হ্যালো ভিউর্য়াস স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে মনও ভালো থাকে না, আর তাই শরীর ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা তবে এখন দিন দিন অসুখ বেড়েই চলছে আর তাই চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অনেকেই ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম খুঁজে থাকে।
নিজের যৌবন দীর্ঘদিন ধরে রাখতে কে না চায়? যৌবন এমনি এক জিনিস, যা ধরে রাখতে চান সবাই। যদিও আমাদের বয়স বাড়ে প্রাকৃতিক নিয়মেই। কিন্তু সত্যটা এই যে- কেউই আসলে তা মন থেকে মেনে নিতে পারেন না। তাইতো, নিজেকে চির তরুণ রাখতে এবং নিজের যৌবন অনন্তকাল ধরে রাখতে আমাদের চেষ্টার অন্ত নেই!তারুণ্য বা যৌবন ধরে রাখতে অনেকেই কসমেটিক সার্জারি, ওষুধ, বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান গ্রহণ করে থাকেন, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অথচ নিজের যৌবন দীর্ঘদিন ধরে রাখার জন্য এতো ঝামেলা করার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, খুব সহজেই কিছু বিশেষ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে নিজের যৌবন ধরে রাখতে পারবেন আপনি।
সামুদ্রিক মাছ: সামদ্রিক মাছ যৌবন ধরে রাখতে সহায়ক। দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত খাবার তালিকায় লাল মাংস বাদ দিয়ে সামুদ্রিক মাছ রাখুন। তাতে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে এবং যৌবন ধরে রাখা যাবে বহুদিন।
গাজর ও টমেটো: গাজর ও টমেটো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে যৌবন ধরে রাখার ক্ষেত্রে এই দুটি সবজির জুড়ি নেই। এগুলোতে প্রচুর পরিমানে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এছাড়াও এতে আছে বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন যা শরীরের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে সহায়তা করে।
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল একটি উপকারী তেল। খাবার রান্নার সময় অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমান কম থাকে এবং সহজে মেদ জমে না। এছাড়াও প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে ঘুমালে ত্বকে বলিরেখা পরে না সহজে। ফলে দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখা যায়।
দুধ : ছোটোবেলা থেকেই শোনা যায়, শরীর গঠনে ও শক্তি পেতে দুধ অন্যতম। তাই নিয়মিত দুধ খাওয়া দরকার। শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং যৌবন ধরে রাখতে দুধের ভূমিকা অতুলনীয়। দুধ আবার অনেক রকমের হয়। তবে বিশেষ করে ছাগলের দুধ পুরুষের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভুমিকা রাখে। দেহের শুষ্কতা দূর করে, দ্রুত হজম হয়, রতিশক্তি সৃষ্টি করে, বীর্য সৃষ্টি করে, চেহারায় লাল আভা এনে দেয়। দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিষ্ক শক্তিশালী করে।
পালং শাক: পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন, যা শরীরের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে এবং যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত পালং শাক খেলে ত্বক ও চোখের বয়সজনিত সমস্যা কমে যায়। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে, যা শরীরের নানা অসুবিধা দূর করে এবং শরীরে পুষ্টি ও শক্তির যোগান দেয়।
চিনি ছাড়া চা : চায়ে দুধ-চিনি দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। এতে চা খেতে অবশ্যই ভালো লাগে। কিন্তু যদি দুধ, চিনি ছাড়া চা প্রতিদিন খাওয়া যায় তা হলে শরীরে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। চা মস্তিষ্ককে সচল করে, রক্ত চলাচল বাড়ায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন অন্তত তিন থেকে পাঁচ কাপ চিনি ছাড়া চা খাওয়া যায়। বিশেষ করে মোটা মানুষদের এই চা শরীরের ওজন কিছুটা কমাতে সাহায্য করে।
আঙ্গুর: বয়স ধরে রাখতে আঙ্গুরের জুড়ি নেই। আঙ্গুরে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ফলে নিয়মিত আঙ্গুর খেলে ত্বক ও দেহ সুন্দর ও সুস্থ থাকে।
ব্রকলি: ব্রকলিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বয়সজনিত বিভিন্ন অসুখ থেকে দেহকে রক্ষা করে এবং শরীরের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।