তিনদিন আগেই পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় রুবেলকে। তখন তাঁর স্ত্রী জানিয়েছিলেন, রুবেলের অবস্থা আগে থেকে কিছু ভালো। ধীরে ধীরে কথাও বলতে পারছিলেন তিনি। আগামী সপ্তাহে কেমোথেরাপি দেওয়ার কথা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন রুবেল। পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে আজ না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই ক্রিকেটার।কান্না জড়িত কণ্ঠে রুবেলের স্ত্রী চৈতি বলেন, ‘রুবেল আর নেই। আজ বিকেলে রুবেল চলে গেছে। সবাই রুবেলের জন্য দোয়া করবেন।
২০০৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেক মোশাররফ হোসেন রুবেলের। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে খেলে ১ উইকেট পান। দল থেকে অতি দ্রুত বাদ পড়েন। এরপর তাকে ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে নিয়েছিল দল। কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেয়ে আবার বাদ পড়েন।মোশাররফ রুবেল জাতীয় দলের জার্সিতে পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছেন। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার ওয়ানডে অভিষেক হয়। এছাড়া ১১২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৩৯২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন ১০৪টি। উইকেট নিয়েছেন ১২০টি।২০১৬ সালে আফগানিস্তান সিরিজে তাকে দলে নেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ৮ বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নেমে ৩ উইকেট শিকার করেন। কিন্তু পরের ম্যাচে উইকেট না পাওয়ায় রুবেল আবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। তাঁর ক্যারিয়ারও সেখানেই থেমে যায়।২০১৯ সালে মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়লে মাঠ থেকে ছিটকে পড়েন রুবেল। চিকিৎসা নিয়ে প্রায় সেরে উঠলেও নতুন করে টিউমার ধরা পড়ে তার মস্তিষ্কে। নতুন করে টিউমার ধরা পড়ায় শঙ্কায় পড়ে যায় রুবেলের জীবন।
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা এই ক্রিকেটার সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান।জাহিদুর রহমান জানান, আজ বাসাতেই ছিলেন মোশাররফ রুবেল। সেখানেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর।অবশেষে সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।