বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে থাকছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে রয়েছে ইউনিসেফ, শিশু অধিকার ফোরাম, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্ক, এসওএস চিলড্রেন ভিলেজ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, সেভ দ্য চিলড্রেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, জাগো ফাউন্ডেশন, সিআইপিআরবি, ব্র্যাক, ডন ফোরাম, এডুকো বাংলাদেশ, শাপলানীড়, টিডিএইচ নেদারল্যান্ডস, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামসহ বিভিন্ন শিশু সংগঠন ও সংস্থা।
ভারতে
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু শিশুদের কাছে ছিলেন প্রিয় “চাচা নেহেরু”। অন্যদিকে জওহরলাল নেহরুও ছোটদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালোবাসতেন।
রাষ্ট্রসংঘ ১৯৫৪ সালের ২০ নভেম্বর দিনটিকে শিশু দিবস হিসাবে পালনের জন্যে ঘোষণা করেছিল। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ভারতেও ২০ নভেম্বর শিশু দিবস হিসাবে পালন করা হত।
তবে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে,পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর প্রয়াণের পর শিশুদের প্রতি তার চরিত্রের এই বিশেষ দিকটিকে স্মরণে রেখে সর্বসম্মতভাবে তার জন্মদিনটি ভারতে শিশু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর থেকেই প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর দিনটি শিশু দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশে
১৯৯৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ই মার্চ প্রথম জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন হয় বেসরকারীভাবে। শিক্ষাবিদ ড. নীলিমা ইব্রাহিম দিবসটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন ১৯৯৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর শিশু সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার জাতীয় সম্মেলনে। সেই সম্মেলনে প্র্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতীয় শিশু দিবস পালনের ড. নীলিমা ইব্রাহিমের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানান।
বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে আরও আছে শিশুদের উন্নয়ন, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও অধিকার বিষয়ে ক্যাম্পেইন, জাতীয় পর্যায়ে পলিসি ডায়ালগ সেশন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা। আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় শিশুসংগঠক, শিশু বিশেষজ্ঞ, শিশু সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। এসব অনুষ্ঠান সরাসরি ও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে প্রচার করা হবে।
১৯৯৪ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা প্রথমবারের মত বেসরকারীভাবে ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে। প্রথম জাতীয় শিশু দিবস উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা।
১৯৯৬ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে সরকারীভাবে দিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয় বাংলাদেশে ।বিশ্ব শিশু দিবসের অনুষ্ঠান ও টকশো বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হবে। বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ এবং আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া পোস্টার, পিভিসি ও ফেস্টুন-ব্যানার স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভবন ও ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কদ্বীপ সজ্জিত করা হবে। দেশের সকল জেলা এবং উপজেলায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপন করা হবে।
আশা করি আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি আপনার কাঙ্খিত স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করে নিতে পেরেছেন। যদি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম নানান ধরনের উক্তি দেওয়া আছে আপনারা চাইলে ভিজিট করে সংগ্রহ করে দিতে পারবেন।আরো কিছু জানার থাকলে নিচে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন আমরা আপনার কমেন্টের উত্তর খুব শীঘ্রই দেয়ার চেষ্টা করব। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।সকলেই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………..