ছেলেদের নিয়ে কিছু অসাধারণ কথা সবাইকে স্বাগতম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। একদিন একটা মেয়ে আমায় বলেছিল তোদের ছেলেদের জীবনটা কত সুখের। কোন টেনশন নেই, কোন চাপ নেই। যখন ইচ্ছা তখন বাইরে যাওয়া। যা ইচ্ছা তাই করা সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা, মস্তি, আনন্দ। হঠাৎ করে বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও বেরিয়ে পড়া। সত্যি কত মজার তোদের জীবন। আমাদের জীবনে তো কিছুই নেই। মা বাবার বকা সারাদিন ঘরের ভেতর বন্দি। কিছু করার আগে সবার…সকল ছেলেদের উদ্দেশ্যে একটি কথা, শুধু শুধু প্রেম নামক মরীচিকার পিছনে ছুটে সময় নষ্ট না করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ো, কারণ, ছেলেদের প্রেম করার জন্য স্মার্ট, হ্যান্ডসাম হতে হয়। কিন্তু বিয়ে করার জন্য টাকাওয়ালা হতে হয়, স্মার্ট নয়।আর মেয়েদের ক্ষেত্রে, স্বামী কিউট-হ্যান্ডসাম হোক বা না হোক সেটা কোন ফ্যাক্ট নয়, তার টাকা থাকলেই হয়। হাজার হোক,শপিংয়ে গিয়ে সিরিয়ালের দামি দামি শাড়ি কিনে পাশের বাসার ভাবির সাথে প্রতি যোগিতায় নামতে হবেনা…তাই ভাইয়েরা আমার অনেক সময় নষ্ট করেছো, আর নয়, নিজের জন্য ভাবো, পরিবারের জন্য ভাবো, ভবিষ্যৎ জীবন সঙ্গীর জন্য ভাবো, হেলায় সময় নষ্ট করোনা যাতে পরে পস্তাতে হয়। পরিবার-সমাজ-আপন জনের কাছে তোমার মূল্য টাকা, টাকা নাই তো কেউ তোমাকে চিনবে না।
আজ কিছু কথা বলি, তা পড়ে হয়তো ছেলেদের জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণা পাল্টাতে পারে। স্বাধীনতা, আড্ডা, ঘুরাঘুরি এগুলো ছেলেদের জীবন নয়। ছেলেদের জীবন মানে একটা সংগ্রাম, একটা গল্প, অনেক ত্যাগ। জন্মের পর থেকে ছেলেদের মাথায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বীজ ঢুকিয়ে দেয়া হয়, প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলে সমাজে মর্যাদা থাকবে না, ভালো চাকরী পাওয়া যাবেনা, কোন বাবা তার মেয়েকে বিয়ে দিবেনা।ছেলেরা পরীক্ষার খাতায় ফেল করলে তাকে সংসারের হাল ধরতে হয়, আর মেয়েরা ফেল করলে সহজ সমাধান তাদের বিয়ে দেয়া হয়। মেয়েরা সুন্দরী হলেই তার জন্য রয়েছে প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য হল টাকা। টাকা থাকলে তার জন্য রয়েছে হাজারো মেহজাবিন, আর টাকা না থাকলে পাড়ার সখিনাও ফিরে তাকায়না
ছেলেদের নিয়ে কিছু কথা:
………হাজারো পুরুষের আত্মকাহিনী”
.
ছেলেরা মাসে ৭০০০ টাকা বেতনে চাকরী করে!
বাবার জন্য ১০০০,!
মা’র জন্য ১০০০,!
বউয়ের জন্য ১০০০ টাকা!
ফেমিলি চালানোর ২০০০ বিকাশ
করেও!
দিব্যি ২০০০ টাকায় মাস চালিয়ে নিতে
জানে।
মাসে ৭০০০ টাকা মাইনের ছেলেটা বেতন পেয়ে!
বউয়ের কাছে ফোনে বলতে জানে ” ওগো
তোমার জন্য কি
পাঠাবো? ”
সামান্য বেতন পাওয়া যে ছেলেটা নিজের পুরনো
জুতো
বদলাবে বলে ঠিক করেছে , সেই ছেলেটাই
মার্কেটে
গিয়ে বউ আর বাবুর
জন্য জুতো কিনে নিজের ছেঁড়াজুতো সেলাই
করে
ছেলেরা এমনই, অনেক অনেক কিছু জানে,,,
সকালবেলা লোকাল বাসে ঝোলে অফিসে
যেতে
জানে,
লেট হলে বসের ঝাড়ি খেতে জানে,
৫ টার অফিস রাত ৮ টা পর্যন্ত করতে জানে,
অফিস থেকে ফিরতে লেট হলে বউয়ের কাছে
জবাব
দিতে জানে,
রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি আসার
পথে
বাবুর জন্য মজা
কিনতেও জানে।
শুধু জানে না প্রকাশ্যে চোখের জল ফেলতে
ভালো লাগলে প্লিজ কেউ কমেন্ট করতে
ভুলবেন না।শুভ,,,
আমরা কেউ সেই ছেলেটার খোঁজ হয়ত রাখিনা, যে ছেলেটা বন্ধুদের আড্ডায় চায়ের বিল দেয়ার ভয়ে আড্ডায় না গিয়ে আর একটা নতুন টিউশনি নিয়েছে। যেন পরের মাসে মায়ের হাতে কিছু টাকা তুলে দিতে পারে। আমরা সেই ছেলেটার খবর রাখিনা, যে নিজের পড়াশুনার খরচ নিজে চালাতে সন্ধ্যার পর মুখ ঢেকে নিজের এলাকার বাইরে এসে রিকশা চালায়, বা শখের গিটার টা বিক্রি করে বাবার ঔষুধ কিনে, বা প্রতিমাসে মাত্র সাতশো টাকা আয় করে নিজের প্রাইভেট খরচ দেয় ছয়শ টাকা আর একশ টাকা রাখে সারা মাসের হাত খরচের জন্যে। আমরা সেই ছেলেটার খবর ও কখনো রাখিনা, যে পারিবারিক দৈন্যতা দেখে পড়ার খরচ চালাতে না পেরে বুয়েটে চান্স পেয়েও ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন কে ছুঁতে পারেনি।
বউ মা শখ করেছে সামনের মাসে সমুদ্র দেখতে যাবে। ওরা জানেনা, রিপন বসের পেছন পেছন ঘুরেও এখনো লোনটা নিতে পারেনি। রিপনের ছোট ভাইটা পড়াশুনা শেষ করে একটা চাকরি যোগাড় করতে না পেরে লজ্জায় কারোর সামনে আসেনা। বড় ভাই এর একার রোজগারে বাসায় খেতেও তার লজ্জা করে।
.
কি অদ্ভুত সব গ্লানী !! কি কঠিন জীবন যুদ্ধ আমাদের বাবা ভাইয়াদের, স্বামীদের !! নিজেকে ওদের জায়গায় ভাবলে কেঁপে উঠি। আল্লাহ কতটা মনোবল দিয়ে ছেলেদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছে !! কতটা নির্ভরতায়, ভালোবাসায় ওরা আমাদের আগলে রাখে !! কতটা মনের জোর থাকলে এত কষ্ট করেও হাসি মুখে শুনে যায় বাবা, মা, ভাই, বোন, বউ, বাচ্চার অনেক কিছু না পাওয়ার আক্ষেপের খোঁটা। কতটা উদার হলে কখনো হিসেব করতে বসে না ইনকামের একটা পয়সাও তো নিজের জন্যে জমানো হয়না !! অনেক দিন নিজের জন্যে একটা ভাল শার্ট কেনা হয়না, অফিসের চটি জোড়াও পুরনো হয়ে গেছে! হাতের ঘড়িটা সেই কবে বউ গিফট করেছিল! মাঝে দুইবার ব্যাটারি চেঞ্জ করতে হয়েছে।
হ্যাঁ আমি খারাপ ছেলে:
হ্যাঁ জানি আমি খারাপ ছেলে দোষ না করেও। অধিকাংশ সময় আমিই দোষি
হ্যাঁ আমি খারাপ ছেলে
সবাইকে বিশ্বাস করে বার বার ঠকি
হ্যাঁ আমি খারাপ ছেলে । সবার প্রোয়জন কারও প্রিয়জন না
আমি মন খারাপের সময় গুলো হাসির আরালে লুকিয়ে রাখার ক্ষমতা রাখি
কারও উপরে বেশি রাগ করে থাকতে পারি না
হাজার চেষ্টা করেও সার্থপর হয়ে থাকতে পারি না
কাউকে নিয়ে সমালোচনা করতে পারি না
হ্যাঁ আমি খারাপ ছেলে
আজ আমি ভালোবাসার কাছে এক টুকরা ছেড়া কাগজ:
আমি চাই না এই অবহেলিত মানুষটিকে নিয়ে তুমি স্বপ্ন দেখ!কারণ আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখলে হয়তো তোমার জীবন থেকে সুখ নামের পাখিটা হারিয়ে যাবে!আমি নিজেও চাই না তোমার আলোকিত জীবনে “মন” নামের আধার নেমে আসুক,,,তাই দূর থেকেই না হয় একতরফা ভালোবেসে যাব!ভেবে নিব আমার ভাগ্যটাই এমন!।আমি জানি তুমি আমার খাচায় পোষ মানার মতো পাখি না!তুমি অন্যকারো তাই আজ থেকে না হয় তোমাকে আমার জীবন নামের পৃথিবী থেকে মুক্ত করে দিলাম
মুক্ত করে দিলাম তোকে
আমার জিবন থেকে!
আসিস না আর ফিরে তুই
চাইনা আমি তোকে”!!
“যেখানে যাবার চলে যা দেবোনা তোকে বাঁধা
ভালোবাসেছিলি না পুরাপুরি বেসেছিলি আঁধা”
“তুমি বন্ধু ভালো থেকো কামনা করি আমি
কখনোই কষ্ট পেয়েওনা সুখে থেকো তুমি”
“সব কিছুই শেষ করলাম বাকি নেই কোনো কাজ
তাই আমি বিদায় নিলাম তোমার জীবন থেকে আজ”
আমি এখন বুঝে গেছি তুমি কি জিনিস
তাই আজ এই মিথ্যা খেলা করলাম আমি ফিনিস”
“এতদিন যা করেছিস সবি ছিলো ছোলনা
সেই ছোলনাই এখন আমি আর ভুলবোনা”
তাই ভাইয়েরা আমার অনেক সময় নষ্ট করেছো, আর নয়, নিজের জন্য ভাবো, পরিবারের জন্য ভাবো, ভবিষ্যৎ জীবন সঙ্গীর জন্য ভাবো, হেলায় সময় নষ্ট করোনা যাতে পরে পস্তাতে হয়। পরিবার-সমাজ-আপন জনের কাছে তোমার মূল্য টাকা, টাকা নাই তো কেউ তোমাকে চিনবে না। আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে গুলো কখনো বাবার কাছে কিছু আবদার করতে পারেনা। কিভাবে সবার আবদার পূরণ করতে হবে সব সময় সেই চিন্তা করতে হয় আমাদের।আমাদের শুধু নিজের কথা ভাবলেই হয়না সবার কথা ভাবতে ভাবতে ভালোবাসাটা বিসর্জন দিয়ে দিতে হয়।