Native Banner
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিউয়ার্স আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি আজকের এই পোস্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হল মানুষের শরীরে এলার্জি কেন হয় ।এবং কি করলে সেই এলার্জি দূর করা যায়। আপনারা যারা এলার্জি কেন হয় এর উপায় জানার জন্য ইন্টারনেট সার্চ করে থাকেন তাদের সবাইকে আজকে এই পোস্টে স্বাগতম। আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে খুব সহজেই জানতে পারবেন এলার্জি কেন হয়। এলার্জি হলে কি কি করতে হবে ।তো বন্ধুরা আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে আজকের আমার এই পোস্টটি পড়ুন। এবং এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপায় সংগ্রহ করুন।
এলার্জি কি?
আমরা আমরা কমবেশি সবাই এলার্জির কথা শুনে এসেছি দেখা যায় সবাই প্রতিনিয়ত এলার্জির কষ্টে ভোগে কিন্তু এলার্জি কি কেন হয় তা নিয়ে আমরা কখনো চিন্তা করি না আসলে এলার্জির শব্দটি গ্রিক শব্দ Allos এবং Ergos শব্দের সমন্বয়ে তৈরি যার অর্থ পরিবর্তিত প্রক্রিয়া ধুলাবালি ফুলের রেনু ,নির্ধারিত কিছু খাবার ঔষধ ইত্যাদির ফলে শরীরে প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে তাকে সাধারণভাবে আমরা এলার্জি বলে থাকি। পৃথিবীতে সবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে যখন কোন কারণে এই প্রতিরোধ ক্ষমতা হলে এলার্জির ভয় প্রকাশ করে সাধারণত আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন ক্ষতিকর বস্তুর প্রতি শৈলী অসমরিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে এলার্জি। আমাদের দেশে অগণিত মানুষের কাছে এই পরিচিত রোগের নাম হচ্ছে এলার্জি। এই এলার্জি মানুষের শরীরে নানাভাবে প্রকাশ পায় কারো কারো ক্ষেত্রে এই সমস্যা সাধারণ আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এটি জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে বিভিন্ন ধরনের সাধারণ ব্যাপার যেমন ঘরের ধুলাবালি গরুর মাংস চিংড়ি মাছ কুমড়া ইত্যাদি খাবার কারণে গায়ে চুলকানি শুরু হলে চামড়া লাল লাল শাখা হয়ে ফুলে ওঠে। ধরে নিতে হবে আপনার এলার্জি আছে। তখন এসব খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
কোন খাবারে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হলে, সেই খাবারটি দীর্ঘদিন বন্ধ রাখতে হবে। তারপর পুনরায় খাওয়া শুরু করে দেখতে হবে। যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হয় তবে খাওয়া চালিয়ে যেতে পারেন কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে খাবারটি বন্ধ করে দিতে হবে। খাবারে অ্যালার্জির কারণে বেশ কিছু সমস্যা যেমন- বমি, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। কোন কোন খাবারে অ্যালার্জি আছে তা খুঁজে বের করে সে খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই হবে শ্রেষ্ঠ উপায়। যেকোনো খাবারই কারও কারও জন্য শরীরে অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় চিংড়ি মাছ, হাঁসের ডিম, গরুর মাংস ইত্যাদি খাবার শরীরে অ্যালার্জি তৈরি করে থাকে। কোনো একটি খাবারে একজনের শরীরে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা তৈরি হলে, সেই খাবারটি অন্যজনের শরীরেও অ্যালার্জি তৈরি করবে এমন নয়। যে খাবারে অ্যালার্জি হয় সেটি এড়িয়ে চলতে হবে। তার পরও সমাধান না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ খেতে হবে। পেট ব্যথা কিংবা ত্বকে র্যাশ উঠলে কলা উপকারি আবার এক গ্লাস পানিতে বেশি করে লেবু আর এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়
শেষ কথা:
উপরের পোস্টে এলার্জি কেন হয় এবং তা প্রতিরোধের উপায় নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকের এই পোস্ট ।আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে ভালো লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন। এবং কমেন্ট করে অবশ্যই আমাদের জানাবেন ।গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার জন্য নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।