বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নেইমারের জীবনি, ক্যারিয়ার, লাইফস্ট্যাইল, ও অজানা সব তথ্য নিয়ে ।যারা নেইমারের জীবনি, ক্যারিয়ার, লাইফস্ট্যাইল, ও অজানা সব তথ্য খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে নেইমারের জীবনি, ক্যারিয়ার, লাইফস্ট্যাইল, ও অজানা সব তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ুন। এবং নিত্য নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
নেইমারের পরিচয়:
- নাম: নেইমার দা সিলভা সান্তোস
- জন্ম: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২
- জন্মস্থান: মোজি দাস কুরুজেস ব্রাজিল
- উচ্চতা: ১.৭৫ মিটার
- পিতার নাম: সিনিয়র নেইমার দা সিলভা
- মাতার নাম: নান্দিনি সান্তোস
- জার্সি নাম্বার: ১০
- মাঠের অবস্থান: আক্রমণভাগের খেলোয়ার তিনি
ব্যক্তিগত জীবন:
নেইমার ২০১১ সালের আগস্টে মাত্র ১৯ বছর বয়সে শিশুর বাবা হন । শিশুর মায়ের নাম ক্যারোলিনা দান্তাস, কিন্তু নেইমারের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই । শিশুর নাম দাভি লুকা যে সাও পাওলোতে জন্মগ্রহণ করে । শিশুর জন্মের পর তিনি বলেন, ” প্রথমে আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম, পরে খুশি হলাম । এটা একটা নতুন দায়িত্ব এবং এখন আমি উপভোগ করছি ।” নেইমার কিছু সময়ের জন্য ব্রাজিলিয়ান মডেল ব্রুনা মারকুইজিনের সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। ২০১৫ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কিন্তু তারা ভাল বন্ধু হিসেবে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।নেইমার একজন খ্রিষ্ট ধর্ম বিশ্বাসী। রিকার্ডো কাকাকে তিনি ধর্মীয় গুরু মানেন। নিজের বেতনের ১০ শতাংশ চার্চে দান করেন নেইমার।
নেইমারের খেলোয়ার জীবনি শুরু:
নেইমার দা সিলভা সান্তোষ এর জন্ম মজিদাস করুজেস শহরে তার বাবা সিনিয়র নেইমার দা সিলভার নন্দিনী শান্তির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্বপ্ন ছিল যে আমার মত আমার ছেলে যেন একদিন বিশ্ব সেরা ফুটবলার হতে পারে সেজন্য তিনি নেইমার জুনিয়র কে সবসময় তার পিতার পরামর্শ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, আমার পাশে আমার পিতা ছোট কাল থেকে আমাকে পরামর্শ দিয়ে একজন সেরা ফুটবলার করার চেষ্টায় তিনি সর্বদা চেষ্টা করছেন।নেইমার ২০০৩ সালে সহ- পরিবারে সাঁও ভিসেন্তে চলে আসেন। সেখানে তিনি খেলা শুরু করেন এরপর তিনি ২০০৩ সালে আবার সান্তসে ফিরে আসেন সেখানে নেইমার সান্তস ফুটবল ক্লাবে যোগ দেন।মা্ত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি স্পেইনে রিয়েল মাদ্রিদে যোগ দিতে যান, যে সময় রিয়ালে রোনাল্ডো, জিনেদিন, জিদান, এবং রবিনহোর মত বড় বড় তারাকারা খেলছিলেন। সেখানে তিনি তার পায়ের যাদুতে সবাইকে মুগ্ধ করে দেয় মূলত সেখান থেকে তার ফুটবল জগতের উজ্জল মহাতারকা হয়ে ওঠার পথ চলা শুরু হয়ে ছিলো।
নেইমারের ক্যারিয়ার শুরু:
নেইমার ২০০৯ সালে পেশাদারী ফুটবল খেলা শুরু করেন মাএ ১৭ বছর বয়সে তিনি বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।তিনি সান্তস বনাম অস্তে-এর খেলায় শেষ ৩০ মিনিট খেলতে নামেন সেখানে তিনি সান্তস ২-১ গোলে জয়লাভ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এরপর ঠিক এক মাস পরে ১১-ই এপ্রিল নেইমার পালমেইরাসের বিপক্ষে জয়সূচক গোল ২-১ করেন, তবে ফাইনালে যদিওবা করিন্থিয়ান্সের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ৪-২ এ হারতে হয়েছিল নেইমার সেআ মৌসুমে ১৪ গোল করেন ৪৮ টি ম্যাচ খেলে। এভাবে তিনি আলো ছরাতে লাগলেন তিনি ২০১০ সালে ১৫ ই এপ্রিল ২০১০ সালে, ব্রাজিলীয় কাপ অনূধ্ব -১৭ বাছাই পর্বে তিনি গুইয়ারানির বিপক্ষে সান্তসের হয়ে ৫ গোল করেন সান্তসের ৮-১ গোলে জয়লাভ করেন।ন্তস এই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে ফাইনালে সান্ত আন্দ্রের বিপক্ষে দুই ম্যচে ৫-৫ গোলের মাধ্যমে। নেইমারকে প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় পুরস্কার দেওয়া হয়।এরপর থেকে তিনি আর থেমে থাকেননি তার পায়ের যাদুতে পুরো বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছেন।
নেইমারের আর্ন্তজাতিক ক্যারিয়ার:
নেইমার অনূর্ধ্ব -১৭ অনূর্ধ্ব – ২০ অনূর্ধ্ব -২৩ ভালো পারফর্ম করেন অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে তিনি জাপানের বিপক্ষে উদ্বোধন ম্যাচে গোল করেন তার খেলায় মুগ্ধ হয়েছিলেন সে সময়ের ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মহাতারকা রোমিরোও এবং পেলে তারা সবাসময় চাইতো নেইমার ব্রাজিল জাতীয় টিমে খেলুক তারা সে সময়ের ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ দুঙ্গাকে ঘন ঘন চাপ দিতে থাকেন যাতে নেইমারকে তিনি ২০১০ বিশ্বকাপ স্কয়াডে রাখেন। কিন্তু দুঙ্গা বলে ছিল যে, নেইমার এখনো জাতীয় টিমে খেলার উপযোগী নয়। কিন্তু তিনি বলেছিলেন যে, নেইমার একজন অসাধারণ প্রতিভাবান খেলোয়ার। নেইমার শেষ পযর্ন্ত ২৬- জুলাই ২০১০ সালে ব্রাজিল জাতীয় টিমে খেলার সুযোগ পান নতুন কোচ মানো মেনেজেস এর আন্ডারে তার অভিষেক হয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে তিনি একটি গোল করেন।এভাবেই তিনি তার প্রতিভা বিকাশ করেন তিনি এক সাক্ষাৎ করে বলেছিলেন,যে আমি ব্রাজিল জাতীয় টিমের সাথে খেলে অনেক আনন্দিত কারণ ওখানে অনেক বড় বড় মাপের খেলোয়াড় রয়েছে তাদের সাথে খেলা এখন অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। নেইমার এভাবেই এখনো ব্রাজিল জাতীয় টিমের হয়ে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন ২০১৪ সালে ম্যাচ চলাকালীন তিনি ইনজুরিতে পড়ার কারণে সেবার দলটি ভালো কিছু করতে পারিনি ২০১৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিল দল সেমিফাইনাল থেকে আউট হয়ে যায় ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে নেইমার কিন্তু অসাধারণ খেলেছিলেন।
নেইমারের বছর অনুযায়ী গোল:
বছর | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|
২০১০ | ২ | ১ |
২০১১ | ১৩ | ৭ |
২০১২ | ১২ | ৯ |
২০১৩ | ১৯ | ১০ |
২০১৪ | ১৪ | ১৫ |
২০১৫ | ৯ | ৪ |
২০১৬ | ৬ | ৪ |
২০১৭ | ৮ | ৩ |
২০১৮ | ১৩ | ৭ |
২০১৯ | ৫ | ১ |
২০২০ | ২ | ৩ |
২০২১ | ১৩ | ৬ |
২০২২ | ৩ | ৪ |
মোট | ১১৯ | ৭৪ |
শেষ কথা:
পাঠক বন্ধুরা আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে নেইমারের জীবনি, ক্যারিয়ার, লাইফস্ট্যাইল, ও অজানা সব তথ্য আলোচনা করেছি। আশা করি, এই আর্টিকেলে আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………