লিওনেল মেসির পরিচয়:
পারিবারিক জীবন
থিয়াগো রীতিমত ফুটবল পাগল। সে প্রত্যেক ম্যাচে মাঠে আসে, খেলা দেখে, বাড়িতেও ফুটবল নিয়েই পড়ে থাকে। বার্সা বা আর্জেন্টিনা হারলে আমাদের মতই কষ্ট পায় সে। বিশেষ করে এবার লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচ এবং কোপা ডেল রে ফাইনালের পর সে অনেক কান্না করেছিল। মাতেও একেবারেই ছোট, সে খেলা দেখে ঠিকই; কিন্তু থিয়াগোর মত আবেগী নয়। আমরা হারি বা জিতি, তার তাতে তেমন কিছু যায় আসে না।
পরাজয় যেভাবে নেন
আগে ম্যাচ হারলে অনেক বেশি কষ্ট পেতাম। কখনও রুমে তালাবদ্ধ হয়ে থাকতাম কয়েকদিন, ঠিকমত খাওয়া-দাওয়াও করতাম না। কিন্তু থিয়াগো জন্মের পর আমি বুঝতে পারলাম, জীবনে ফুটবলে হার-জিতের চেয়েও পরিবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন হারলেও আমার দায়বদ্ধতা আছে আমার সন্তান এবং স্ত্রীর প্রতি। ম্যাচ হারলেও সেদিন খাবার টেবিলে পরিবারের সাথে থাকতেই হবে আমার। এখনও হারলে কষ্ট পাই, কিন্তু এখন সেগুলো অন্যভাবে সামাল দেই।
রেকর্ডস সমূহ
সর্বশেষ ডিসেম্বর,২০২০ অনুযায়ী।
বার্সেলোনা:
বার্সেলোনা ডার্বিতে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ২১ গোল
এল ক্লাসিকোতে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ২৬ গোল
অ্যাথলেটিক-বার্সেলোনা ক্লাসিকোতে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ২৪ গোল
ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলদাতা: ১২১ গোল
লা লিগায় সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিক: ৩৬টি
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিক: ৪৮টি
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ৬৪৪ গোল
প্রীতি ম্যাচ সহ সর্বোচ্চ গোলদাতা: – গোল
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ১১৮ গোল
সর্বাধিক প্রতিযোগিতামূলক ট্রফি জয়: ৩৪টি
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা: ৭১ গোল
এক পঞ্জিকাবর্ষে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ১২ গোল (২০১২ সালে)(গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার সাথে যৌথভাবে)
একমাত্র আর্জেন্টাইন হিসেবে সকল কনমেবল দলের বিরুদ্ধে গোল
সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে কনমেবল অঞ্চলে জাতীয় দলের হয়ে ১০০ উপস্থিতি: ২৭ বছর ৩৬১ দিন (২০১৫ সালে)
সর্বাধিক আর্জেন্টিনার সেরা ফুটবলারের পুরস্কার: ১১ বার (২০০৫, ২০০৭-১৩, ২০১৫-১৭)
আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়: ১৮ বছর ৩৫৭ দিন (২০০৬ বিশ্বকাপে)
সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে গোল : ১৮ বছর ৩৫৭ দিন (২০০৬ বিশ্বকাপে)