বর্তমান সময়ে যোগাযোগের অন্যতম উপায় হচ্ছে ফোন। ফোন মানুষের জীবনের একটি প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ও অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা প্রতিটি মানুষের কাছে তার ফোন খুবই প্রয়োজনীয়। প্রাচীনকালে যখন ফোনের ব্যবহার ছিল না তখন যোগাযোগ মাধ্যম ও পৃথিবী এত উন্নত ছিল না। প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে পৃথিবীতে ফোনের আবিষ্কার ঘটে। যা ব্যবহার করার মাধ্যমে মানুষ তার জন্য জীবনের সকল রকম সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারছে।
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি ও সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে পৃথিবীতে বিভিন্ন রকম উন্নতি সাধন হয়ে চলছে। তার মধ্যে অভিনব একটি আবিষ্কার হচ্ছে এন্ড্রয়েড ফোন। বর্তমান সময়ের আধুনিক মানুষদের কাছে এই ফোনের ব্যবহার অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ এখন স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। এটি মানুষকে অভিনব কিছু সুযোগ সুবিধা ও নতুন কিছু সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে। স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ তাদের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস গোপনীয়ভাবে সংরক্ষণ করতে পারে।এটি শুধুমাত্র মানুষকে যোগাযোগ বা সমস্যার সমাধান দিতে সাহায্য করছে না। বর্তমান সময়ের উন্নত টেকনোলজি দ্বারা তৈরিকৃত এন্ড্রয়েড ফোনটিতে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ও রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। কেননা বর্তমান সময়ের এন্ড্রয়েড ফোন গুলোতে এবং কিছু ডিভাইস দেওয়া হয়েছে যা থেকে ব্যবহারকারী সহজেই তার ব্যক্তিগত জীবনের এবং তার প্রয়োজনীয় যে কোন ডকুমেন্টস গোপন রাখতে পারে। এটি মানুষের জীবনের সকল ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এন্ড্রয়েড ফোনে নিরাপত্তায় কার্যকারী কিছু টিপস
ট্রাস্টেড অ্যাপস স্টোর
স্মার্ট এন্ড্রয়েড ফোন নিরাপদ রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যে কোন অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার স্মার্টফোনে ডাউনলোড করার জন্য ট্রাস্টেড অ্যাপস স্টোর ব্যবহার করা। যদি আপনি কোন প্রয়োজনীয় এপস অথবা সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে চান। তাহলে অবশ্যই ট্রাস্টেড অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপস গুলো ডাউনলোড করে নিবেন।
কেননা ট্রান্সলেট অ্যাপ স্টোরে কখনোই স্প্যাম হ্যাকিং বা ভুয়া অ্যাপস থাকে না। যেমন আপনি যদি স্মার্ট এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সবসময় চেষ্টা করবেন যে কোন অ্যাপস ডাউনলোড করার জন্য গুগল প্লে স্টোর ব্যবহার করা। যখনই কোন অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে চাইবেন তখন গুগল প্লে স্টোর প্রবেশ করে।
নিয়মিত অ্যাপস আপডেট
আপনি যদি নিয়মিত আপনার ফোনে থাকা প্রতিটা অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার আপডেট করে রাখেন। তাহলে আপনার ফোনটি অনেকটাই নিরাপদ থাকবে। অনেক সময় দেখা যায় আপনি যেই সমস্ত অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করেন। সেসব অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার গুলো তে বিভিন্ন ধরনের ভুল ত্রুটি ধরা পড়ে।
এনক্রিপশন ব্যবহার করুন
এন্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল ও এক্সটেন্ডেড স্টোরেজ পাসওয়ার্ড দিয়ে এনক্রিপ্ট করে রাখুন। তাহলে পাসওয়ার্ড ছাড়া অন্য কেউ কোনোভাবেই আপনার ফোনের কোনো ডেটা এক্সেস করতে পারবেনা। এনক্রিপ্ট না করলে ফোনের মেমোরি কার্ড অথবা ইন্টারনাল স্টোরেজে থাকা তথ্য সহজেই বের করে আনা সম্ভব। এনক্রিপশন চালু করতে স্মার্টফোনের সেটিংসের সিক্যুরিটি সেকশন দেখুন।
পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট
অনেকেই ফোনের মধ্যে নোটস অ্যাপে বিভিন্ন অনলাইন সেবার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড লিখে রাখেন। এটা মারাত্নক ক্ষতিকর একটা অভ্যাস। এভাবে গোপনীয় ডেটা সংরক্ষণ করলে তা বেহাত হওয়ার বড় ধরনের আশঙ্কা থাকে। বরং কোনো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার অ্যাপ ব্যবহার করুন (যেমন লাস্টপাস)। অথবা গুগল ক্রোমেও পাসওয়ার্ড সেভ করা যায়, যা গুগলের সার্ভারে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।