মানুষিক সাস্থ্য দিবস 2023

Native Banner
আসসালমুআলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে।যা হলো মানুষিক সাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করবো। আপনারা যারা সাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন তাদের জন্যই আজকে আমরা নিয়ে এসেছি এই পোষ্ট।আসা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তো চলুন জেনে নেয়া যাক মানুসিক সাস্থ্য দিবস কবে । মানুসিক সাস্থ্য টা কি?মানসিক স্বাস্থ্য বলতে মানসিকভাবে অসুস্থ তাকে বুঝায়। আবার একজন মানুষের মন মানসিকতা যদি সুস্থ না থাকে তাহলে সে মানুষটাকে কখনো সুস্থ মানুষ হিসেবে ধরে নেওয়া হয় না। মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে 1992 সালে প্রথম বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়। আপনি যদি বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান? তাহলে, এই নিবন্ধটি ভালো করে অনুশীলন করুন।
content of table
  • 1মানুসিক সাস্থ্য দিবস কবে
  • 2 মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বাণী
  • 3  মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উক্তি
  • 4 মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ক্যাপশন
  • 5 মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কবিতা

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস:

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস প্রতি বছর 10 অক্টোবর সারা বিশ্বে পালিত হয়। মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা সংগঠিত করার জন্য, এই দিনটি পালন করা হয়। ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন 10 অক্টোবর 1/2 তারিখে এটি শুরু করে। জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল রিচার্ড হান্টার এবং ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেন্টাল হেলথের উদ্যোগে এই দিনটি প্রথমবার পালন করা হয়। মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার কারণে বিশ্বের অনেক মানুষ সামাজিক কলঙ্ক, ডিমেনশিয়া, হিস্টিরিয়া, উদ্বেগ, অনিদ্রায় ভুগছে। বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন এবং যেমন মানসিক রোগ। এই সমস্যাগুলোর প্রতি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়।সুস্থ শরীর ছাড়া যেমন সুস্থ মন সম্ভব নয়, তেমনি সুস্থ মন ছাড়া সুস্থ শরীর ও সুস্থ জীবন কিছুতেই সম্ভব নয়। । পাওয়া আর না পাওয়ার মধ্যে দুরত্ব কমিয়ে আনার উপরই সকলের দৃষ্টি। সারা বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সমাজের অংশগ্রহনের উদেশ্যে প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করা হয়। করনার এই অতিমারিতে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যেভাবে মানুষ ফোকাস করছে তা আগে কখনওই দেখা যায়নি। ছোট থেকে বড়, ধনী থেকে গরীব সবাই এই অতিমারিতে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। আর চেষ্টা করতে বলা হচ্ছে “নিউ নরমাল জীবন” কে মেনে নিতে। যে যতটা মানিয়ে নিতে পারছে, সে তত তাড়াতাড়ি আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারছে। যে মানিয়ে নিতে পারল না তার ভবিষ্যত দিন দিন খারাপের দিকে যাবে, এতে কোন সন্দেহ নাই।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউট, ঢাকা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষনায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর শতকরা ১৬ভাগ ও শিশু কিশোরদের শতকরা ১৮ ভাগ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। বিপুল এ জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট অংশ অনেক সময় প্রচলিত ভ্রান্ত ধারনা, কুসংস্কার ও চিকিৎসা প্রাপ্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এতে কর্মক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে যা জাতীয় অগ্রগতির উন্নয়নের পথে বড় বাঁধা।