শরীরে জিংকের ঘাটতি হলে কী হয়?আসুন জেনে নেই 2023

Native Banner
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নিয়ে। কথায় আছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। মানুষের শরীর সুস্থ রাখতে হলে অনেকগুলো ভিটামিন এর প্রয়োজন হয়। তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হলো জিংক।একদম শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ, প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জিংক তথা জিংক সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। জিংককে বলা হয়ে থাকে শরীরের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান। জিংকের অন্যতম উৎস হলো সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য খাবার যেমন কাঁকড়া, ঝিনুক, চিংড়ি, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, বাদাম, শিম, মাশরুম ইত্যাদি। শাক–সবজিতে বিদ্যমান জিংক শরীর সহজে হজম করতে পারে না। সে জন্য নিরামিষভোজীদের অতিরিক্ত জিংক সরবরাহ করা প্রয়োজন। একজন পুরুষ ও নারীর দৈনিক যথাক্রমে ১১ ও ৮ মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন। অন্তঃসত্ত্বা এবং সন্তানকে বুকের দুধ দেওয়া মায়েদের জিংকের চাহিদা আরও বেশি। ভিটামিন জিংকের ঘাটতি হলে শরীরের নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় ।আপনারা অনেকেই আছেন ভিটামিন এর উপকারী তা জানার জন্য গুগলের সার্চ করে থাকেন। তাদের জন্যই আমরা এ পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করব। এর ঘাটতি হলে কি হয় এবং জিংকের উপকারিতা কি? জিং শরীরে দস্তা এবং জিঙ্কের এর ঘাটতি শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ শিশুদের মধ্যে তীব্র ডায়রিয়া এবং শরীরের ক্ষত নিরাময় ধীর হওয়ার মতো রোগগুলিকে নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ করে থাকে। তাই আপনাদের সামনে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি জিঙ্কের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বন্ধুরা আর দেরি না করে আমাদের আজকের এই পোষ্ট ভাল করে পড়ুন ।

জিংকের অভাবে যে সমস্যা হয়

জিংক স্বাস্থ্যকর হাড়ের জন্য জরুরি। এটি হাড়ের গঠনে উদ্দীপকের ভূমিকা পালন করে। জিংকের অভাবে হাড় দুর্বল হয় এবং গাঁটে ব্যথা হয়। স্বাস্থ্যকর দৃষ্টিশক্তির জন্য জিংক খুব প্রয়োজন। এটি চোখের সুরক্ষা দেয় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। গবেষণায় বলা হয়, জিংকের অভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।জিংক আমাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বড় ভূমিকা পালন করে। জিংকের অভাব হলে এই কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং নিউরোলজিক্যাল পদ্ধতি ব্যাহত হয়। এটি শেখার অক্ষমতাও তৈরি করতে পারে।স্বাস্থ্যকর দৃষ্টিশক্তির জন্য জিংক খুব প্রয়োজন। এটি চোখের সুরক্ষা দেয় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। জিংকের অভাব হলে তা ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে। এটি ব্রণ, একজিমা, সোরিয়াসিস, ত্বকের র‍্যাশ ইত্যাদি তৈরি করতে পারে। জিংক ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে আল্ট্রাভায়োলেট রস্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়।