প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামুআলাইকুম আশা করছি সবাই ভালো আছেন আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি মূল্যবান আরটিকেল আলোচনা করব যা হলেও মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর জীবন নিয়ে কিছু কথা ও আল্লাহ সালামের জীবনের বর্ণনা। প্রিয় বন্ধুরা আপনারা এখনো যারা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী সম্পর্কে সঠিক জানেন না আমাদের আর্টিকেলে এবং নবীজির নিয়ে সঠিক ভাবে জানুন। আমি আজকের এয়ারটেকেলে মহানবী সাঃ এর জীবনী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
মহানবী (সা.) ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে ভূমিষ্ঠ হন। ২০ এপ্রিল তার জন্ম। আরবি হিজরি সাল অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, রবিউল আউয়ালের ৮ তারিখ মহানবী (সা.) জন্মগ্রহণ করেছেন। অধিকাংশ হাদিসবিশারদ একে বিশুদ্ধ বলেছেন।
মহানবী (সা.)-এর জীবনী লেখকদের মধ্যে ইবনে ইসহাক প্রথম সারির জীবনীকার। তিনি বলেন, মহানবী (সা.) হাতিবাহিনীর ঘটনার বছর ১২ রবিউল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেছেন।
আধুনিক যুগে সিরাতবিষয়ক গ্রন্থ ‘আর রহিকুল মাকতুম’-এ নামক এসেছে, ‘সায়্যিদুল মুরসালিন মক্কায় বনি হাশিমের ঘাঁটিতে সোমবার সকালে ৯ রবিউল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেন, যে বছর হাতির ঘটনা ঘটে। সে বছর পারস্য দেশের বাদশাহ আনু শিরোয়ার ক্ষমতা গ্রহণের ৪০ বছর পূর্ণ হয়।
আর রহিকুল মাকতুম, খণ্ড-১, পৃ. ৪৫)
তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন প্রণেতা মুফতি মুহাম্মদ শফি (রহ.) মহানবী (সা.)-এর জন্ম তারিখ সম্পর্কে আরো কিছু অভিমত উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, এ বিষয়ে সবাই একমত যে নবী করিম (সা.)-এর জন্ম রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার দিন হয়েছিল।
কিন্তু প্রসিদ্ধ বর্ণনা হচ্ছে ১২ তারিখ। ‘তারিখে ইবনে আছির’ গ্রন্থে এ তারিখই গ্রহণ করা হয়েছে।
গবেষক মাহমুদ পাশা জ্যোতির্বিজ্ঞানের আলোকে ৯ তারিখ গ্রহণ করেছেন। এটি সবার মতের বিপরীত ও সূত্রবিহীন উক্তি। যেহেতু চাঁদ উদয়ের স্থান বিভিন্ন, তাই গণনার ওপর এতটুকু বিশ্বাস ও নির্ভরতা জন্মায় না যে তার ওপর ভিত্তি করে সবার বিরোধিতা করা যাবে। (মুফতি মুহাম্মদ শফি : সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, ইসলামিয়া কুতুবখানা, ঢাকা, ১৯৯৬, পৃষ্ঠা ১৭)
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম তারিখ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও দিন হিসেবে সোমবার সম্পর্কে কোনো মতভেদ নেই। কারণ জীবনচরিত রচয়িতারা একমত যে রবিউল আউয়াল মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে সোমবার দিন নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম। এই সোমবার ৮ অথবা ৯ কিংবা ১২—এটুকুতেই হিসাবের পার্থক্য রয়েছে মাত্র। (ইসলামী বিশ্বকোষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ)
পরিশেষে প্রিয় বন্ধুরা আমি আজকের এই আর্টিকেলে মহানবী সাঃ এর জীবনী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করছি এই আর্টিকেল থেকে আপনারা খুব সহজেই মহানবী সাঃ এর জীবনী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন কিছু জানা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের জানাবেন ধন্যবাদ।