বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি বিশ্ব বাঘ দিবস নিয়ে ।যারা বিশ্ব বাঘ দিবস খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে বিশ্ব বাঘ দিবস নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
বিশ্ব বাঘ দিবস:
আজ বিশ্ব বাঘ দিবস।সমগ্র বিশ্বে বাঘের সংরক্ষণের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ২৯ জুলাই তারিখে পালন করা হয়। ২০১০ সালে সেণ্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত বাঘ অভিবর্তনে এই দিবসের সূচনা হয়।ই দিবস পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য হল বাঘের প্রাকৃতিক আবাস রক্ষা করা এবং বাঘের সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে এর সম্পর্কে থাকা ভুল ধারণা ও ভয় দূর করা।সম্মেলনে ১৩টি বাঘের টেরিটোরি দেশের সংগঠন 2023সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার জন্য ঘোষণাপত্র জারি করেন । প্রতি বছর বিভিন্ন কার্যসূচীর মাধ্যমে এই দিবস পালন করা হয়। বাঘ ভারতের জাতীয় পশু হওয়ার কারণে এই দিবসের মহত্ব এখানে বেশি ধরা হয়।বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশে গত চার বছরে বাঘের সংখ্যা ১০৬ থেকে বেড়ে বর্তমানে ১১৪টি হয়েছে।
২০১৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে দাঁড়ায় ১০৬টি। হটাৎ করে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ৪০০টি থেকে ১০৬টিতে এসে দাঁড়ালে সারাবিশ্বে হৈ চৈ পড়ে যায়। সর্বশেষ বাঘশুমারিতে সুন্দরবনে ১০৬ থেকে বেড়ে বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৪টিতে।জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সুন্দরবনে চোরা শিকারি ও বাঘের আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে হুমকির মুখে রয়েছে বাঘ।
সারা বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হলেও বাঘ টিকে আছে বিশ্বে এমন ১৩টি দেশে বাঘের ঘনত্ব বেশি থাকায় এসব দেশে গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাঘ বাঁচাবে সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচাবে লক্ষ প্রাণ’।
পুনর্প্রবর্তনপদ্ধতিতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি:
জলবায়ু পরিবর্তনে পৃথিবীর ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনে অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি- মানুষসহ পশুপাখির দেশের দক্ষিণাঞ্চলে টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।বনের পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষায় বাঘের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঘের সংখ্যা কমে গেলে বনের পরিবেশের ভারসাম্য হারাবে। ১০০ বছর আগেও পুরো বিশ্বের প্রায় এক লাখের মতো বাঘের বসবাস ছিল। সময়ের সাথে সাথে বনাঞ্চল ধ্বংস কালোবাজারি ও সূরা কারবাদীদের জন্য বাঘ হত্যা সহ বিভিন্ন কারণে এই সংখ্যাহ হ্রাস পেতে পেতে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় চার হাজার টি বাঘের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে।বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশ রক্ষায় সুন্দরবনের টেকসই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আর সুন্দরবন টেকসই করার জন্য বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির কোনও বিকল্প নেই।১১৪টি বাঘের মধ্যে যদি ২০টি প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী বাঘও থাকে, তাদের থেকে প্রতিবছর কমপক্ষে ২০-৪০টি বাঘ বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেইভাবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে না।একদিকে বাঘ যেমন বাংলাদেশের জাতীয় পশু। অন্যদিকে তেমনি সুন্দরবন রক্ষায় বাঘের গুরুত্ব অপরিসীম। বাঘ বাঁচলে আমাদের সুন্দরবন বাঁচবে তাই বাগ রক্ষা এবং বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাজে মন সুন্দরবনের জন্য অত্যাবশ্যক ঠিক তেমনি সুন্দরবন ও বাঘের প্রয়োজন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ বিশ্ব বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন বিলুপ্ত হয়ে গেলে গোটা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। বহুলাং সে বাড়িয়ে দেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা। দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প নেওয়ার মাধ্যমে সুন্দরবনে অনেক সংখ্যক বাঘ ছাড়া সম্ভব।
শেষ কথা:
পাঠক বন্ধুরা আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে বিশ্ব বাঘ দিবস আলোচনা করেছি। আশা করি, এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………