আসসালামু আলাইকুম সবাইকে পবিত্র অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের আজকের এই পোস্ট । আমাদের আজকের পোষ্ট টি হচ্ছে লালমনিরহাট জেলা সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২২ এর ক্যালেন্ডার টি প্রকাশ করবো ।দেখতে দেখতে একটি বছর অতিক্রম হয়ে গেলো। আর আবার পুনরায় ফিরে এলো পবিত্র রমজান মাস। আর এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২ দেখার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন।আরবি বারো মাসের মধ্যে সেরা মাস হচ্ছে মাহে রমজান।পবিত্র মাহে রমজানের সময় খুবই মূল্যবান।বন্ধুরা প্রতিবছর আমাদের জীবনে রমজান আসে একবারেই। রমজান আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে রহমত বরকত নিয়ে আসে।এ মাসের উসিলায় আল্লাহ তা’আলা আমাদের জীবনের পূর্বের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে আমাদেরকে কবুল করে নেন। রমজান মাসের ইবাদতের মাধ্যমে আমরা দুনিয়াতে সফলতা লাভ করতে পারি। তাই আমাদের সবার উচিত এ মাস টি হেলায় না কাটিয়ে বেশি বেশি করে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা।তাই সবার ঘরে ঘরে সেহরী এবং ইফতারের সময়সূচি থাকা প্রয়োজন। কারণ এ সময় সূচি অনুযায়ী মুসল্লীরা সেহরী এবং ইফতারের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।প্রত্যেকটি মুসলমানের কাছে একটি শান্তিময় মাস হলো রমজান মাস। এই শান্তিময়ী মাসে একজন মানুষ যেমন আত্মশুদ্ধি ঘটাতে পারে তেমনি ভাবে শারীরিক ভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। মহান আল্লাহপাক এর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে আমাদেরকে এই সিয়াম সাধনা করার জন্য সঠিক সময়ে জানতে হয়। কারণ কর্মব্যস্ততার কারণে মানুষ যখন ক্লান্ত হয়ে রাতের বেলায় ঘুমিয়ে পড়ে তখন তার জন্য সুবহে সাদিক এর আগে ঘুম থেকে উঠে সেহরী সম্পন্ন করা অনেকেরই কষ্টকর হয়ে যায়।
পবিত্র এই রমজান মাসটি পাওয়ার জন্য প্রতিটা দ্বীনি মুসলমান ভাই ও বোনেরা অপেক্ষার প্রহর গুনে থাকেন। কারন আমরা সবাই জানি যে, এই রমজান মাস হলো একটি ফজিলত এর মাস। আর আপনি যদি এই রমজান মাসে রোজা রাখেন তাহলে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করা সম্ভব। তাই আমাদের প্রতিটা মুসলমানদের উচিত রোজা রাখা।আপনারা যারা রমজানের সময়সূচী চাচ্ছিলেন তারা এই সময়সূচী অনুসরণ করতে পারেন। তাই লালমনিরহাটের ইফতারের সময়সূচি ২০২২ এবং লালমনিরহাটের সেহরীর সময়সূচী ২০২২ এখনি জেনে নিন।
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি:
সেহেরির সময় | ফজরের ওয়াক্ত | ইফতারের সময় | |||
রহমতের ১০ দিন | |||||
১ | ৩রা এপ্রিল | রবিবার | ৪ঃ২৭ মিনিট | ৪ঃ৩৩ মিনিট | ৬ঃ১৯ মিনিট |
২ | ৪ঠা এপ্রিল | সোমবার | ৪ঃ২৬ মিনিট | ৪ঃ৩২ মিনিট | ৬ঃ১৯ মিনিট |
৩ | ৫ই এপ্রিল | মঙ্গলবার | ৪ঃ২৪ মিনিট | ৪ঃ৩১ মিনিট | ৬ঃ২০ মিনিট |
৪ | ৬ই এপ্রিল | বুধবার | ৪ঃ২৪ মিনিট | ৪ঃ৩০ মিনিট | ৬ঃ২০ মিনিট |
৫ | ৭ই এপ্রিল | বৃহস্পতিবার | ৪ঃ২৩ মিনিট | ৪ঃ২৯ মিনিট | ৬ঃ২১ মিনিট |
৬ | ৮ই এপ্রিল | শুক্রবার | ৪ঃ২২ মিনিট | ৪ঃ২৮ মিনিট | ৬ঃ২১ মিনিট |
৭ | ৯ই এপ্রিল | শনিবার | ৪ঃ২১ মিনিট | ৪ঃ২৭ মিনিট | ৬ঃ২১ মিনিট |
৮ | ১০শে এপ্রিল | রবিবার | ৪ঃ২০ মিনিট | ৪ঃ২৬ মিনিট | ৬ঃ২২ মিনিট |
৯ | ১১ই এপ্রিল | সোমবার | ৪ঃ১৯ মিনিট | ৪ঃ২৫ মিনিট | ৬ঃ২২ মিনিট |
১০ | ১২ই এপ্রিল | মঙ্গলবার | ৪ঃ১৮ মিনিট | ৪ঃ২৪ মিনিট | ৬ঃ২৩ মিনিট |
মাগফিরাত ১০ দিন | |||||
১১ | ১৩ই এপ্রিল | বুধবার | ৪ঃ১৭ মিনিট | ৪ঃ২৩ মিনিট | ৬ঃ২৩ মিনিট |
১২ | ১৪ই এপ্রিল | বৃহস্পতিবার | ৪ঃ১৫ মিনিট | ৪ঃ২১ মিনিট | ৬ঃ২৩ মিনিট |
১৩ | ১৫ই এপ্রিল | শুক্রবার | ৪ঃ১৪ মিনিট | ৪ঃ২০ মিনিট | ৬ঃ২৪ মিনিট |
১৪ | ১৬ই এপ্রিল | শনিবার | ৪ঃ১৩ মিনিট | ৪ঃ১৯ মিনিট | ৬ঃ২৪ মিনিট |
১৫ | ১৭ই এপ্রিল | রবিবার | ৪ঃ১২ মিনিট | ৪ঃ১৮ মিনিট | ৬ঃ২৪ মিনিট |
১৬ | ১৮ই এপ্রিল | সোমবার | ৪ঃ১১ মিনিট | ৪ঃ১৭ মিনিট | ৬ঃ২৫ মিনিট |
১৭ | ১৯শে এপ্রিল | মঙ্গলবার | ৪ঃ১০ মিনিট | ৪ঃ১৬ মিনিট | ৬ঃ২৫ মিনিট |
১৮ | ২০শে এপ্রিল | বুধবার | ৪ঃ০৯ মিনিট | ৪ঃ১৫ মিনিট | ৬ঃ২৬ মিনিট |
১৯ | ২১শে এপ্রিল | বৃহস্পতিবার | ৪ঃ০৮ মিনিট | ৪ঃ১৪ মিনিট | ৬ঃ২৬মিনিট |
২০ | ২২শে এপ্রিল | শুক্রবার | ৪ঃ০৭ মিনিট | ৪ঃ১৩ মিনিট | ৬ঃ২৭মিনিট |
নাজাতের ১০ দিন | |||||
২১ | ২৩শে এপ্রিল | শনিবার | ৪ঃ০৬ মিনিট | ৪ঃ১২ মিনিট | ৬ঃ২৭ মিনিট |
২২ | ২৪শে এপ্রিল | রবিবার | ৪ঃ০৫ মিনিট | ৪ঃ১১ মিনিট | ৬ঃ২৮ মিনিট |
২৩ | ২৫শে এপ্রিল | সোমবার | ৪ঃ০৫ মিনিট | ৪ঃ১১ মিনিট | ৬ঃ২৮ মিনিট |
২৪ | ২৬শে এপ্রিল | মঙ্গলবার | ৪ঃ০৪ মিনিট | ৪ঃ১০ মিনিট | ৬ঃ২৯ মিনিট |
২৫ | ২৭শে এপ্রিল | বুধবার | ৪ঃ০৩ মিনিট | ৪ঃ০৯ মিনিট | ৬ঃ২৯ মিনিট |
২৬ | ২৮শে এপ্রিল | বৃহস্পতিবার | ৪ঃ০২ মিনিট | ৪ঃ০৮ মিনিট | ৬ঃ২৯ মিনিট |
২৭ | ২৯শে এপ্রিল | শুক্রবার | ৪ঃ০১ মিনিট | ৪ঃ০৭ মিনিট | ৬ঃ৩০ মিনিট |
২৮ | ৩০শে এপ্রিল | শনিবার | ৪ঃ০০ মিনিট | ৪ঃ০৬ মিনিট | ৬ঃ৩০ মিনিট |
২৯ | ১লা মে | রবিবার | ৩ঃ৫৯ মিনিট | ৪ঃ০৫ মিনিট | ৬ঃ৩১ মিনিট |
৩০ | ২রা মে | সোমবার | ৩ঃ৫৮ মিনিট | ৪ঃ০৪ মিনিট | ৬ঃ৩১ মিনিট |
রমজান অর্থ কি?
রমজান আরবি শব্দ। যার উৎপত্তি রজম ধাতু থেকে। অর্থ- দহন করা । ঝলসে দেওয়া। রমজানের এক মাস রোজা রাখার দ্বারা সাধকের সব পাপ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রুহের কালিমা দূর হয়। মমিনের হৃদয়ের ঔজ্জল্য আসে। তাকওয়ার অধিকারী ও মুত্তাকী হতে পারে। তাই এ মাসটির নাম রমজান।
রমজানের বিশেষ বরকত সমূহ:
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রমজান মাসে প্রতিটি নেক কাজের প্রতিদান 70 গুণ বেশি হয়। নফলের সওয়াব বৃদ্ধি হয়ে একটি ফরজের সমপর্যায়ে পৌঁছে যায়। একটি ফরজ 70 টি ফরজ এর সমতুল্য হয়ে যায়। – বায়হাকী 39 জাকাতের দান সদকা অন্যান্য সময়ের তুলনায় 70 গুণ বেশি মূল্যবান হয়ে যায়।