বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি কপিরাইট, পেটেন্ট ও ট্রেডমার্ক বলতে কী বোঝায় নিয়ে ।যারা কপিরাইট, পেটেন্ট ও ট্রেডমার্ক বলতে কী বোঝায়? খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে কপিরাইট, পেটেন্ট ও ট্রেডমার্ক বলতে কী বোঝায় নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
কপিরাইট, পেটেন্ট ও ট্রেডমার্ক নিয়ে কিছু কথা:
কপিরাইট, পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক, ভৌগলিক পণ্য নির্দেশক, ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি রাইটস … কর্মজীবনে এই টার্মগুলো আপনি প্রতিনিয়ত শুনবেন! গ্যারান্টি! 😛 So, why stop Learning …. ? 🙂
★ ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি রাইটস/ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ/ মেধাস্বত্ব
পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক আর শিল্পনকশা এই তিনটি স্বত্বকেই মেধাস্বত্ব বলা হয়। আর ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি রাইটস হলো একটি প্রকিয়া যা ধারক কে এই ৩ টি আইটেমকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একচেটিয়া ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
এই পোস্টে আমরা মেধাস্বত্বের সাথে সম্পর্কিত তিনটি ‘টার্ম’ বা পরিভাষা/শব্দের মানে নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি পুরো পোস্টটি পড়ার পরে আমরা সহজেই এদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করতে পারব। টার্ম তিনটি হচ্ছে ‘পেটেন্ট’, ‘কপিরাইট’ ও ‘ট্রেডমার্ক’। চলুন শুরু করি।
পেটেন্ট
‘পেটেন্ট’ হচ্ছে কিছু স্বতন্ত্র বা একচেটিয়া অধিকার যেগুলো আইনগত সিদ্ধ কর্তৃপক্ষ দ্বারা কোনো উদ্ভাবককে তার উদ্ভাবনের জন্য প্রদান করা হয়। পেটেন্ট দেওয়া হয় বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিগত কোনো আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের জন্য। একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য পেটেন্ট দেয়া হয় যা পরে নবায়ন করা যায়। পেটেন্টকৃত উদ্ভাবনের কৌশল সংশ্লিষ্ট আইনী দপ্তরের মাধ্যমে সবাই জানতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রথম টেলিভিশনের পেটেন্ট নিয়েছিলেন জার্মান বিজ্ঞানী পল গটলায়েব নিপকো।
ট্রেডমার্ক
সাধারণ উদাহরণ
রেসিপি বুক’ এর কথা চিন্তা করুন। এতে বিভিন্ন খাবারের রন্ধন/প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা করা থাকে। এই রান্নার বইটি কোনো এক প্রকাশনী কিংবা রচয়িতার নামে কপিরাইট করা থাকতে পারে। ফলে ঐ কপিরাইট মালিকের অনুমতি ব্যতীত এর পুনঃমুদ্রণ, পরিমার্জন বা সম্পাদনা করলে মালিক তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারেন। এটা হচ্ছে কপিরাইটের তাৎপর্য।
অপরদিকে, ঐ রান্নার বইয়ের যেসব খাবারের প্রস্তুত প্রণালী দেয়া আছে সেই কৌশলগুলো এই কপিরাইটের অধীনে সংরক্ষিত নাও থাকতে পারে। অর্থাৎ, ঐ বইতে যদি ডিম ভাজার কৌশল দেয়া থাকে, তাহলে একই ডিম ভাজার কৌশল আপনি আপনার বইতেও নিজের মত করে লিখে দিতে পারবেন। কেননা, ডিম ভাজার সাধারণ কৌশল কারও পেটেন্ট করা নেই। মূল কথা হচ্ছে, অন্য কারো রেসিপি বই থেকে সরাসরি কপি-পেস্ট না হলেই আপনি আর কপিরাইট সঙ্ক্রান্ত ঝামেলায় পড়বেন না। পেটেন্ট মূলত উদ্ভাবনী কৌশল নিয়ে কাজ করে। আর ট্রেডমার্ক হচ্ছে ব্যবসায়িক পরিচিতির জন্য ব্যবহৃত চিহ্ন বা প্রতীক।
শেষ কথা:
আশা করি, এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………