বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম
প্রিয় বন্ধুরা আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি বারকাতুহু। আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে সম্পূর্ণ অন্য একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো হচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সিস্টেম, ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম। আশা করব সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনাদের অনেক কাজে লাগবে।DBBL ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বাংলাদেশে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর অধীনে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ডিবিবিএল ৩ জুন, ১৯৯৬ থেকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। ব্যাংকটি ঢ়াকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডে তালিকাভুক্ত। ব্যাঙ্ককে প্রায়ই কথোপকথনে “DBBL”, “ডাচ বাংলা” এবং “ডাচ বাংলা ব্যাংক” বলা হয়। আজ আমরা DBBL এর বিভিন্ন লোন সম্পর্কে আলোচনা করবো।
ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন কি ?
ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন ২০২২ যে সব খাতে দেওয়া হয়:
সকল বেসরকারি ব্যাংক এর মতই DBBL কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর লোন দেয়। যা কোন ব্যক্তিকে তার ও দেশের উন্নায়ণে সহযোগীতা করে। ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন ২০২২ এ যেসকল খাতে দেয়:
- ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবসা লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রবাসী লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক কার লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক হোম লোন৷
1.ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবসা লোন:
বর্তমানে দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে লোন ব্যবস্থা সহজ করা হচ্ছে। ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার প্রবণতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ এটি ব্যক্তি এবং ব্যবসার জন্য সর্বত্র ঋণ প্রদান সহজ করে দিয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে, লোন একটি নতুন প্রবণতা তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঋণের বৈশিষ্ট্য: ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ঋণের পরিমাণ সর্বনিম্ন ৫০,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া যেতে পারে। এই ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত। অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে সহনীয় মাসিক কিস্তি পাওয়া যাবে।
জানা যায়, ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়ায় ডাচবাংলা ব্যাংক এই .ণের জন্য আবেদন করার পর সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ কার্যদিবস সময় নেবে। এই ঋণের কারণগুলি হল: চিকিৎসা, শিক্ষা, বিবাহ, ভ্রমণ, উৎসব, সরঞ্জাম এবং পেশাদারদের জন্য অফিস স্থাপন, ভোক্তাদের জন্য টেকসই জীবনধারা পণ্য ক্রয়, অন্য কোন বৈধ উদ্দেশ্য।
শর্তাবলী: ডাচবাংলা ব্যাংক থেকে এই ঋণ নিতে হলে একজন গ্রাহককে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। 18 থেকে 60 বছর বয়সী যে কেউ এই .ণের জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও, এই ঋণ নিতে মাসিক আয় কমপক্ষে 20 হাজার টাকা হতে হবে।
প্রার্থীদের যোগ্যতা: বেতনভুক্ত কর্মচারী, পেশাদার (ডাক্তার, স্থপতি, প্রকৌশলী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ইত্যাদি) বাড়িওয়ালা / ল্যান্ড লেডি, স্ব -সহায়ক ব্যক্তি।
অর্থ প্রদানের মেয়াদ: 60 মাস পর্যন্ত, শর্ত প্রযোজ্য। ফি: প্রসেসিং ফি 1% (অনুমোদিত ঋণের উপর), কুইক সেটেলমেন্ট ফি 2% (অনাদায়ী ঋণে) স্ট্যাম্প ডিউটি ফি ।
ডাচবাংলা ব্যাংক থেকে এই ঋণ গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলি হল:
- ভোটার আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপি
- লেটার অফ ইন্ট্রোডাকশন (চাকরীজিবীদের জন্য) বৈ’ধ পাসপোর্ট
- বেতন হিসাবের বিবরনী, বিজনেস কার্ড
- অফিস আইডি
- ট্যাক্স সার্টিফিকেট
- ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স।
- সর্বশেষ ১ বছরের ব্যাংক হিসাব
- টিএন্ডটি
- মোবাইল ফোন
- অন্যান্য ইউটিলিটি বিলের কপি
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজে’র ছবি।
2.ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রবাসী লোন:
প্রবাসী বা রেমিট্যান্স যোদ্ধারা বিভিন্ন কারণে লোন নিয়ে থাকে। এর মধ্যে DBBL প্রবাসীদের জন্যে বিশেষ লোন প্রদান করে থাকে।যারা প্রবাসী রয়েছেন তাদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ যারা বিদেশে যেতে চান তারা চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিদেশ যেতে পারেন।তাছাড়া এখান থেকে লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই একজন নমিনির প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ আর্থিকভাবে সচ্ছল কোন ব্যক্তি যদি গ্যারান্টার হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই এখান থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রবাসী লোন নেওয়া যাবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সহজ শর্তে প্রবাসিদের লোন দিয়ে থাকে।
DBBL প্রবাসী লোন গ্রহণে যে সব শর্ত পূরণ করতে হয়-
- ১৮ বছর বয়স হতে হয়।
- লোন শোধ করতে সক্ষম এমন ব্যক্তিকে গ্যারান্টার করতে হবে।
- লোন গ্রহীতার পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটো কপি।
- বৈধ ভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রমাণপত্র
- যে শাখা থেকে লোন নিবে তার অধিনে স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
3.ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন:
লোন করার যোগ্যতা: যে ব্যক্তি লোন নিতে চায় তার বয়স 18 থেকে 60 বছরের মধ্যে হতে হবে। লোন চাওয়া কর্মচারীরা ন্যূনতম মাসিক বেতনের জন্য আবেদন করতে পারেন 10,000 টাকা। তবে এখান থেকে সর্বোচ্চ 20 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। আপনি যদি ঋণ নিতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার ডিবিএলে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আপনি যদি ঋণ নিতে চান, তাহলে আপনাকে ঋণগ্রহীতাকে এক ধরনের নিরাপত্তা দিতে হবে।
ঋণ নিষ্পত্তির নিয়ম: মাসিক কিস্তিতে (ইএমআই) একই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে গ্রাহক পরিপক্কতার সময় পুরো ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। লাভের হার সর্বোচ্চ 9% (পরিবর্তনশীল)। যাইহোক, আপনি যত কম সময় ঋণ পরিশোধ করবেন, সুদের হার তত কম হবে। অনুমোদনের সময় 15 কার্যদিবস লাগবে। আপনি কত টাকা পাবেন তা আপনার মাসিক আয়ের উপর নির্ভর করবে।
একটি আবেদন পেতে কত সময় লাগে:
- একটি সুন্দর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- ভোটার আইডি বা পাসপোর্টের ফটোকপি।
- আয় এবং পেশার প্রমাণ।
- অফিসের পরিচয়পত্রের কপি এবং পরিচয়পত্র / পে-স্লিপ / বেতন বা চাকরিপ্রাপ্তদের বেতন সনদ ইত্যাদি।
- পেশাদারদের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ডিগ্রির সার্টিফিকেট।
- ৬ মাসের ব্যাঙ্ক হিস্ট্রি / স্টেটমেন্ট।
- ব্যক্তিগত গ্যারান্টি।
- ই-টিন বা টিনের সার্টিফিকেট ।
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নিরাপত্তা।
5.ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন:
ডিবিবিএল বা ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পারসোনাল বা ব্যাক্তিগত লোন নিতে হলে যা প্রয়োজন;
- বেতনভোগী ব্যক্তি হতে হবে।পেশাদার হতে হবে।
- ব্যবসায়ী হতে হব।
- বাড়িওয়ালা হতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন আবেদনের কাগজপত্র:
- যিনি লোন নেবে তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ট্রেড লাইসেন্স এর দরকার হবে।
- গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
- একজন নমিনি নির্বাচন করতে হবে এবং নমিনি নির্দিষ্ট কিছু কাগজ পাতি জমা দিতে হবে।
- তাছাড়া আরও কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে যা আপনারা সরাসরি ডাচ বাংলা পার্সোনাল লোন আবেদন করতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক পারসোনাল লোনের সুবিধা:
- আপনি ডিবিবিএল থেকে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন।
- পারসোনাল লোনে ইন্টারেস্ট রেট ৮%।
- টেইক ওভারের বেলায় অর্থাৎ ;অন্য ব্যাংক থেকে হস্তান্তর করলে ইন্টারেস্ট রেট ৭.৫ শতাংশ।
- প্রক্রিয়া এবং নিয়মাবলি সহজ।
ডাচ বাংলা ব্যাংক লোনের সুবিধাসমূহ:
- কারের জন্য নিম্নে এক লক্ষ টাকা।
- সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ লোন নেওয়া যায়।
- সুদ ৮ শতাংশ।
- অন্য ব্যাংক থেকে হস্তান্তরেরর ক্ষেত্রে ৭.৫।
- মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর।
- সহজ প্রক্রিয়া।
কার লোনের যোগ্যতা:
- ১৮ বছর হতে হবে।
- মাসিক আয় ২৫ হাজার।
- পেশাদার ব্যক্তি।
- ব্যবসায়ী ব্যাক্তি
6. ডাচ বাংলা ব্যাংক কার লোন :
ডাচ বাংলা ব্যাংক কার লোন কারা নিতে পারবে :
7.ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন:
ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা লোন: শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্যও ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে। টিউশন ফি, স্টুডেন্ট যাবতীয় খরচ বহনে লোন দেয়।
যেসব কাগজপত্র লাগবে:
- জাতীয় পরিচয়পত্র বা
- ড্রাইবিং লাইসেন্স বা
- ওয়ার্ড কমিশনারের ফটোকপি সত্যায়িত সহ
- ছবি
- বিগত ৬ মাসের ব্যাংক কার্যবিধি
- চাকুরিজীবীর জন্য নির্বাহী বেতন স্লিপ বা lol
- TIN এর ফটোকপি।
- ট্রেড লাইসেন্স (ব্যবসায়ীর জন্য)।
8.ডাচ বাংলা ব্যাংক হোম লোন:
- নতুন অথবা পুরাতন বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট কেনার জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের হোম লোন দিয়ে থাকে ।
- আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আছে বাড়ি অথবা ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে চাচ্ছে তাদেরকেও হোম লোন দেওয়া হবে।
- আবার আপনি যদি মনে করেন আপনার বাড়িটি ছোট তা আপনি বাড়াতে চান এর জন্য আপনি লোন নিতে পারবেন।
- অনেক সময় দেখা যায় আমাদের পুরনো বাংলু অনেকদিন ধরে পড়ে থাকে। আপনি যদি বাড়ি সংস্কার করতে চান অর্থাৎ রিনিউ করতে চান,তাহলে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে পারবেন।
- আপনি যদি আপনার বাড়িটি অথবা ফ্লাটটি সুন্দরভাবে সাজাতে চান,তাহলে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে পারবেন।
কারা লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন:
- যারা চাকরি করে, তারা ডাচ বাংলা ব্যাংকে হোম লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- পেশাজীবী যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, আর্কিটেক্ট, সিএ প্রফেশনালরা এই ক্ষেত্রে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বাড়ির মালিক তারাও ডাচ বাংলা ব্যাংকের হোম লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে।
- পাশাপাশি যারা ব্যবসায়ী তারাও এই সুযোগ সুবিধার জন্য এপ্লাই করতে পারবে।
ঋণের পরিমাণ জেনে নিন:
- ডাচ বাংলা ব্যাংকে সর্বনিম্ন হোম লোন দিয়ে থাকে 2 লক্ষ টাকা।
- এবং সর্বোচ্চ হোম লোন 2 কোটি টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন।
- বাড়ি অথবা ফ্ল্যাটের 70 পার্সেন্ট হোম লোন নিতে পারবেন।
- ধরে নিন আপনি একটি বাড়ি অথবা ফ্ল্যাট কিনতে চান। এর মূল্য এক কোটি টাকা।
- এখন আপনি এই এক কোটি টাকার 70% ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। অর্থাৎ 70 লাখ টাকা লোন পাবেন।
- আপনি যদি বাড়ি অথবা ফ্লাট সংস্কার করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার বাড়ি অথবা ফ্লাট সংস্কার করতে যত টাকা লাগে এর এক-তৃতীয়াংশ অংশ ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে পারবেন।
- অর্থাৎ সংস্কার করতে যদি ৬০ লক্ষ টাকা লাগে তাহলে আপনি ২০ লক্ষ টাকা পাবেন।
- বাড়ি অথবা ফ্ল্যাট নির্মাণের ক্ষেত্রে আপনি 70% লোন ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পাবেন। অর্থাৎ আপনার বাড়ির দাম যদি হয় এক কোটি টাকা, তাহলে আপনি লোন পাবেন 70 লক্ষ টাকা। আশা করি বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি।
ঋণ আবেদনের বয়সসীমা জেনে নিন:
- 18 বছর থেকে শুরু করে 70 বছর পর্যন্ত যে কেউ ডাচ-বাংলা হোম লোনের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবে।
- 70 বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই ঋণের মেয়াদ শেষ করতে হবে।
- ধরে নিন আপনি একটি সরকারি চাকরি করেন। আপনার বয়স এখন 55 বছর। আর আপনার চাকরির মেয়াদ আছে পাঁচ বছর।
- এই ক্ষেত্রে আপনি ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে 5 বছর মেয়াদে হোম লোন নিতে পারবেন।
- আর যদি ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে বলে থাকি সেটা হল সত্তর বৎসর হওয়ার পূর্বে ঋণের মেয়াদ শেষ করতে হবে।
- অর্থাৎ একজন ব্যবসায়ীর বয়স যদি হয় 65 বছর। সেই পাঁচ বছর মেয়াদে হোম লোন নিতে পারবে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
- ডাচ বাংলা ব্যাংকের হোম লোন ঠিকানা সর্বনিম্ন মেয়াদ হচ্ছে এক বছর এবং সর্বোচ্চ মেয়াদ 25 বছর।
- আপনি যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে চান, তাহলে সর্বনিম্ন মাসিক ইনকাম থাকতে হবে 30 হাজার টাকা।
হোম লোনের সুদের হার:
- আপনি যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে নতুন লোন নিয়ে থাকেন, তাহলে সুদের হার হবে ৭.৫০%।
- আর টেকওভার এর ক্ষেত্রে ৭.০%।
- অর্থাৎ আপনি যদি ইতিপূর্বে অন্য একটি ব্যাংকের লোন দিয়ে থাকেন। এখন তা ট্রানস্ফার করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে নিতে চান। সেক্ষেত্রে সুদের হার হব ৭.০%।
- ডাচ-বাংলা ব্যাংকে যে পরিমাণ হোম লোনের সুদের হার দিয়ে থাকে তা অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে সবচেয়ে কম।
শেষকথা:
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন আবেদন কিভাবে করবেন এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সুবিধা কেমন এই সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তার পরেও যদি কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে প্রশ্ন করতে পারেন। আমরা আপনার প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার যথার্থ চেষ্টা করব।সকলেই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………..