বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি সন্তানকে নম্র ভদ্র করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে।যারা সন্তানকে নম্র ভদ্র করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে সন্তানকে নম্র ভদ্র করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
নম্র ভদ্রতা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
সকল বাবা-মাই চায় তার সন্তান যেন নম্র ও ভদ্র হয়। কারণ কোন পিতা-মাতায় চায়না বড় হওয়ার পর তাদের সন্তানদের কারণে তাদেরকে যেন অন্যের কাছ থেকে অপমানিত হতে হয়। আর এটা সবাই জানে যে নম্র ভদ্র সন্তানকে সবাই পছন্দ করেন। অনেক প্রিয় বন্ধুরা আছেন তাদের সন্তানদের নম্র ভদ্রতা বজায় রাখার জন্য নেটের সার্চ করে থাকেন কিছু টিপসের জন্য। ওইসব বন্ধুদের কথা ভেবে নিচে নম্র ভদ্র নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেয়া হলো। আশা করি এই টিপস গুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
1.স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ
শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী। বাচ্চারা বেশিরভাগ সময়ে ফাস্টফুড চিপস মিষ্টি বিস্কুট এবং চকলেট এর চাহিদা আগ্রহী থাকে। এইসব খাদ্য বাচ্চাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য বাচ্চাদেরকে বিশ্বাস করাতে হবে যে স্বাস্থ্যকর খাবারের এর থেকে বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। তাদেরকে নিয়মিত ঘরোয়া ভাবে লুডুস ,পাস্তা ,কেক, কুকিজ এবং পিজ্জা খেতে দিতে হবে তাহলে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য হবে সুস্বাস্থ্যকর।
2.ফোন এবং টিভি কম ব্যবহার করুন
আপনি যদি আপনার সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে যেসব জিনিস সন্তানের জন্য খাত ক্ষতিকর হতে পারে ওইসব জিনিস থেকে ওদেরকে বিরত রাখতে হবে। যদি আপনার সন্তান আপনাকে সারাদিন টিভি বা ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখে, তবে সেও আপনার মতই এইভাবে সময় কাটানো শিখবে। তাই টিভি ও ফোনের পেছনের সবচেয়ে কম সময় ব্যয় করতে হবে। তাহলে আপনার সন্তান হবে সুসন্তান।
3.শারীরিক কার্যকলাপ
বাচ্চাদের ভালোর কথা ভেবে সবসময় আমার জন্য ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখা ঠিক নয়। বাচ্চাদের একটি নিজস্ব জীবনধারা পেতে দিতে হবে। তাদের বাইরে যেতে উৎসাহিত করুন যেমন তাদের হাঁটতে বা ব্যায়াম করতে অথবা বাইরে খেলতে পাঠান। বাচ্চাদের সেখান যে অলস ভাবে থাকলে স্বাস্থ্যের উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলবে।
4.কখনও কাউকে অপমান করবেন না
ছোট বাচ্চাদের সামনে আপনি যদি প্রতিবেশী বন্ধু বা পরিবারে কোন সদস্যকে অপমান করেন তাহলে তা আপনার বাচ্চার উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য উচিত বাচ্চাদের সামনে সবার সাথে ভালোভাবে ব্যবহার করা। আপনার সঙ্গে করুন মতপার্থক্য থাকতে পারে বা আপনি কাউকে অপছন্দ করতেই পারেন কিন্তু বাচ্চার সামনে তাদের প্রতি আপনার খোব ব্যক্ত করা উচিত নয়। আপনি এরকম করলে আপনার সন্তানের সেই ব্যক্তিকে কোন সময় অপমান করবে করতে পারবে না। একটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা তার পরিবার থেকেই পেয়ে থাকে। আপনি যা করবেন তারাও সেটাই শিখবে।
5.একসঙ্গে পারিবারিক খাবার উপভোগ করুন
এখনকার দিনে সকল মানুষ এই কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকে। তারা ভুলে যায় যে তাদের সন্তানরা তাদের থেকে খুব কম সময় পাচ্ছে। সেখানে আমাদের জীবন ও বড়দের সঙ্গে কাটানোর জন্য ভালো সময় খুব কমই বেঁচে থাকে। একটি কর্মব্যস্ত জীবন মানে আপনি বাচ্চাদের সঙ্গে বসতে এবং তাদের গল্প শোনাতে ও অন্যান্য ব্যক্তিগত বিষয়ে অক্ষম হতে পারেন। আর এতে করে আপনার সন্তানের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে থাকে। আপনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একসাথে উপভোগ করা তাকে অগ্রাধিকার দিন। এতে আপনার সন্তানদের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে একসাথে খাওয়ার বা অন্যান্য সুবিধাগুলো নিম্নলিখিত।
- বাচ্চারা পরিবারের সঙ্গে ভালো সমন্বয় তৈরি করতে এবং আরামদায়ক অনুভব করতে শুরু করবে ।
- বাচ্চাদের ভালো খাদ্যাভ্যাস বিকাশ হবে এবং বড়দের সঙ্গে জাঙ্কফুড এড়াতে শুরু করবে ।
- সম্পর্ক শক্তিশালী হয় ।
6.খাবার নষ্ট করবেন না
খাবার নষ্ট করা হচ্ছে একটা খারাপ অভ্যাস। তাই আপনার সন্তানকে খাবারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে শেখান। জীবনে খাওয়ার গুরুত্ব কতটা তা তাদের বোঝান। একটুও ভালো করে খাওয়ার জন্য মানুষ কত না কষ্ট করে। তা আপনার বাচ্চাকে ভালোভাবে বোঝানো আপনার দায়িত্ব। আপনি নিজেও খাদ্য অপচয় করবেন না কারণ আপনি খাদ্য অপচয় করলে বাচ্চা আপনার থেকেই তা শিখবে। তাদের এও বলুন যে খাবার নষ্ট করা খুব খারাপ এবং বাজে অভ্যাস।
7.স্বাস্থ্যকর হাইড্রেশন
বড়দের থেকে নকল করা সব থেকে সাধারণ বিশিষ্ট যা শিশুরা সহজেই নিয়ে নেয় তা হল নরম পানীয় পান করা। আপনাকে আপনার শিশুদের পদপ্রদর্শক হতে হবে এবং তাদেরকে সোডার বদলে জল পান করার গুরুত্ব সম্পর্কে ভালোভাবে সচেতন করতে হবে। বাচ্চাদেরকে বলুন যে পানি স্বাস্থ্যকর এবং বেশ কিছু রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে। পানি হচ্ছে আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নরম পানীয় গুলো অস্বাস্থ্যকর কারণ এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও ক্যালরি যোগ করা হয় যার কারণে বাচ্চাদের ওজনের সমস্যা হয়। তাদেরকে শিক্ষা দিতে হবে যে পানি একটি অত্যাবশ্যক সম্পদ এবং সঠিক হাইড্রেশন বজায় রাখার জন্য ভালো পরিমাণের পানি পান করা উচিত। যখন আপনার বাচ্চারা বুঝতে পারবে যে পানি তাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান তখন তারা নিজেই অস্বাস্থ্যকর বায়ুযুক্ত পানীয় গুলো থেকে একে বারে বিরত থাকবে। তাই সবার উচিত তাদের বাচ্চাদের পানির সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলা।
8.ভদ্রতা বজায় রাখুন
ভদ্রতা হচ্ছে এমন একটি গুণ যা প্রত্যেকটি বাচ্চার মাঝে থাকা উচিত। বাচ্চার সামনে এমন কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন যা তাদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সর্বদা শৃঙ্খলা বজায় রাখুন এবং ভালো আচরণ করুন। তাহলে বাচ্চারা নিজের থেকে আপনাদের গুণ সম্পর্কে অবগত হয়ে তারাও ভদ্র হবে। ভদ্রতা বজায় রাখলে আপনার সন্তানকে সবাই ভালবাসবে।
9.অগোছাল জিনিস গুছিয়ে রাখা
শিশুদের জীবনের প্রথম দিকে তাদের পরিছন্নতা শেখানোটা বাধ্যতামূলক। সব সময় ওর জন্য বড়দের উচিত শিশুদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তা বোঝানো। তাদেরকে বোঝাতে হবে যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হলো ঈমানের অঙ্গ। যারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকেন তাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন এবং পছন্দ করেন। যখন শিশুরা সুশৃংখল ভাবে থাকা জিনিসপত্র দেখতে অভ্যাস হয়ে যায় তখন তারা নিজেরাও জিনিসপত্র ওইভাবে রাখতে চাইবে। যখন তাদের যথেষ্ট বয়স হয়, আপনি তাদের বিভিন্ন সময়ে অগোছালো জিনিসপত্র পরিষ্কার করতেন থাকুন। তাহলে আপনার দিকে আপনার বাচ্চাও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকতে পারবে। নিয়মিত এইসব কাজ করলে আপনার বাচ্চাও শীঘ্রই নিজেদের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে শিখবে।
10.বাচ্চার সামনে কখনও চিৎকার করবেন না
অনেকেই আছেন খুব বিরক্ত হলে বার রাগ হয়ে গেলে বাচ্চাদের সামনে চিৎকার করে কথা বলেন। এতে করে বাচ্চারাও এই শিক্ষা গ্রহণ করেন। তাই খুব বৃত্ত হলে বা রেগে গেলেও বাচ্চার সামনে কখনোই চিৎকার করবেন না। বরং আপনার মেজাজ নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। আপনি যদি আপনার সন্তানের সামনে এমনটা করেন তবে তার মনে হতে পারে যে এটিই করা সঠিক। তখন আপনার বাচ্চাও অন্যদের সাথে চিৎকার করে কথা বলতে অভ্যস্ত হবে। তাই আমাদের উচিত বাচ্চাদের সামনে চিৎকার করে কথা না বলা।
11.টাকারপয়সার ব্যাপারে দায়িত্বশীল হতে হবে
বাচ্চাদের হাতে বেশি বেশি করে টাকা দেয়া উচিত নাই। যত তাড়াতাড়ি আপনার সন্তানরা জিনিসপত্র কিনতে শিখবে এবং টাকা পয়সা ব্যবহার করতে যাবে। আপনি আপনার কষ্ট করে উপার্জিত টাকার মূল্য সম্পর্কে তাদের শিক্ষা দিতে শুরু করতে পারেন। আপনি মাঝে মধ্যে আপনার শিশুকে হাত খরচ দিয়ে তাকে টাকা জমানার অভ্যাস করতে পারবেন। তাদেরকে কিছু টাকা দিতে হবে এবং সে অনুযায়ী জিনিসপত্র কিনে আনতে বলতে হবে তাহলে তারা টাকার মূল্য বুঝতে পারবে। তবে পর্যাপ্ত বয়স হওয়া পর্যন্ত বাচ্চাদের হাতে টাকা না দেয়াই ভালো।
12..কারো গায়ের রং বা শরীর নিয়ে খারাপ মন্তব্য করবেন না
আপনার বাচ্চাদের সামনে অন্য কারো গায়ের রং রূপ বা শরীর নিয়ে খারাপ ধারণা মনে। এরকম ধারণা ব্যক্ত করলে আপনার সন্তান বড় হয়ে তা অন্যদের সাথে এরকম ব্যবহার করতে পারে। তাই ছোট বাচ্চাদের সামনে এরকম ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনি যদি এরকম আচরণ করেন তবে আপনার সন্তানেও একই পথ অনুসরণ করবে। কারণ সন্তানরা প্রথম শিক্ষা লাভ করেন তার পরিবারের বড়দের থেকে। তাই ওদের সামনে এরকম ব্যবহার করা উচিত নয়।
13.নম্র হওয়া উচিত
নম্র হাওয়াটা প্রত্যেকের দেওয়া প্রশংসনীয় একটি মহৎ গুণ। একটি ভালো মানুষের মধ্যেই নম্র নম্রতা উপস্থিত থাকে। আপনার বাচ্চাদের মানুষজনকে শ্রদ্ধা করতে শেখান ।তা সে বড় হোক বা ছোট তাদের কাছে ব্যাখ্যা করুন ।যে যদি তারা এমন করার কারো সম্মুখীন হয় যাদের তারা পছন্দ করে না তখনও তাদের সালিনীয়ভাবে বিনীত ভাবে আচরণ করতে হবে ।এসব সঙ্গে শান্ত এবং আন্তরিক হতে হবে তাদের এই গুনাগুন সারা জীবন তাদের সঙ্গে থাকবে তাদের সব সময় সম্মানের চোখে দেখা হবে। ছোট বাচ্চাদেরকে ছোট থেকেই নম্রতা হতে সাহায্য করতে হবে। কারণ সকলেই নম্রতা বাচ্চাদেরকে বেশি পছন্দ করে।
14.নিয়মিত ব্যায়াম করা
সবাই মিলে একসাথে সময় কাটানোর জন্য আপনার নিজের এবং আপনার পরিবারের হাঁটা, জগিং, সাঁতার, ব্যায়াম অথবা বাড়িতেই যোগচর্চা প্রভৃতি শারীরিক ক্রিয়াকলাপের একটি রুটিন স্থির করুন । পুরো পরিবারের ক্ষেত্রেই এই ব্যায়াম দীর্ঘ সময়ের জন্য উপকারী হবে । শিশুদের রুটিনে এগুলি দ্রুত শুরু করলে এগুলি তাদের সক্রিয়, ফিট এবং নমনীয় রাখবে । এটি আপনার শিশুদের সুস্থ জীবনযাপন করতে সহায়তা করবে । সঙ্গীত যোগ করে আপনাদের ওয়ার্কআউটকে আরও উত্তেজক করুন । এটা করার সবথেকে ভালো উপায় হয়, আপনার শিশুকে কিছু খেলার তালিকায় নথিভুক্ত করান । এটা তাদের জীবনের মূল্যবান শিক্ষা।
15.কাউকে সমালোচনা বা ঠাট্টা করবেন না
ছোট বাচ্চাদেরকে সমালোচনার গড়তেও পারে আবার ভাঙতেও পারে। অল্প বয়সের সবাই সমালোচনা মূলক মন্তব্য কে সঠিকভাবে গ্রহণ করতে সামর্থ্য হয় না। বাবা মায়েদের তাদের সন্তানের উপর নজর রাখতে এবং তাদের অন্যান্য পদ্ধতিতে নির্দেশনা করতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে অন্যের সমালোচনা করা হলো মহাপাপ। অন্যের সমালোচনা করা উচিত নয়। অন্যদেরকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা যাবে না। শুধুমাত্র মজা পাওয়ার জন্য অথবা এমন কাউকে উত্তপ্ত করা বা ঠাট্টা করা যাকে আপনি খুব কমই জানেন ভুল কাজ এটি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এইসব কাজ থেকে ছোট বাচ্চাদের দূরে রাখতে হবে। তাহলেই তারা বড় হয়ে এ ধরনের কাজ কখনোই করবেনা।
16.কৃতজ্ঞতা প্রদান করা
আপনার শিশুদের মধ্যে নম্র মনোভাব গড়ে তুলতে উৎসাহিত করুন এবং বড়-ছোট সব কিছুর জন্য কৃতজ্ঞ হতে শেখান । সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে, দিনে দুইবার প্রার্থনা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন । এটি আপনি নিজেও অনুসরণ করুন এবং বাচ্চারা আপনার কাছ থেকেই শিখবে ।
17.মহৎ হওয়া
বড়দের উচিত বাচ্চাদের সাথে মিথ্যা কথা না বলা। সবসময়ের জন্য যতটা সম্ভব বাচ্চাদের সামনে সৎ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারন সততা হচ্ছে একটি মহৎ গুণ। যার শৈশব থেকে বাচ্চাদের মধ্যে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। একজন পিতা-মাতা হওয়ার কারণে আপনি আপনার সন্তানদের জন্য রোল মডেল। আপনাদের কাজকর্ম এবং কথা তাদের ওপর সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য আপনাকে সব সময়ের জন্য মনে রাখতে হবে ছোট বাচ্চাদের সামনে অন্যদের সাথে মিথ্যা কথা না বলা এবং ছোটদের সাথে সবসময় জন্য সত্য কথা বলা। তাহলেই পরবর্তীতে আপনাদের সন্তান অন্যদের সাথে এরকম ব্যবহার করবেন না।
18.ধৈর্য এবং অধ্যবসায়
বলা হয় ‘ধৈর্য হল একটি বিশুদ্ধ গুণ’, এটি সঠিক বলা হয়, কারণ যারা ধৈর্যশীল হয়, তারা শান্তিতে থাকতে পারে এবং আজকের চাপপূর্ণ জগতে সকলেই শান্তি চায় । আপনার শিশুর জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে তার মধ্যে ধৈর্যশীল হওয়ার বৈশিষ্ট্য বজায় রাখুন, যাতে তারা প্রশান্ত এবং শান্তিপূর্ণ হতে পারে ।প্রতিটি মানুষকে ধৈর্যশীল হতে হবে। আপনাদের সন্তানদের বোঝাতে হবে ধৈর্য হচ্ছে মানুষের একটি মহৎ গুণ।ধৈর্য ধারণ করলে জীবনের সাফল্য অর্জন করা যায়। তাদেরকে বোঝাতে হবে বিশেষ্য ব্যক্তিদের জীবনের সফলতা অর্জনের পিছনে রয়েছে ধৈর্য। ধৈর্যর দাঁড়ায় তারা জীবনে কিছু করতে সক্ষম হয়েছে।
19.অন্যদের সাহায্য করা
বড়দের উচিত বাচ্চাদেরকে অন্য মানুষদেরকে সাহায্য করতে উৎসাহিত দিতে হবে। আপনার বাচ্চা কি এমন ভাবে বড় করুন যাতে তারা একটি উপকারী প্রকৃতির মানুষ হতে পারে। পরবর্তীতে যার দ্বারা মানুষের উপকার হতে পারে। অন্যদের বিপদ দেখলে যখন বা যেখানেই প্রয়োজন হবে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে উৎসাহিত করুন। আপনার অংশের কাজ করুন বন্ধুই হোক বা অচেনা ব্যক্তি আপনার বাচ্চাদের উপস্থিতিতে মানুষদের সাহায্য করুন । তাহলে আপনার ব্যবহার দেখে আপনার বাচ্চাও অন্যদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাইবে।
20.সময়ের মূল্য দেওয়া
আপনার সন্তানদেরকে সময়নিষ্ঠা বিষয়ে উৎসাহিত করুন। শিশুদের সময় যথার্থ ব্যবহার করা শেখানো দরকার। এছাড়াও সব সময় প্রস্তুত হওয়া দৈনিক সময়সূচি অনুসরণ করা এবং সময়নিষ্ঠ হওয়া শেখানো উচিত। আপনার সন্তানদের সময় মত স্কুলে যাওয়ার প্রয়োজন তা বোঝানো উচিত। তাদেরকে এটাই বোঝাতে হবে যে সময়ের কাজ সময়ে করাটাই ভালো। একটি পরিবার হিসেবে আপনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা পার্টিতে উপস্থিত থাকতে হতে পারে প্রতিটি অনুষ্ঠানে আপনি সময়ের আগে বা সময় মত পঞ্ছান কারণ সন্তানরা বড় হওয়ার আপনার দেয়া শিক্ষার অনুপ্রাণিত হবে। আপনার সন্তানকে বারবার মনে করে দিতে হবে যে সময় শুধু একবার ই আসে যে সময় একবার চলে যায় তা হাজার চেষ্টা করেও আর ফিরে পাওয়া যায় না। তাই সময়ের কাজ সময়ে করাটা হলো মঙ্গল জনক।
শেষ কথা:
পাঠক বন্ধুরা আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে সন্তানকে নম্র ভদ্র করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস আলোচনা করেছি। আশা করি, এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………