আজকে আমি আপনাদের সাথে ঢাকা টু সান্তাহার ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া নিয়ে বিস্তারিত বলবো। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ট্রেন ভ্রমনে পারদর্শী নন। ভ্রমন কে আনন্দদায়ক করতে চাইলে আপনাদের ট্রেন ভ্রমন সম্পর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন।ঢাকা থেকে যারা ট্রেনে সান্তাহার যেতে চান তারা পাঁচটি আন্ত:নগর ট্রেনে যেতে পারেন। রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস সান্তাহার যায়।ঢাকা টু সান্তাহার ট্রেনের সময়সূচী 2022- টিকিটের মূল্য, ট্রেন ট্রাকিং, রুট ম্যাপ, ভাড়া ও ছুটির দিন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক আপডেট কিন্তু সকল তথ্য এখানে পাওয়া যাবে।প্রতিটি মানুষ নিত্যদিনের প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন। তাই যাতায়াতের জন্য ট্রেন ব্যবস্থাটি হল সর্বোত্তম ব্যবস্থা।ঢাকা থেকে সান্তাহার যেতে হলে আপনাদের ট্রেনের মাধ্যমে গেলে বেশ সুবিধা হবে।কর্মসংস্থানের জন্য প্রতিদিন শহরের দিকে যেতেই ট্রেনের যাতায়াত নিরাপদ মনে করে। ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করে মানুষ নিরাপদে গন্তব্যে অবস্থানে পৌঁছাতে পারবেন।কর্মব্যস্ততার এই যুগে মানুষ দৈনন্দিন কত জায়গায় না পাড়ি দিচ্ছে। সেই কর্ম কিংবা প্রয়োজনীয় স্থান যদি দুরের হয় তাহলে কোনো পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হয়। আর নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দবোধ পরিবহন ব্যবস্থা হচ্ছে ট্রেন। প্রত্যেকদিন পরিবহন করার জন্য ট্রেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতায়াত করে।যারা ট্রেনে নিয়মিত ঢাকা থেকে সান্তাহার চলাচল করেন তারা তো জানেনই; তারপরও আরো একবার জানানো হল এবং যারা সান্তাহার কখনো যাননি কিংবা যাবেন তাদের জন্য এই তথ্যগুলো প্রয়োজনে আসতে পারে। আপনাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে তাই এই পোস্টে ঢাকা থেকে সান্তাহার ট্রেনের যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। আশাকরি আপনারা অনেক উপকার পাবেন।
ঢাকা টু সান্তাহার ট্রেনের সময়সূচী :
সান্তাহার থেকে ঢাকা রেলপথের ট্রেনগুলোর অত্যাধুনিক আধুনিক এবং নতুন ট্রেন।ঢাকা থেকে সান্তাহার রেল পথের দূরত্ব 250 কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সান্তাহার ট্রেনে আসতে খুব কম সময় লাগে এবং ট্রেনে অধিক নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দবোধ ভাবে আপনি পৌঁছে যাবেন। ঢাকা থেকে সান্তাহার যাওয়ার জন্য বাস অন্যান্য পরিবহন এর তুলনায় ট্রেন অন্যতম।বর্তমানে যোগাযোগ পথে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে চলে। তাই মানুষ রেল পথের দিকে ঝুকে যাচ্ছে। বাসে করে ঢাকা থেকে সান্তাহার আসার সময় বাস অনেক জায়গায় থামে যাত্রী তুলে যা সাপেক্ষ হয়ে উঠে এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অপরদিকে ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্য স্থানে পৌঁছে যায়।ঢাকা থেকে সান্তাহার রুটে মোট ৫টি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে।আপনি যদি ঢাকা থেকে সান্তাহার যেসব ট্রেন চলাচল করে সেই ট্রেনের সময়সূচী না জেনে থাকেন। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। নিচে টেবিল এর মাধ্যমে আমরা সান্তাহার থেকে ঢাকাগামী যেসব ট্রেন চলাচল করে সে ট্রেনগুলোর নাম্বার , ছুটির দিন, ছাড়ার ও সময়সূচী উল্লেখ করা হলোঃ
ট্রেনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
একতা এক্সপ্রেস(৭০৫) | নাই | ১০ঃ১০ | ১৬ঃ০০ |
লালমনি এক্সপ্রেস(৭৫১) | শুক্রবার | ২১ঃ৪৫ | ০৩ঃ৩৫ |
দ্রুতযান এক্সপ্রেস(৭৫৭) | নাই | ২০ঃ০০ | ০১ঃ১৫ |
নীলসাগর এক্সপ্রেস(৭৬৫) | সোমবার | ০৬ঃ৪০ | ১২ঃ১৫ |
রংপুর এক্সপ্রেস(৭৭১) | রবিবার | ০৯ঃ১০ | ১৫ঃ১০ |
ঢাকা থেকে সান্তাহার ট্রেনের ভাড়ার তালিকা:
ট্রেন ভ্রমন অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে অনেক সুবিধাজনক। কারণ এতে আপনারা কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না। বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রণালয় আগের চেয়ে এখনকার ট্রেনগুলো আরো আধুনিকভাবে যাত্রীদের কাছে তুলে ধর। তারা চেষ্টা করেছে যাত্রীদের রেলপথে যাত্রা করার জন্য একটি আধুনিক ও আরামদায়ক যাত্রা উপহার দিতে।বাস বা অন্যান্য যানবাহনে ভ্রমন করতে গেলে অনেক সময় এবং অর্থের প্রয়োজন হয়। নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত কারো পক্ষেই সেই টাকা যোগাড় করা সম্ভব হয় না। কিন্তু ট্রেনের ভাড়া অন্যসব গাড়ির তুলনায় অনেক কম।এখন ইন্টারনেটে সবচাইতে বেশি অনুসন্ধান করা হয় ট্রেনের টিকিটের মূল্য নিয়ে। কারণ এই জিনিসটা সবার কাছেই অজানা।ঢাকা থেকে সান্তাহার রেলপথে ট্রেন গুলো চলাচল করে যাত্রীদের সেবা দিয়ে থাকে তাদের একটি নির্দিষ্ট ভাড়া রয়েছে। এই ট্রেনগুলোতে আছে ঘুমানোর ব্যবস্থা, খাওয়ার ব্যবস্থ, এসি নন এসি সিটের ব্যবস্থা রয়েছে। নিচে টেবিল এর মাধ্যমে আমরা সান্তাহার থেকে ঢাকাগামী যেসব ট্রেন চলাচল করে সে ট্রেনগুলোর আসনের ভাড়ার তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য |
শোভন | ৩০০ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৩৬০ টাকা |
প্রথম সিট | ৪৮০ টাকা |
প্রথম বার্থ | ৭১৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৬০০ টাকা |
এসি সিট | ৭১৫ টাকা |
এসি বার্থ | ১০৬৫ টাকা |
অনলাইন টিকিট বুকিং:
যেহেতু ঢাকা থেকে সান্তাহার ট্রেনগুলো অত্যাধুনিক বিলাসবহুল এবং আধুনিক। এজন্য আপনারা এই ট্রেনগুলোতে সব রকমের সুবিধা পেয়ে যাবেন।আপনি চাইলে এখন ঘরে বসে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকিট কনফার্ম করতে হবে। কনফার্ম করার পর আপনি একটি পিডিএফ ফাইল পেয়ে যাবেন। সেখানে আপনি যে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করবেন সেটি নাম্বার এবং সময় দেওয়া আছে। এটি শুধু আপনার জন্য টিকিট হিসেবে গণ্য হবে।সকল ডিজিটাল অনলাইন ব্যাংকিং ট্রেনের টিকিটের মূল্য পরিশোধের সুবিধা রেখেছে।