বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি এই গরমে বাড়ি ঠান্ডা রাখর উপায় নিয়ে ।যারা এই গরমে বাড়ি ঠান্ডা রাখার উপায় খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে এই গরমে বাড়ি ঠান্ডা রাখার উপায় আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
গাছ নিয়ে কিছু কথা:
এই গরমে বাড়ি ঠান্ডা রাখতে বাড়ির ভিতরে এই সকল গাছ রাখুন:
1.ঘৃতকুমারী :
ঘৃতকুমারী তে রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুন। বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে এই গাছ। ঘৃতকুমারী বা এলোভেরা চুল ও ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি ব্যবহারে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া থাকেনা। এছাড়াও এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো যদি এই গাছকে আপনি আপনার বারান্দায় লাগান তাহলে বারান্দার চারপাশের পরিবেশ ঠান্ডা করতে বিশেষ সহায়তা করে।
2.আরিকা পাম :
প্রাকৃতিক আদ্রতা ধরে রাখার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এই গাছের। গ্রীষ্মে আপনার বাড়িতে যদি এই গাছ লাগান তাহলে বাড়ির আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা করবে।
3.স্পাইডার প্লান্ট:
স্পাইডার প্লান্ট খুব অল্প পরিশ্রমে আর সহজেই ঘরের ভেতরে বাঁচে। মাকড়সা যেমন ছায়ার প্রাণী, তেমনই এই গাছকেও ছায়ায় রাখতে হয়। মানে ঘরের ভিতরে রাখতে হবে। আর তাতেই এটি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বাতাস পরিশুদ্ধ করবে, কমিয়ে দেবে ঘরের উষ্ণতা। পাশাপাশি বাতাসে উপস্থিত ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ শোষণ করে নেয়।
4.ডাইফেনবাচিয়া:
এই গাছটি অক্সিজেন সরবরাহ করতে বিশেষ উপযোগী। এছাড়াও গাছটি চারপাশে শীতল আবহাওয়া বিশেষভাবে তৈরি করে।
5.বেবি রবার:
এই গাছটি যদি বাড়ির বারান্দা তে লাগান তাহলে শীতল অনুভূতি এর পাশাপাশি সতেজতাও প্রদান করবে। কাদের জন্য আপনাকে কুলার ও ব্যবহার করতে হবে না।
6.ড্রাকেনা ফ্রাগান্স:
এই গাছটি আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিশেষ ভাবে সক্ষম। এছাড়াও এটি শীতলতা প্রদানের পাশাপাশি সুগন্ধিও প্রদান করে থাকে।
7.পিস লিলির:
পিস লিলির আছে অনবদ্য ফুলের শোভা। আর এই গাছের পাতাগুলোও বেশ বড় বড়। এ গাছটি যেমন চোখে শান্তি আনে, তেমনই গরমে বাতাস শীতল রেখে আরামও দেয়। পরিবেশ থেকে বিভিন্ন রকম বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ কমিয়ে আনে। গাছটি কেনার সময়ে মনে রাখবেন যে গাছে যত পাতা, সেই গাছ পরিবেশকে তত বেশি শীতল রাখে। তাই একটু বড় পাতা দেখে কেনা ভালো।
8.স্নেক প্ল্যান্ট:
সৌন্দর্য বর্ধন ও নানা উপকারের কারণে বাড়িতে এখন অনেকেই স্নেক প্ল্যান্ট লাগান। বিশেষ করে এই গাছ লিভিংরূম ও বেডরুমের জন্য উপযুক্ত। কারণ এই গাছটি অক্সিজেন শোষণ করে না। বরং অক্সিজেন ছেড়ে ঘরকে শীতল ও সতেজ রাখে। এটি অনেক রসালো এবং রাতে অক্সিজেন নিঃসরণ করে ফলে ঘরের বাতাস শীতল থাকে। এই কারণে গাছটির আরেকটি নাম রয়েছে, ‘মাদার ইন লস টাঙ’। এছাড়াও গাছটি বাতাস থেকে টক্সিন অপসারণের জন্যও পরিচিত। এই গাছগুলোও বাতাসে উপস্থিত ফরমালডিহাইড এবং বেনজিন শোষণ করে নেয়।
9.ক্যাকটাস:
ঘরকে শীতল রাখতে বসার ঘরে রাখতে পারেন ক্যাকটাস। টবে লাগানোর উপযোগী কয়েকটি ক্যাকটাসের নাম হলো একাইনো, এপিফাইলাম, নিপল, সেরিয়াস, গোল্ডেন ব্যারেল, ওল্ড লেডি, সেরিয়াস, ফনিমনসা, বানি ইয়ারস, ক্যাব ক্যাকটাস ইত্যাদি। এসব গাছ ঘরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে বাড়িকেও রাখে শীতল।
10.বস্টন ফার্ন:
শুধু ঘরের তাপমাত্রা কমানোই নয়, এটি একই সঙ্গে হিউমিডিফায়ার এবং পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে গাছটি। বায়ুতে উপস্থিত নানা রকম উদ্বায়ী জৈব যৌগসমূহকে দূর করে। তবে ফার্ন যেহেতু শীতল পরিবেশের গাছ, তাই এটি রাখতে হবে ছায়ায়।
11.চাইনিজ এভারগ্রিন:
প্রাকৃতিক আদ্রতা ধরে রাখার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এই গাছের। গ্রীষ্মে আপনার বাড়িতে যদি এই গাছ লাগান তাহলে বাড়ির আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা করবে।এটি বাতাসের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে বাতাস পরিশুদ্ধ করার জন্য সুপরিচিত। এই গাছ অনেকগুলো একসাথে রাখলে নিজস্ব বায়ুমণ্ডলীয় বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে পারে।
12. বাম্বু পাম:
আরেকটি অপেক্ষাকৃত বড় আকারের ইনডোর প্ল্যান্ট বাম্বু পাম। এর বড় বড় পাতা খুব সহজেই চারপাশের উষ্ণতা শোষণ করে নেয়। তাই গ্রীষ্মে ঘর শীতল রাখতে কাজে আসতে পারে বাম্বু পাম। এই গাছের লম্বা পাতা এয়ার হিউমিডিফায়ার এবং পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও পরিবেশ থেকে বেনজিন ও ট্রাইক্লোরো ইথাইলিন দূর করতে সাহায্য করে।
শেষ কথা:
পাঠক বন্ধুরা আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে এই গরমে বাড়ি ঠান্ডা রাখর উপায় আলোচনা করেছি। আশা করি, এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………