বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের জীবন কাহিনী নিয়ে ।যারা ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের জীবন কাহিনী খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের জীবন কাহিনী নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানক নিয়ে কিছু কথা:
মুস্তাফিজুর রহমানের জীবন কাহিনী:
মোস্তাফিজুর প্রারম্ভিক জীবন:
খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার, কালিগঞ্জ উপজেলা, তেঁতুলিয়া গ্রামের বামহাতি প্রেসার মোস্তাফিজুর রহমান জন্মগ্রহণ করে। তিনি প্রথম 2012 সালে ঢাকায় আসেন এবং ফাস্ট বোলারদের ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে। তার নিজ শহর সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৭ অসামান্য পারফরম্যান্স দেখাতে একান্তই সক্ষম হয়েছিলেন। এরপর থেকে বিসিবি তাকে পেস ফাউন্ডেশনে খেলার সুযোগ করে দেন। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ খেলার সময় নির্বাচক মন্ডলী তার খেলা দেখে আকৃষ্ট হন।মোস্তাফিজুর রহমানের ২০১৫ সালে আইসিসি ঘোষিত আইসিসি বর্ষসেরা দলে অর্ন্তভুক্ত হন। এরপর থেকেই .২০১৫ সালে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ অর্জন করে নেন।এরপর ২০১৮ সালে আইসিসি সেরা একাদশ তালিকায় থাকার মর্যাদা লাভ করেন।
T20 আন্তর্জাতিক মোস্তাফিজুর রহমান :
মোস্তাফিজুর এর আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গন:
এর দুইমাস পর ১৯ জুন, ২০১৫ তারিখে ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের মাধ্যমে তার ওডিআই একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। অভিষেক ম্যাচেই তিনি পাঁচ পাঁচটি উইকেট লুফে নেন নেন আরে ইউ উইকেট লাভ করার মাধ্যমে ম্যাচ সেরা হিসেবে নির্বাচিত হন। এর পরে ২১ জুনেও ভারতের বিপক্ষে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেটের পতন ঘটিয়েবম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তিনি বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় যে প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন৷ আর দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ব্রায়ান ভিটোরি যে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে পাঁচ-উইকেট লাভের বিরল এক কীর্তিগাথা রচনা করেন।
মুস্তাফিজুর তার প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে ৫/৫০ ও ৬/৪৩ লাভ করেন। তার এ ক্রীড়ানৈপুণ্যে এবং সাধনা ওডিআইয়ের ইতিহাসে অনান্য বোলার থেকে সেরা অবস্থানে নিয়ে গেছে। তার এ অসম্ভব বোলিংয়ের ফলে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটোরি’র বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫/৩০ ও ৫/২০ ম্লান হয়ে যায়।
মোস্তাফিজ তৃতীয়বারের মতো ভারত বনাম বাংলাদেশ ২০০ রানের নিচে রাখতে সক্ষম হন। এমনকি বাংলাদেশকে পঞ্চমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয়ী করে দেন। যার ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট আসর আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে উপরে উঠে যায় ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ৭ম অবস্থানে থাকেন। দ্বিতীয় ওডিআইয়ে মুস্তাফিজুরের ৬/৪৩ বোলিং পরিসংখ্যান বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা। তার পূর্বে মাশরাফি বিন মর্তুজা ৬/২৬ (ব কেনিয়া, ২০০৬) ও রুবেল হোসেন ৬/২৬ (ব নিউজিল্যান্ড, ২০১৩) রয়েছেন।
মোস্তাফিজুর এর রেকর্ড সমূহ:
তিনি ওডিআই অভিষেকে বিশ্বের ১০ম বোলার হিসেবে পাঁচ-উইকেট পান।
তিনি বিশ্বের ৪র্থ বোলার হিসেবে প্রথম দুই ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পান
আর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০: সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক।
কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খুব দ্রুত সময়ে নিজের খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন। তার ক্যারিয়ারের প্রথম থেকে তিনি সব ম্যাচে সফলতা আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাই আইপিএল ও কাউন্টি লীগের মতো খেলায় তাকে ডাকা হয়। কিন্তু কিন্তু হঠাৎ ইনজুরির কারণে অনেকদিন যাবত খেলতে পারেননি। আর সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলায় তার পারর্ফারমেন্স অনেক অনেক ভালো ছিলো।
একটি ম্যাচে ক্রিটিকাল সময়ে রান কম দেওয়ার কারনে বাংলাদেশ দল সে ম্যাচে জিততে সক্ষম হন। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ সবসময় একজন সেরা খেলোয়াড় হিসাবে থাকবেন বলে জাতি আশা করে। তিনি তার কৌশলী বোলিং পারর্ফরমেন্স এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দলকে অনেক আর্ন্তজাতিক ট্রফি এনে দিতে সক্ষম হবেন।