আসসালামুআলাইকুম প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আপনারা অনেকে জানতে চান 2023 সালের শবেবরাত কত তারিখে হতে পারে। এর জন্য অনেকে গুগলের সার্চ করে থাকেন শবে বরাত কবে তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট আজকে আপনারা জানতে পারবেন 2023 সালের শবেবরাত কত তারিখে হতে পারে।
শব-ই-বরাত কেন করা হয়:
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর ইবাদতের জন্য মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।শবে বরাতের প্রচার ঘটে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর মাধ্যমিক থেকে। সেই থেকে প্রতিবছর মুসলমান মোমেন ব্যক্তিরা শবে বরাত পালন করে থাকেন।মার্চ ১৮, শুক্রবার শব-ইবরাত মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, শব-ই-বরাতের রাতে, আল্লাহ্ অতীতে তাদের দ্বারা সংঘটিত কাজের হিসাব নিয়ে আগামী বছরের জন্য সমস্ত মানুষের ভাগ্য লিখে দেন।মুসলিম ভক্তরা শবেবরাতের পুরো রাত জুড়ে বিশেষ প্রার্থনা, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং অন্যান্য ধর্মীয় আচার পালন করবেন, মানবজাতির মঙ্গলের জন্য ঐশ্বরিক আশীর্বাদ পাওয়ার আশায়।কিছু মুসলমানদের জন্য তাদের প্রিয়জনদের কবর পরিদর্শন করা এবং তাদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করা শব-ই-বরাতের ঐতিহ্যের অংশ বাংলাদেশ অনেক লোক শবে বরাতের পরের দিন উপবাস করবে এবং কিছু লোক তাদের প্রতিবেশী এবং তড়িৎ রোধের খাবার এবং মিষ্টি দেবে শাবান মাসের 14 তারিখে শিয়া মুসলমানরা মোহাম্মদ আলীর জন্মদিন হিসেবেও সম্মানিত করে। যিনি মানবজাতির চূড়ান্ত ত্রাণকর্তা বলে মনে করা হয়।বারাআত নাইট, মিড শাবান, দ্য নাইট অফ রেকর্ডস, দ্য নাইট অফ ফরচুন অ্যান্ড ফরগিভেনেস নামেও পরিচিত, শব-ই-বরাত হল একটি ছুটির দিন যা ইসলামী ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস শা’বানের 14 তম রাতে পালন করা হয়। তুরস্কে একে বলা হয় বেরাত কান্দিলি।
শবে বরাতের ফজিলত :
হজরত আয়িশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন; আমি তখন উঠে তাঁর পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল; তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়িশা! তোমার কি এ আশঙ্কা হয়েছে? আমি উত্তরে বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)!সন্ধ্যায়- এই রাতে মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ৬ রাকাত নফল নামায পড়া উত্তম। এই ৬ রাকাত নফল নামাজের নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাত নামাজ শেষ করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা এখলাছ ২১ বার তিলাওয়াত করতে হবে।
পবিত্র শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া ও করণীয় বর্জনীয় নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো। আগামী ৭ই মার্চ ( মঙ্গলবার ) দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবে বরাত ।৭ই মার্চ তারিখ দিবাগত রাতেই হল শবে বরাত শবে বরাত মানে হলো মুক্তির রজনী শবে বরাতের আরবি হল লাইলাতুল বরাত। হাদীস শরীফে যাকে নিষ্ঠাবান শাবান মাসের মধ্যে দিবসে রজনী বলা হয়েছে। অনেক দেশের ফারসি উর্দু বাংলা হিন্দি সহ নানা ভাষায় শবেবরাত নামে অধিক পরিচিত। শবে বরাত রাতে সকল মুসলমান নামাজ আদায় করে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করে অনেকে মনে করে শবে বরাতের এই লাইলাতুল কদরের রাতে সালাত আদায় করলে নাকি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করা সহজ হয়। শবে বরাতের নফল নামাজ ও ইবাদত রাসুল সালাম বলেছেন যখন শাবান মাসের মধ্যে আসবে তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত বেশি বেশি করবে অধীনে রোজা পালন করবে ।ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলে নকল নামাজ ।প্রতিদিন ইবাদতের জন্য নতুন ওযু করা মুস্তাহাব। বিশেষ ইবাদতের জন্য গোসল করাও মুস্তাহাব ।ইবাদতের জন্য দিন অপেক্ষা লাইলাতুল কদরের রাতে নফল এবাদত করা অধিকতর শ্রেয়।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম:
দুই রাকাত তহিয়াতুল অজুর নামাজ, নিয়ম- প্রতি রাকাতে আল হামদুলিল্লাহ (সূরা ফাতিহা) পড়ার পর , ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং তিন বার ক্বুলহু আল্লাহ (সূরা এখলাছ)। ফজিলত: প্রতি ফোটা পানির বদলে সাতশত নেকী লিখা হবে দুই রাকাত নফল নামাজ, নিয়ম- ১ নম্বর নামাজের মত, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ, অতঃপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরীফ। ফজিলত: রুজিতে বরকত, দুঃখ-কষ্ট হতে মুক্তি লাভ করবে, গুনাহ হতে মাগফিরাতের বকশিস পাওয়া যাবে।আট রাকাত নফল নামাজ দু’রাকাত করে পড়তে হবে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, সূরা এখলাছ ৫ বার করে। একই নিয়মে বাকি সব। ফজিলত: গুনাহ থেকে পাক হবে, দু’আ কবুল হবে এবং বেশি বেশি নেকী পাওয়া যাবে।
সতর্কতাঃ
মনে রাখতে হবে ফরজ নফলের চেয়ে অনেক বড় শবে বরাতের নামাজ। যেহেতু নফল সেহেতু নফল পড়তে পড়তে ফরজ পড়া ভুলে গেলে বা ঘুমের কারণে পড়তে না পারলে কিন্তু সবই শেষ। অর্থাৎ নফল নামাজ পড়ে পড়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন আর এই দিকে ফজরের নামাজ পড়তে পারলেন না। সাবধান এ যেন না হয়। ভাল হয় শবে বরাতের নফল শেষ করে বেতের নামাজ পড়ে এর পর ফজর পড়া। যাই করেন নামাজ পড়েন আর ঘুমান সমস্যা নেই, ঠিক সময় মত উঠে ফজর নামাজ যেন পড়তে পারেন সেই দিকে খেয়াল রাখবেন।
শেষ কথা:
আশা করি, এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………