প্রত্যেকটা মুসলমানের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। কেননা নামাজ পড়ার মাধ্যমে পরকালে আমরা শান্তি পাব। আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত করার জন্য আর তার এবাদত করতে হলে আমাদের অবশ্যই নামাজ পড়তে হবে। নামাজ দিয়ে শুধু আপনি পরকালে শান্তি পাবেন না এই বাস্তব জীবনে অনেক শান্তি পাবেন। নামাজ পড়লে সব সময় মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। আজ পড়লে মানুষের শরীর স্বাস্থ্য থাকে এবং শরীরের ব্যায়ামও হয়। আমরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক ব্যায়াম করে থাকি আপনাদের ব্যায়াম করতে হবে না যদি আপনারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। নামাজ নিয়ে অনেকেই অনলাইনে উক্তি পেতে চান। এখান থেকে আপনারা নামাজ নিয়ে সুন্দর সুন্দর উক্তি পাবেন।
নামাজ মানুষকে বিভিন্ন ধরনের মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। নামাজ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমরা দৈনিন্দন শরীরের জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করে থাকি। আর নামাজের মাধ্যমে ব্যায়ামের চর্চা হয়ে যায়। তাই মুসলমান হিসেবে নামাজ কে আঁকড়ে ধরতে হবে। যারা নামাজ কে ভালোবাসেন নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। তাদের জন্য আমাদের এই পেজে নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন হাদিস ও কবিতা তুলে ধরা হলো।
নামাজ নিয়ে উক্তি
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১১০
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয় ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৩
ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে । অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন । কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৫
আমি জান্নাতের চেয়ে নামাজকে বেশি ভালোবাসি । কারণ জান্নাতের সুখ আমার নিজের জন্য আর নামাজ আমার মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি জন্য।
– হযরত আলী ( রাঃ)
আল্লাহর শপথ! যদি আমি না খেয়ে সারাদিন রোযা রাখি, সারারাত না ঘুমিয়ে সলাতে দাঁড়িয়ে থাকি, আমার সমস্ত সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করি; এরপর যদি যারা আল্লাহকে মেনে চলেন এমন মানুষদের প্রতি অন্তরে ভালোবাসা না রেখে এবং যারা আল্লাহর অবাধ্য তাদের প্রতি অন্তরে ঘৃণা না রেখে মারা যাই ; সেই কাজগুলো আমাকে একটুও উপকৃত করবে না।
– আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)
হে বনী আদম ! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না । তিনি অপব্যয়ীদের কে পছন্দ করেন না ।
— সূরা আল আরাফ, আয়াতঃ ৩১
যারা আল্লাহ্র কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না ।
— সূরা ফাতির, আয়াতঃ ২৯
নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস
নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস নিম্নে দেয়া হল
নামাজ মোমেনের নূর স্বরূপ।
নামাজ শ্রেষ্ঠ জেহাদ।নামাজ দ্বীন ইসলামের খুটি।
নামাজের দ্বারা শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়।
ইসলামের নিদর্শন একমাত্র নামাজ। যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে ওয়াক্ত ও সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে নামাজ পরে সে মোমিন।
কোন ব্যক্তি যখন নামাজে দাড়ায় তখন আল্লাহপাক তার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেন। আর যখন সে নামাজ থেকে সরে যায়, তখন আল্লাহও মনোযোগ সরিয়ে নেন।
আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে বান্দা যখন সেজদা অবস্থায় থাকে।
নামাজ নিয়ে হাদিস
ইমাম আহমদ হজরত মুতলাক বিন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
অর্থাৎ- আল্লাহ তায়ালা বান্দার ওই নামাজের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন না, যাতে রুকূ ও সিজদার মাঝখানে পিঠ সোজা করা হয় না। (আহমদ)
বোখারী, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ হজরত আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
অর্থাৎ- কী হলো ওই সব লোকের, যারা নামাজের মধ্যে আসমানের দিকে চোখ তুলে তাকায়। তা থেকে বিরত থাক, অন্যথায় তাদের চোখ ছিনিয়ে নেয়া হবে। (বোখারী)