Native Banner
বিসমিল্লাহির রহমানুর রহিম
আসসালামু আলাইকুম এ প্রশ্নে আমি হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের একজন দুর্দান্ত খেলোয়ার মুশফিকুর রহিম এর জীবন কাহিনী নিয়ে। আপনারা যারা মুশফিকুর রহিমের সব অজানা তথ্য পাওয়ার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন তাদের জন্যই আজকে আমাদের এই পোস্ট। জানতে পারবেন মুশফিকুর রহিম এর জন্ম কোথায় তিনি কয় ফুট লম্বা তার শৈশব কাল কেমন ছিল। আমি জানি আজকে এই পোস্টটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই আর দেরি না করে মূল বিষয় চলে আসি।
মুশফিকুর রাহিম জাতীয় দলের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে এসেক্স ও নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে খেললেন ৬৩ ও ১১৫ রানের দারুণ দুটি ইনিংস।সুযোগ পেয়ে গেলেন সেরা একাদশে। ২৬শে মে ২০০৫, লর্ডসের সবুজ ঘাসে অভিষিক্ত হয়ে রেকর্ড গড়লেন ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার মুশফিকুর রহীম। ঘরে বসে তখন প্রার্থনায় রত বাবা মাহবুব হামিদ আর মা রহিমা খাতুন। মা কথা বলতে পারেন না। কথা জড়িয়ে যায়। কিন্তু ছেলের জন্য আবেগ উৎকন্ঠা সবই যে ফুটে উঠেছিলো তার চোখে।খেললেন মুশফিক, গর্বিত করলেন তার মা বাবাকে। গর্বিত করলেন বগুড়াবাসীকে। ১৯ রান করে অভিষেকটা তেমন স্মরণীয় করতে না পারলেও ১০৮ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ দলের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় ব্যাটসম্যান যিনি কিনা দুই অঙ্কের ঘরে পৌছতে পেরেছিলেন। কিন্তু মুশফিকের কি দূর্ভাগ্য, ইনজুরীতে পড়ে পুরো সিরিজের জন্যই চলে গেলেন মাঠের বাইরে। ঘরে বসে মা রহিমা খাতুনের সে কি কান্না। ইনজুরীতে আক্রান্ত মুশফিকের নিষ্পাপ কচি মুখ কুঁকড়ে যেতে দেখেই বোধহয়। মায়ের মন তো।কীভাবে কঠোর পরিশ্রম একটা মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ যেন মুশফিকুর রহীম। করলেন ভারতের বিপক্ষে নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরী। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে পেলেন জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব। দলকে নিয়ে গেলেন এশিয়া কাপের ফাইনালে, জিতলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ, নিউজিল্যান্ড সিরিজ।
শ্রীলংকার মাটিতে করলেন ২০০ রান। ঘরোয়া লীগ বলেন কিংবা জাতীয় দল দুই জায়গাতেই সমানভাবে পারফর্ম করে যেতে লাগলেন।
শ্রীলংকার মাটিতে করলেন ২০০ রান। ঘরোয়া লীগ বলেন কিংবা জাতীয় দল দুই জায়গাতেই সমানভাবে পারফর্ম করে যেতে লাগলেন।
পরিশেষে :
আমার এই আর্টিকেলটিতে যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় আর্টিকেল লিখে থাকি। আর আপনি চাইলেই আমার ওয়েবসাইটের একজন নিয়মিত ভিজিটর হতে পারেন। আপনাদের সহযোগিতায় আমার একান্তই কাম্য।