হ্যালো ভিউর্য়াস স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে মনও ভালো থাকে না, আর তাই শরীর ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা তবে এখন দিন দিন অসুখ বেড়েই চলছে আর তাই চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অনেকেই ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম খুঁজে থাকে।
জিনসেং মাংসল মূলবিশিষ্ট এক ধরনের বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি উত্তর গোলার্ধে পূর্ব এশিয়াতে, বিশেষ করে চীন, কোরিয়া ও পূর্ব সাইবেরিয়াতে, ঠাণ্ডা পরিবেশে জন্মে। শক্তিবর্ধক টনিক হিসেবে বিভিন্ন দেশে জিনসেংয়ের প্রচলন আছে। জিনসেং শব্দটা উচ্চারণের সাথে যে দেশটির নাম উচ্চারিত হয় সেটি হলো কোরিয়া। জিনসেংকে অনেকে কোরিয়ান ভায়াগ্রা বলে থাকে। জিনসেং হলো গাছের মূল। হাজার হাজার বছর ধরে কোরিয়াতে জিনসেং ওষুধি গুণাগুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জিনসেং গাছের মূল রোগ প্রতিরোধক এবং ইংরেজিতে বললে বলতে হয় Proactive tool in warding off disease। জিনসেংকে কোরিয়ানরা বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকে। এর পুরো মূল সুপে দিয়ে দেয়, সিদ্ধ মূল খেতে হয়। চিবিয়ে চিবিয়ে এর নির্যাস নিতে হয়। এছাড়াও জিনসেং-এর রয়েছে নানাবিধ খাদ্য উপকরণ।
উত্তর চীন কোরিয়া তথা সাইবরিয়াতে পাওয়া জিনসেং কে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ হিসাবে বিচার করা হয়। একটি প্রচন্ড জনপ্রিয় পুষ্টিকর ভেষজ হিসাবে ইহাকে চৈনিক চিকিৎসায় হাজার বছর ধরে ব্যবহার করা হয়েছে। এর সুবিশাল ঔষধি গুণের জন্য ইহার ব্যবহার পশ্চিমী দেশগুলোতেও হতে থাকলো। তাহলে চলুন স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য কে প্রভাবিত করা জিনসেং এর উপকার এবং ক্ষতি সম্পর্কে জানা যাক।
জিনসেং এর উপকারিতা
পিরিয়ডস বাঁ মসিকের সময় কালে মহিলাদের পিরিয়ডসের সময় অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই অসুবিধা গুলি জিনসেং এর সাহায্যে কম করা যায়। যেমন এই সময় হওয়া ফোলা বা খিচুনি গুলি জিনসেং কম করে।এটি মুডও পরিবর্তন করে।
জিনসেং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
জিনসেং এর উপকারিতার মধ্যে অন্যতম একটি উপকারিতা হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সাধারণ ঠান্ডা জ্বর দূর করতে জিনসেং চা ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার শক্তিশালী করতে জিনসেংএর চা খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। জিনসেং এর চা প্রাকৃতিকভাবে আমাদের উপকার করে থাকে। কেননা জিনসেং হলো প্রাকৃতিক একটি উপাদান।
জিনসেং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
জিনসেং এর উপকারিতের মধ্যে অন্যতম একটি উপকারিতা হলো ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করা। আমেরিকান ও কোরিয়ান দুই পদের জিনসেং শরীরের ইনসুলিন রেজিস্ট্রেশন কমায়। এর ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। আমাদের মধ্যে যাদের কিনা টাইপ টু ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য জিনসেং চা এর উপকারিতা অপরিসীম। যাদের কিনা যৌন সমস্যা আছে তারা অবশ্যই এই চা পান করবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
সুগার থেকে বাঁচতে বা কম করতে জিনসেংকে সব থেকে ভালো আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে বিচার করা হয়। এর জন্য জিনসেং খালি পেটে অথবা খাবারের পরে খেতে করতে পারেন। যার ফলে রক্ত শর্করা স্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যেতে পারে। জিনসেং টাইপ-২ ডায়বেটিস ম্যানেজমেন্টে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি
জিনসেং বিপাকে উত্তেজিত করে এবং উর্জার স্তর বাড়িয়ে স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। এর ফলে মানসিক অবসাদ যেমন চিন্তা এবং চাপ কম হয়। এছাড়াও জিনসেংয়ের মধ্যে এডাস্টোজেন নামে এক উপাদান থাকে যা হরমোনাল স্তর বদলানোর ক্ষমতা রাখে। ফলে চাপও কম হয় এবং মুড ভালো হয়।