বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়ঃ গিগ তৈরি ও অন্যান্য নিয়ে ।যারা ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়ঃ গিগ তৈরি ও অন্যান্য খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়ঃ গিগ তৈরি ও অন্যান্য নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়ঃ গিগ তৈরি ও অন্যান্য
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে ফাইভার অন্যতম জনপ্রিয়। ফাইভার মূলত গিগ ভিত্তিক সিস্টেমে কাজ করে। ফাইভারে সফল গিগ তৈরির পেছনে নির্ভর করে আপনার ফাইভার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার আদৌ সফল হবে কিনা। ফাইভার এ সফল হতে গেলে একজন ফ্রিল্যান্সার এর উচিত তার গিগ বা গিগগুলোকে সুন্দরভাবে সাজানো।
ফাইভার কি?
ফাইভার হলো একটি জনপ্রিয় ডিজিটাল অনলাইন মার্কেটপ্লেস, যেখানে ফ্রিল্যান্সরগণ নিজেদের সেবা প্রদান করেন ও যাদের প্রয়োজন অর্থাৎ বায়ার তারা সেবা কিনে থাকেন। ফাইভার এর কাজকে গিগ বলা হয়। ফাইভার এ প্রতিটি গিগ এর দাম ৫ ডলার থেকে শুরু করে হাজার হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
গিগ টাইটেল: গিগ তৈরি করার সময় প্রথমে দিতে হয় গিগ টাইটেল। সর্বোচ্চ ৮০ অক্ষর ব্যাবহার করতে পারবেন টাইটেলে। যে গিগ গুলো আপনি নতুন ট্যাবে ওপেন করেছেন। সেগুলার প্রতিটা টাইটেল আপনি কোন একটা এডিটর বা ওয়ার্ড ফাইলে রাখুন। তারপর দেখুন কোন ওয়ার্ডগুলা কমন এবং অনেকেই ব্যাবহার করেছে। ওয়ার্ডগুলা আলাদ করে রাখুন। এর ফলে আপনি অনেক গুলা ওয়ার্ড পেয়ে গেলেন। এখন আপনি এই ওয়ার্ডগুলোকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিজের মত একটি টাইটেল তৈরি করুন। ভুলেও কপি করবেন না।
প্রাইস প্যাকেজ: এখানে সাধারণত একটি বা ৩ টি প্যাকেজ রাখা যায়। সবচেয়ে ভালো হয় ৩ টি প্যাকেজ ব্যাবহার করলে। অন্যান্য গিগ দেখে ধারনা নিতে পারেন। আপনি নতুন হলে নরমাল প্রাইসের চেয়ে সামান্য কম রাখতে পারেন। তবে খুব কম রাখবেন না। এতে মার্কেট নষ্ট হয়। আর যাদের কাজ দেওয়ার ইচ্ছা তারা প্রাইসের চেয়ে কোয়ালিটির দিকে বেশি মনোযোগ দিয়ে থাকে। প্রাইস করার সময় এক প্যাকেজের সাথে অন্য প্যাকেজের যাতে একটা ব্যবধান থাকে। ধরুন, একটি শার্ট কিনলে ৫০ টাকা, ২ টা কিনলে ৮০ টাকা আর ৩ টা কিনলে ১০০ টাকা। যাতে বড় প্যাকেজ অর্ডার করতে বায়ার আগ্রহী হয়।
গিগ গ্যালারী: এখানে আপনি ৩ ধরনের ফাইল দিতে পারেন। আমরা একটা একটা করে বোঝার চেষ্টা করি
- গিগ ফটোস: এখানে আপনি গিগ রিলেটেড ফতো দিতে পারেন। আপনি জেপিজি/পিএনজি ফরম্যাটে ফতো দিতে পারেন। সাইজ হবে ৫৫০X৩৭০ পিক্সেল। এখানে সর্বোচ্চ ৩টি ফটো রাখতে পারবেন। চেষ্টা করবেন ফটো গুলা নিজে বানানোর জন্য আর যত আকর্ষণীয় করা যায়। ফটোশপ না জানলে অনলাইনে অনেক সাইট আছে যেখান থেকে ফটো বানিয়ে নিতে পারেন।
- গিগ ভিডিও: চাইলে আপনি ভিডিও বানিয়ে দিতে পারেন। নিজে সেলফ ভিডিও করলেন। আপনার বর্ণনা, কাজের বর্ণনা ইত্যাদি সুন্দর করে বানিয়ে দিতে পারেন। ভিডিও সর্বোচ্চ ৭৫ সেকেন্ডস আর ৫০ এমবি এর বেশি যাতে না হয়।
সোশ্যাল মিডিয়াতে গিগ প্রমোট
বাইরে থেকে আসা ট্র্যাফিক ও ভিজিটর ফাইভার পছন্দ করে। সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ বা ডিসকাশন সাইটে যেসব প্রোফাইল বা গিগ এর সাথে লিংকড থাকে, সেগুলোকে ফাইভার র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এজন্য অন্য সাইটগুলোতে ট্রাফিক ও ভিজিটর আসা ফাইভার গিগ এর ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যেমনঃ ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, পিন্টারেস্ট এসব সাইটে আপনার গিগ শেয়ার করুন। এভাবে আপনার গিগ এ ট্রাফিক বাড়লে গিগ র্যাংকিং ও দিনদিন ইম্প্রুভ হতে থাকবে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর বাইরেও বিভিন্ন ফোরাম সাইট, যেমনঃ কোরা বা রেডিট এ আপনার গিগ কৌশলে শেয়ার করেও ট্রাফিক লিড পেতে পারেন।
শেষ কথা:
আশা করি, এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………