুকনো পাত্র হবে। আর সেই পাত্রটি পরিষ্কার করার জন্য কিন্তু কিছুতেই সাভার বা ধোয়ার পাউডার দিয়ে ধোয়া যাবে না। সাবান দিয়ে ধোয়ার কারণে সঠিক ফলাফল আসবেনা প্রেগনেন্সি পরীক্ষা সঠিক মানের টেস্ট কিট ব্যবহার করে সঠিক ফলাফল আনতে হবে।
ভালো মানের একটি কিট এর দাম হচ্ছে 40 থেকে 50 টাকা। তাইলে ভালো মানের কি দিয়ে আপনার প্রসাবটি পরীক্ষা করে দেখবেন আপনি প্রেগনেন্সি কিনা।
সহবাসের পর মাসিক না হওয়ার কারণ
প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট সময় মেয়েদের অবুলেশন বা ডিম্বপাত হয়ে থাকে আর এই দিনেপাত হওয়াকে একটি মেয়ের পিরিয়ড বা মাসিক বলা হয়। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময় ২৮ থেকে ২৯ দিন পর পর এই ডিম্বপাত হয়। আর এই ডিম্বপাত বা ওভুলেশনের সময় মিলন করলে শুক্রাণু ও ডিম্বানু একত্রিত হয়ে ব্রণের সৃষ্টি হয় এবং গর্ভধারণ হয়। যেসব মেয়ের মাসিক হয় না তাদের ডিম্বাশয়ের কোন ডিম্বাণু সৃষ্টি হয় না। আদিম বানু না থাকলে গর্ভধারণ করা কোন নারীর পক্ষে সম্ভব হয় না। অনেক সময় বিয়ের পর মেয়েরা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভোগেন আর এই দুশ্চিন্তাগুলো হতে পারে পারিবারিক চিন্তা সামাজিক চিন্তা অর্থনৈতিক চিন্তা মানসিক চিন্তা।
এ ধরনের চিন্তা ও মানুষের চাপ মাসির না হওয়ার কারণ হতে পারে ওদের সঙ্গে নারীদের বিয়ের পর মাসিক অনিমিত হয়ে যায় এক মাস দুই মাস তিন মাস পর পর মাসিক হয়ে থাকে এটাকে অনিমিত মাসিক বলা হয়। এটা গর্ভধারণের লক্ষণ না, গর্ভধারণের সময় মেয়েদের শরীরে বেশ কিছু হরমোন পরিবর্তন হয় সেই পরিবর্তনগুলো আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটি নিছে তুলে ধরেছি।
পিরিয়ড মিস হলে কি প্রেগন্যান্ট?
মাসিক বন্ধ হওয়ার বা অন্যের মত অন হওয়ার একটি কারণ হলো অতিরিক্ত ওজন বা রুগ্ন। উচ্চতার সাথে ওজনের একটি মিল থাকে উচ্চতার সাথে যখন ওজন অতিরিক্ত বেশি হয়ে যায় তাকে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যবান বলা হয়। আরে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য ও নিয়মিত মাসিক হওয়ার আরেকটি কারণ আবার অনেক নারীরা আছে একেবারে শুকনো স্বাস্থ্য হীনতায় ভুগছেন তাদেরও অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে।