বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি কেন তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন? সফলতা অর্জনে ঘুমের গুরুত্ব নিয়ে ।যারা কেন তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন? সফলতা অর্জনে ঘুমের গুরুত্ব খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে কেন তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন? সফলতা অর্জনে ঘুমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
ঘুম হচ্ছে শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।এক গবেষণায় জানা গেছে, পুষ্টি ও ব্যায়ামের পাশাপাশি ঘুম আমাদের সার্বিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব স্লিপ মেডিসিন পরামর্শ দিয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের ন্যুনতম ৭ ঘণ্টা ঘুম অবশ্য প্রয়োজন।এটি সু-স্বাস্থ্যের জন্য যেমন জরুরী, কর্ম জীবনেও তেমন গরুত্বপূর্ণ। ঘুম কম হলে মনে প্রশান্তি আসে না।একমাত্র ঘুম ই পরে সারাদিনের ক্লান্তিকে দূর করতে।বর্তমান বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ সঠিক ভাবে ঘুমান না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই স্লিপ লস সমস্যাকে ‘এপিডেমিক’ হিসেবে ঘোষণা করছে।
ঘুমের প্রয়োজনীয়তা:
মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে ঘুমানোটা খুবই জরুরী। আর এই ঘুমটা যেন ৮ ঘন্টা হয়। কিন্তু বর্তমানে নানা টেকনোলজির কারণে মানুষ রাতের পর রাত জাগে এবং সকালে ঘুমায়। ঘন ঘন রাত জাগার ফলে একদিকে যেমন সকালের ক্লাস মিস হয় তেমনি এর দীর্ঘমেয়াদী ফলাফলও খুবই খারাপ হয়। সুস্থতা বজায় রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই। তাই সুনিদ্রার গুরত্ব বোঝাতে ২০০৮ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিন’ বিশ্ব ঘুম দিবস পালন করা শুরু করে। মানসিক অশান্তি, হতাশা, মাথা ব্যাথা, নিম্ন রক্তচাপ জনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে এই অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে৷ এজন্য অবশ্যই রাতে ঠিক সময়ে শুয়ে পড়া ও সকালে ঠিক সময়ে উঠার অভ্যাস আয়ত্ব করা উচিত। এতে শরীর মন দুটায় ভালো থাকে।
ঘুম কম হলে শরীরে যা যা ঘটতে পারে:
আমরা সকলেই জানি মানুষের জীবনে ঘুমের প্রয়োজন অপরিসীম। ঘুম শরীরের ক্লান্ত কে দূর করে। ঘুম মানুষকে ভালোভাবে বাঁচতে সাহায্য করে। আমরা সকলেই জানি ঘুম না হওয়ার কারণে শরীরে অস্বস্তিকর অনুভব হয়। তাই সবাই যথাসাধ্যমত ঘুমানোর চেষ্টা করি। ঘুম ঘুম না হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে যেসব সমস্যা ঘটতে পারে তা নিচে আলোচনা করা হলো।
- শরীরে প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেল।
2. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে।
3. শরীরে রক্ত চলাচলে বাধা গ্রস্থ হয়।
4. দেহে অধিক বয়সের ছাপ পড়ে যায় অর্থাৎ কম বয়সে বেশি বয়সী চেহেরা হয়।
5. ঘুম কম হলে নতুন স্মৃতি তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়।
ভালো ঘুমের জন্য রয়েছে বেশ কিছু টিপস:
ঘুম হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা পরবর্তী দিন কাজের জন্য শরীরকে তৈরি করে।তাই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘুমের কোন বিকল্প নেই।খুব বেশি বা খুব কম ঘুমোবেন না। কার্যকর হওয়ার জন্য আপনার কতটা ঘুম দরকার তা শিখুন এবং সেটিকে আঁকড়ে রাখার চেষ্টা করুন। আপনার আসলে ঘুমের রুটিন তৈরি করার প্রয়োজন হতে পারে।
- বিছানায় যাওয়ার প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে থেকে সকল রকম ডিভাইসের ব্যবহার থেকে দূরে থাকা।
2. রাতের পর রাত যদি পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হয় – তাহলে হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক, বা ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ঘুম কম হলে তা আপনার আয়ুও কমিয়ে দেয়।
3. দুপুর ৩ টার পরে ক্যাফেইন রয়েছে এমন পানীয়, চকলেট বা ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা।
4. ঘুমের এক ঘণ্টা আগে থেকে টিভি-স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এগুলো থেকে যে নীল আলো ছড়ায় তা আপনার মস্তিষ্ককে ঘুমোতে দেয় না।
5. ঘুমোতে যাওয়ার ৯০ মিনিট আগে হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করা।দিনের বেলা যথেষ্ট ব্যায়াম ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিছানায় যাবার আগের চার ঘণ্টার মধ্যে ব্যায়াম না করলেই ভালো। কারণ এর ফলে শরীরে যে এ্যাড্রিনালিন নি:সৃত হয় – তা হয়তো আপনাকে ঘুমোতে দেবে না।
6. নিয়ম করে প্রতিদিন প্রায় একই সময় রাতে ঘুমোতে যাওয়া এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠা। ব্যস্ততার মাঝেও দৈনিক রুটিন তৈরি করে কাজ করলে ঘুমের সময়ে হেরফের হয় কম।
7. টিভির পাশাপাশি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে রয়েছে – এই ডিভাইসগুলো থেকে যে নীল আলো বের হয় সেটা শরীরে ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদনকে বিলম্বিত করতে পারে।
8. সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি সংবাদপত্র পড়েন এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কফি পান কর।
9. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা। মানসিকভাবে ফিট থাকতে হলে শারীরিক কসরতের জুড়ি নেই। ব্যায়াম না করতে পারলেও অন্তত নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করতে হবে।
10. প্রথম ঘুমের জন্য শুয়ে বিশেষ নিয়মে নিঃশ্বাস নিতে হবে। অর্থাৎ প্রথমে নাক দিয়ে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিতে হবে। এরপর ৭ সেকেন্ড শ্বাস-প্রক্রিয়া আটক করে রাখতে হবে। এরপর ৮ সেকেন্ড মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হবে।
শেষ কথা:
পাঠক বন্ধুরা আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে কেন তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন? সফলতা অর্জনে ঘুমের গুরুত্ব আলোচনা করেছি। আশা করি, এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………