বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি বাচ্চাদের কে ছোট ভেবে ভুলেও তার সামনে এসব কাজ করবেন না নিয়ে ।যারা বাচ্চাদের কে ছোট ভেবে ভুলেও তার সামনে যেসব কাজ করবেন না খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে আপনার বাচ্চাদের কে ছোট ভেবে ভুলেও তার সামনে এসব কাজ করবেন না নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ুন। এবং নিত্য নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
বাচ্চাদের সামনে এসব কাজ করবেন না:
1. কোনো ভাই-বোন কিংবা বন্ধুর সঙ্গে কখনও বাচ্চার তুলনা করবেন না। এতে শিশুর মনে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। আপনার বাচ্চা যেমন, সেই নিজস্বতাকে স্বীকৃতি দিয়েই ওকে এগিয়ে যেতে দিন। তাদের পরীক্ষার ফল দেখে কখনও ভুলেও বলবেন না যে আরও ভালো হতে পারত!
2. কোনো কাজ ভুল করলে সেটা বাচ্চাকে বলুন। কিন্তু বাচ্চার মধ্যে সেই ভুলের অপরাধবোধ জমতে দেবেন না। এটি বাচ্চার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব গড়ে তুলতে পারে। কখনই তাদের বলবেন না, ‘কোনো কাজই তুমি ঠিকমতো করতে পারো না’!
3. বাচ্চার সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো কিংবা তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলারও সময় নেই আপনার হাতে? কঠোর হতে গিয়ে নিজের অনুভূতিগুলো বাচ্চার থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে বাচ্চাও কিন্তু ভবিষ্যতে অনুভূতিশূন্যতার সমস্যায় ভুগবে। বাচ্চা তার মনের কথা বলতে চাইলে তাকে থামিয়ে না দিয়ে বলতে দিন।
4. ছেলে ও মেয়ের মধ্যে তফাত করবেন না! দু’জনকেই একই চোখে দেখুন। ছেলেদেরকে যেসব কাজের জন্য স্বাধীনতা দিচ্ছেন, মেয়েদেরও তা থেকে বঞ্চিত করবেন না। ‘মেয়ে হয়ে এই কাজ তোমায় মানায় না’— এই প্রকার কোনো মন্তব্য শিশুর কাছে করবেন না।
5. আপনি শিশুর জন্য কী কী করছেন তা ওকে জানতে না দিলেও চলবে। এই প্রকার কোনো মন্তব্য শিশুর মনের ওপর বোঝা তৈরি করতে পারে।
6. শিশুর সামনে ফোন এবং টিভি কম ব্যবহার করুন। এর ফলে আপনার সন্তানও গ্যাজেট থেকে দূরে থাকবে। যদি সন্তান আপনাকে সারাদিন টিভি বা ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখে তাহলে সেও এ অভ্যাস রপ্ত করবে। তখন হাজার চেষ্টা করেও সন্তানের গেজেট প্রীতি কমাতে পারবেন না।
7. মা-বাবা তাদের পরিবারের অন্য কোনো সদস্য, প্রতিবেশী বা বন্ধুর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকলে, শিশুদের ওপর সেটির বাজে প্রভাব পড়বে। কারও সঙ্গে মতের অমিল হলে বা কাউকে অপছন্দ করলেও শিশুদের সামনে তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করা যাবে না। সেটি করলে শিশুরাও সেই ব্যক্তিকে কোনো সময় অপমান করতে পারে বা খারাপ ব্যবহার করতে পারে।
8. একজন মানুষের সাথে আপনার মতের মিল নাই হতে পারে। কিন্তু তাই নিয়ে ঝগড়া করা নিশ্চয়ই কাজের কথা নয়! বাচ্চা যদি ছেলেবেলা থেকে ঝগড়া দেখে বড়ো হয় তাহলে তার মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হয় সে অনেক ভীতু হিসেবে বড়ো হয় অথবা খুব বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাই এখন থেকেই এ বিষয়ে সচেতন হোন।
9. শিশুরা আশপাশে থাকলে স্বামী-স্ত্রীর ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে। তাদের সামনে এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা তাদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সবসময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ভালো আচরণ করতে হবে।
10. ঘরোয়া আড্ডা কিংবা পরিচিত কারো সাথে কথা বলার সময় আমরা প্রায়শই অন্যের সমালোচনা করে ফেলি। আর এই সমালোচনা বেশিভাগ সময় গঠনমূলক হয় না। বাচ্চারা এধরনের সমালোচনা শুনলে নিজেরাও একই আচরণ করবে। পাশাপাশি এধরনের সমালোচনা বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির কারন হয়।
11. কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে শিশুদের সামনে বাজে মন্তব্য করা যাবে না। কারও গায়ের রঙ, রূপ, শরীর বা খারাপ গুণাবলি নিয়ে মন্তব্য করা যাবে না। এটি করলে তারাও এই অভ্যাস পেয়ে বসবে।
12. আধো আধো বুলিতে বাচ্চার মুখের কথা কে না ভালোবাসে! কিন্তু সন্তানের সামনে যদি আপনি বাজে শব্দ ব্যবহার করেন, গালাগালি করেন তাহলে আপনার সন্তান কিন্তু গালিটাকেই স্বাভাবিক শব্দ হিসেবে গ্রহণ করবে। ফলে তার আধো বুলিতে কিন্তু গালাগালিও যুক্ত হবে! তাই শিশুর সামনে ভাষার ব্যবহারে সচেতন হোন।
শেষ কথা:
পাঠক বন্ধুরা আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাচ্চাদের কে ছোট ভেবে ভুলেও তার সামনে এসব কাজ করবেন না আলোচনা করেছি। আশা করি, এই আর্টিকেলে আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………