বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা ও বিরতি স্থান নিয়ে ।যারা পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা ও বিরতি স্থান খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা ও বিরতি স্থান নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে কিছু কথা:
পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা টু রাজশাহী প্রতিনিয়ত ভ্রমন করে যাত্রী সেবা দিয়ে থাকে।পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথম যাত্রী সেবা শুরু করে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ সালে তখন থেকে এখন পযন্ত ২৩ বছর যাত্রী সেবা দিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সংখ্যা আছে ৭৫৯/৭৬০।পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাকালে যাত্রীদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে থাকে যেমন: খাবার ব্যবস্থা, ঘুমানোর ব্যবস্থা, নামাজের ব্যবস্থা ও বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটিই বাংলাদেশের দ্রুতগামী ও বিলাসবহুল ট্রেন।বর্তমানে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার বেশ উন্নতি হয়েছে এবং এই উন্নতির কারণে যাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।ট্রেন আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পরিবহন।পদ্মা এক্সপ্রেস আপনার ভ্রমণকে শান্তিপূর্ণ এবং সন্তুষ্ট করতে পারে।বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে যার মধ্যে পদ্মা এক্সপ্রেস একটি।আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ট্রেনে যাতায়াত করতে পছন্দ করে। কেননা বাস জার্নি অনেকটা বোরিং হয়ে থাকে। কারণ বাসে যাতায়াত করতে গেলে আমাদের ট্রাফিক জাম এ পড়তে হয়। যার ফলে আমাদের সময় নষ্টের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অন্যদিকে ট্রেন জার্নি অনেকটা সুবিধাজনক। কেননা ট্রেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর যায়।
পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী:
স্টেশনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
ঢাকা টু রাজশাহী | মঙ্গলবার | ২৩ঃ০০ | ০৪ঃ৩০ |
রাজশাহী টু ঢাকা | মঙ্গলবার | ১৬ঃ০০ | ২১ঃ৪০ |
পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী:
পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোতে আরামদায়ক এবং বিলাসবহুল ভাবে যাতায়াত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আসন রয়েছে। ট্রেনে ভ্রমণ করলে অনেকেই ভ্রমণের ক্লান্তি অনুভব করেন না।অন্যান্য যাতায়াত মাধ্যম থেকে ট্রেনের যাতায়াতে কোনরকম দুর্ঘটনার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।ট্রেনের মাধ্যমে নিরাপদের সাথে ভ্রমণ করা যায়।ট্রেনে সীমিত মূল্যের মধ্যে আপনি একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন।পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মোট ১৩ টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়।প্রিয় যাত্রীদের সুবিধার জন্য পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতির সময়সূচী টেবিল আকারে প্রকাশ করা হলো।
বিরতি স্টেশন নাম | ঢাকা থেকে (৭৫৯) | রাজশাহী থেকে (৭৬০) |
বিমান বন্দর | ২৩ঃ২৭ | ২১ঃ০৯ |
জয়দেব পুর | ০০ঃ০১ | ২০ঃ৩৬ |
টাঙ্গাইল | ০১;০০ | ১৯ঃ২৫ |
বি-বি-পূর্ব | ০১;২৫ | ১৯ঃ০৩ |
শহীদ এম মনসুর আলী | ০২ঃ০১ | ১৮ঃ২১ |
উল্লাপাড়া | ০২ঃ২১ | ১৮ঃ০২ |
বড়াল ব্রীজ | ০২ঃ৪১ | ১৭;৪৩ |
চাটমোহর | ০২ঃ৫৭ | ১৭ঃ২৭ |
ঈশ্বরদী | ০৩ঃ২০ | ১৭ঃ০০ |
আব্দুলাপুর | ০৩ঃ৩৬ | ১৬ঃ৪৪ |
পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা:
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ৩১৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৫২৫ টাকা |
এসি সিট | ৬৩০ টাকা |
এসি বার্থ | ৯৪০ টাকা |
পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার স্থান:
আন্তঃনগর ট্রেনটির ট্রেনের টিকিট যেখান থেকে পাওয়া যাবে তার একটি বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
-
- দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে
- টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)
- *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যাবে.
-
- টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, তা যাত্রা ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে
- তবে যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের যেকোন কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টারে এবং ওয়েবসাইটে.
শেষ কথা:
পাঠক বন্ধুরা আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা ও বিরতি স্থান আলোচনা করেছি। আশা করি, এই আর্টিকেল আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………