বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি আপনাদের সামনে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যা দেখে আপনারা সবাই অবাক হয়ে যাবেন। অনেকে হয়তো এখনো জানেন না দুবাইয়ের সবচেয়ে ধনী রাজকন্যা শেখা মেহেরার জীবন কাহিনী সম্পর্কে। আপনারা যারা মেহেরার জীবন কাহিনী সম্পর্কে জানার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন তাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম। আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে দুবাইয়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল মেয়ে লেখা মেরার জীবন কাহিনী সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারবেন তাই আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে আমাদের আর্টিকেল একটি পড়ুন।
জানাবো না। আজ জানাবো দুবাই রাজকন্যা মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুমের মেয়ে শেখা মেহেরা এর সম্পর্কে।
তবে তার আগে একটু জানাতে চাই, জানলে অবাক হবেন রশিদ আল মাখতুম এখন পর্যন্ত ছয়টি বিয়ে করেছেন। যার শেষটা হয় ২০০৫ সালে একজন ক্রিশ্চিয়ান মহিলাকে বিয়ে করার মধ্য দিয়ে। আরো একটা অবাক করা বিষয় হলো তার মোট ২৪ জন সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন মেয়ে এবং ১১ জন ছেলে। সে অনুযায়ী দুবাইয়ে এখন পর্যন্ত ১১জন রাজকুমার এবং ১৩ জন রাজকন্যা রয়েছে।
মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুমের সবচেয়ে বড় রাজকন্যার নাম হচ্ছে লাতিফা এবং তৃতীয় রাজকন্যা হচ্ছে শেখা মেহেরা। তার ১৩ জন রাজকন্যার মধ্যে সবাই দেখতে ছিলেন অসম্ভব সুন্দরী।
শেখা মেহেরা জন্মগ্রহণ করেন ২৬ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ সালে। তিনি দুবাইয়ে জন্ম নিলেও খুব ছোটবেলা থেকে ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করতেন। যে কারনে তার লাইফস্টাইলেও ছিলো ভিন্নতা। বর্তমানে শেখা মেহেরা তার বিলাসবহুল লাইফের জন্য বেশ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াতে।
ইংল্যান্ড থেকে ফিরে এসে দুবাইয়ের বিখ্যাত জায়েদ ইউনিভার্সিটিতে বিজনেসে গ্র্যাজুয়েশন করেন। বর্তমান সময়ে শেখা মেহেরা তার বাবার সাথে কাজ করছেন দুবাইয়ের উন্নয়নের জন্য।
তার শখ হচ্ছে হোয়াটস রাইটিং এবং তার মোট ১১ টি ঘোড়া রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে দামি ঘোড়াটি তিনি নিলামে ক্রয় করেছিলেন। যার দাম ৩.৬ মিলিয়ন ডলার।যার পিছনে তিনি প্রতি বছর চার মিলিয়ন ডলার খরচ করেন। এছাড়াও তার রয়েছে দুটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারও। যার পেছনে তার অন্তত এক কোটি টাকা খরচ হয়।
তার বিলাসি জীবনের শেষটা কিন্তু এখানেই নয়। বর্তমান সময়ে দুবাইয়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল বিল্ডিং প্রিন্সেস টাওয়ার এর নিচতলায় তার জন্য স্পেশাল কমপ্লেক্স করা হয়েছে যার মূল্য অন্তত ১৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশী টাকার অংকে দাঁড়ায় ৯৯০ কোটি টাকা।
এছাড়া দুই বছর পূর্বেই শেখা মেহেরা এর ২৪ তম জন্মদিনে তার বাবা ৩৪ কোটি টাকা দিয়ে একটি গাড়ি গিফট করেন। তবে এই গিফটের গাড়ি ছাড়া শেখা মেহেরা এর আরো অনেক গাড়ি রয়েছে যেমন ল্যাম্বরগিনি ফেরারি বিএমডব্লিউ আরো কত ব্র্যান্ডের গাড়ি। যা দুবাই এর মতো জায়গায় স্বাভাবিক।