ক্রিকেট জগতের অতিমানব ক্রিস গেইলের জীবন কাহিনী 2023

Native Banner

হ্যালো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নিয়ে এবার পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সবাই জানতে পারবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল কিভাবে ফুটপাত থেকে উঠিয়া ক্রিকেট জগতের বাদশা হয়ে গেলেন।ক্রিস গেইলের জীবনী থেকে বোঝা যায় চেষ্টা আর কর্মের দ্বারাই মানুষ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেন। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়েও ক্রিস গেইল আজ ক্রিকেট জগতের একজন মহাতারকা। একনামে সবাই যাকে চেনেন তিনি হচ্ছেন ক্রিস গেইল। কর্মের দ্বারাই আজ ক্রিম গেইল মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। সত্যি ক্রিস গেইল একজন অসাধারণ ব্যক্তি। ক্রিকেট জগতে যার কোন তুলনা হয় না।তো চলুন বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে এখন শুরু করা যাক ক্রিকেট জগতের বিশেষ ব্যক্তি ক্রিস গেইলের জীবনের অজানা সব তথ্য।

১৯৭৯ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর জ্যামাইকার কিংস্টনের এক বস্তিতে বসবাসকারী হতদরিদ্র পরিবারে ক্রিসট্রপার হেনরি গেইলের জন্ম। যাঁকে আমরা চিনি ক্রিস গেইল নামে। ৬ ভাইবোনের মধ্যে গেইল তাঁর বাবা-মার পঞ্চম সন্তান। বাবা ডুডলি গেইল পেশায় একজন পুলিশ ছিলেন। কিন্তু তিনি খুব কম পরিমাণ বেতন পেতেন। এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার, ক্রিকেটার কিংবা ফুটবলার, আরো অনেক স্বপ্ন। ছোট বেলার সেই দেখা স্বপ্ন পূরণ হয়ে ক’জনের? কেউ স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখেন, কেউ আবার সারা জীবন বয়ে বেড়ান স্বপ্নকে না ছুঁতে পারার আক্ষেপ। অনেকে আবার অজান্তেই হয়ে যান অন্য কিছু, যা তাকে দেয় অপার আনন্দ। ক্রিকেট বিশ্বে এমন কিছু ক্রিকেটার আছেন, যাদের শুরুটা অন্য পেশায়। কিন্তু পরে হয়ে উঠেছেন ক্রিকেটের মহাতারকা।

ছোটবেলা:

ছোটবেলা থেকেই ক্রিস গেলের বুকের একটা বড় ধরনের সমস্যা ছিল।ক্রিস গেইল সমস্যাটা কাউকে কখনো বুঝতে দেননি।মজায়, হাসিতে উড়িয়ে দিয়েছেন সবকিছু। ব্যাটিং করতে গিয়ে এমন হলে একটু বসে পড়ে পানি খেয়ে আবার শুরু করতেন। কাউকে টের পেতে দিতেন না।সেবার অস্ট্রেলিয়া সফরে আর পারলেন না। ব্যথা বেড়ে গেল, নিঃশ্বাস নিতেই পারছিলেন না। ভর্তি হলেন হাসপাতালে। ডাক্তাররা জানালেন, হার্টের ভাল্বে সমস্যা; অস্ত্রোপচার করাতে হবে। জীবনে কখনো ঘুমের ওষুধও খাননি; অপারেশন তো দূরের কথা। ভয়ে মরে যাওয়ার উপক্রম হলো। তারপরও অপারেশন হলো। জ্ঞান ফিরল। একা একা শুয়ে আছেন পোস্ট অপারেটিভ টেবিলে। আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব কেউ নেই পাশে। ভীষণ একা মনে হচ্ছিল নিজেকে। তারপরও পৃথিবীতে ফিরতে পেরে দারুণ খুশি। মনে মনে বললেন, শুরু হলো আমার বোনাস জীবন। বাকি এই জীবনে আর কখনো আফসোস করব না। বাকি জীবনটা হবে আমার শুধু উপভোগের। আনন্দ দেবো আর আনন্দ নেবো।”