বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নীল শাড়ি নিয়ে বিখ্যাত কিছু কবিতা অজানা সকল তথ্য নিয়ে ।যারা নীল শাড়ি নিয়ে বিখ্যাত কিছু কবিতা অজানা সকল তথ্য খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে আপনার নীল শাড়ি নিয়ে বিখ্যাত কিছু কবিতা অজানা সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ুন। এবং নিত্য নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
নীল শাড়ি নিয়ে কিছু কথা :
শাড়ি হচ্ছে বাঙালির নারীর প্রধান পোশাক বিবাহিত মহিলারা আদিকাল থেকেই তাদের নিত্য দিনের পোশাক হিসেবে শাড়ি ব্যবহার করে আসছেন এবং অবিবাহিত মেয়েরা মাঝেমধ্যে সখের বসে শাড়ি পড়ে থাকেন। চাইতে বেশী প্রাধান্য বর্তমান সমাজে গ্রাম অঞ্চলের মহিলারা সব সময় সারিকে বেশি পছন্দ করেন কেননা শাড়ি বাঙালি নারীর ঐতিহ্য বাহী পোশাক।বাল্যকাল পেরিয়ে যৌবন,যৌবনের আরেক ধাপ পেরিয়ে বিয়ের মাধ্যমে নতুন জীবন শুরু হয়। গাঁয়ে লাল বেনারসি শাড়ি পরে নতুন যাত্রা শুরু করে একটি নারী। কবি সুবোধ সরকার তার কবিতায় লিখেছেন,শাড়ি নারীর সৌন্দর্যে যুগ যুগ ধরে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করছে। শাড়ির কদর রয়েছে সর্বযুগে এবং সর্বকালে। তাই শাড়ি হয়ে উঠেছে নারীর দূর্বলতা। এখনো তাই শাড়ির কদর কমে যাবার ছিটেফোঁটা পর্যন্ত নেই। কোথায় আছেন “শাড়িতে নারী “।শাড়ি তাই সকলের খুব চাহিদাসম্পন্ন একটি পোশাক।শাড়ি সর্বযুগে এবং সর্বকালের এবং সকলের নিকট খুবই জনপ্রিয় এবং চাহিদাসম্পন্ন একটি পোশাক। তাই পোশাকের ক্ষেত্রে সকল নারীদের প্রথম পছন্দ হলো শাড়ি। তবে নারীরা শাড়ী পছন্দের ক্ষেত্রে নীল শাড়িকে প্রাধান্য দেন বেশি। নীল দুঃখের রং বলা হলেও কোনো এক অজানা কারণের সকলে নারীদের নীল রংঙের পিছনে এক অজানা দুর্বলতা রয়েছে। নীল শাড়িতে তাই নারীরা শাড়িকে প্রাধান্য দেন বেশি। প্রত্যেক নারীর এক স্বপ্ন থাকে নিজেকে নীল শাড়িতে সাজিয়ে তুলার। নারীদের নীল শাড়ির প্রতি এক বিশেষ ধরণের দুর্বলতায় মুগ্ধ হয়ে কত কবি সাহিত্যিক যে তাদের সাহিত্য রচনা করেছেন তা ইয়ত্তা নেই।বাংলাদেশের জনপ্রিয় কবি শামসুর রহমান কবিতায় উঠে এসেছে শাড়ি নিয়ে মুগ্ধকর বাক্য। মেয়েদের শাড়ি পোশাকটাই আসলেই বৈচিত্র্যময়। অন্য পোশাক বাদে একটা মেয়েকে শাড়ি পড়লে অন্য পোশাকের তুলনায় বেশি সুন্দর লাগে।
নীল শাড়ি নিয়ে বিখ্যাত কবিতা:
একটা নীল শাড়ি পড়ে
আমার সাথে সূর্যাস্ত দেখবে?
সূর্যটা ডুবে গেলে হাত ধরে হাটবো।
গুমোট নিকোটিনে ভরা
ঘরে আর ফিরে যেতে হবে না।
সবুজ জুড়ে শুধু তুমি আমি থাকবো।
আমি তোমার নীল শাড়ির আঁচলে
আমার দুঃখগুলো ঢেকে দেবো
হাটবে আমার সাথে? আজীবন?
সবুজ ভেলভেটের চাদরে
মুড়িয়ে থাকবো তোমার পাশে,
তুমি বলে ছিলে আসবে
হাজারটা ফোটা সদ্য পদ্য নিয়ে
আমি দুয়ারে দারায়ে
প্রহর গুনছি আজও।
তুমি বলে ছিলে আসবে
এক রাশ ফুটন্ত হাসি নিয়ে
আমি তারার পানে চাহিনী
তোমার হাসির তারা কুড়াবো বলে।
তুমি বলে ছিলে আসবে
সেই নীল শাড়িটি পড়ে
আমি ঘাসের বানানো নূপুর
পড়িয়ে দিবো তোমার পায়ে।
তুমি বলে ছিলে আসবে
আমার ভালোবাসার অন্তজালের টানে
আমি প্রতিক্ষায় ছিলাম
চাহিনী ফিরে অন্য নারীর পানে।
কোন্ ক্ষণে
সৃজনের সমুদ্রমন্থনে
উঠেছিল দুই নারী
অতলের শয্যাতল ছাড়ি।
কজনা উর্বশী, সুন্দরী,
বিশ্বের কামনা-রাজ্যে রানী,
স্বর্গের অপ্সরী।
অন্যজনা লক্ষ্মী সে কল্যাণী,
বিশ্বের জননী তাঁরে জানি,
স্বর্গের ঈশ্বরী।
একজন তপোভঙ্গ করি
উচ্চহাস্য-অগ্নিরসে ফাল্গুনের সুরাপাত্র ভরি
নিয়ে যায় প্রাণমন হরি,
দু-হাতে ছড়ায় তারে বসন্তের পুষ্পিত প্রলাপে,
রাগরক্ত কিংশুকে গোলাপে,
নিদ্রাহীন যৌবনের গানে।
আরজন ফিরাইয়া আনে
অশ্রুর শিশির-স্নানে
স্নিগ্ধ বাসনায়;
হেমন্তের হেমকান্ত সফল শান্তির পূর্ণতায়;
ফিরাইয়া আনে
নিখিলের আশীর্বাদপানে
অচঞ্চল লাবণ্যের স্মিতহাস্যসুধায় মধুর।
ফিরাইয়া আনে ধীরে
জীবনমৃত্যুর
পবিত্র সংগমতীর্থতীরে
অনন্তের পূজার মন্দিরে।
নীল শাড়ি দেখে
প্রকৃতির সবকিছু যেন হাসতে থাকবে
পাখিরা গাইবে গান
মধুর মায়াবী সুরে
দখিনা বাতাসে শাড়ির সুবাস
ছড়িয়ে পরবে চারিদিকে
সুবাসে মুগ্ধ হয়ে
নাচতে থাকবে গাছের ডালপালা
আকাশ ডাকবে তোমায়
এসো, হে বালিকা এসো
তুমি আসবে স্বপ্নের নীল শাড়ি পরে
সবুজ অরণ্যের মাঝে।
নীল শাড়িতে আসবে যেদিন
আমার কাছে তুমি,
হয়তো! সেদিন কবি ঠাকুরের বেসে
দু একটা কবিতা রচিত হবে।
নয়তো! তোমার নীল শাড়ির,
অপুরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে
হারিয়ে যাবে কবিতার ভাষাগুলি।
তাই আসিও না হয় নীল শাড়ির বেসে,
আমার মনের আঙ্গিনাতে।
নীল শাড়িতে আসবে হয়তো
রক্ত ভেজা গোলাপ হাতে,
আমার স্বপ্নের রাজকুমারী হয়ে
আমার মনের রাজপ্রাসাদে।
হয়তো! সেদিন রাজ্য থাকবে জনহীন
তোমার আমার মাঝে।
হয়তো! কল্পনার বেসে
নিজের হাঁটুটা ভাজ করে
বলবে তোমায় ভালোবাসি।
নয়তো! তুমি হারি যাবে
আলাউদ্দীনের আশ্চর্য প্রদীপ হয়ে।
তাই আসিও না ঐ নীল শাড়ি
আর বেণা রশির ছদ্ম সেজে।
নীলিমার চাঁদের আলোয়
আসিও না নীল শাড়ি পড়ে,
আমার মনের আঙ্গিনায়।
হয়তো! কাকতাড়ুয়া বেসে
ভালোবাসবো তোমাকে,
অনাদ্র এক যৌবনের তালে।
হয়তো! শাড়ির আঁচলে
লুকিয়ে থাকবে,
নিষ্পাপ নিরাদ্র ভালোবাসার টান।
অনাঙ্কিত নেশার টানে
শেষ কথা:
পরিশেষে বলা যায় শাড়ি বাংলা বাঙালি নারীদের একটি প্রধান ভূষণ ।বর্তমান সমাজে বিবাহিত মেয়েরা শাড়ি পড়তে বেশি পছন্দ করে। কারণ একটি নারি সুন্দর্য অধিক গুণে বৃদ্ধি পায়। প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোষ্ট আপনাদের সবার ভালো লাগলে সবার মাঝে শেয়ার করবেন ।আর অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না ।এবং নিত্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সবাই ভাল থাকবেন ধন্যবাদ।