বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা নিয়ে ।যারা উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা ও বিরতি স্থান খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা ও বিরতি স্থান নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে কিছু কথা:
উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে সিলট রেলওয়ে পথ দিয়ে যাত্রী পরিসেবা দিচ্ছে।উপবন এক্সপ্রেস বাংলাদেশের দ্রুতগামী ও বিলাসবহুল ট্রেন ।উপবন এক্সপ্রেস নাম্বার হল ৭৩৯/৭৪০।প্রতিদিন মানুষ ঢাকা থেকে সিলট জেলায় ট্রেন ভ্রমণ করে। ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কয়েকটি তথ্য জানতে হবে তা না হলে আপনি ট্রেনের যাতায়াত করতে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার বেশ উন্নতি হয়েছে এবং এই উন্নতির কারণে যাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।ট্রেন আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পরিবহন।উপবন এক্সপ্রেস আপনার ভ্রমণকে শান্তিপূর্ণ এবং সন্তুষ্ট করতে পারে।বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে যার মধ্যে উপবন এক্সপ্রেস একটি।আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ট্রেনে যাতায়াত করতে পছন্দ করে। কেননা বাস জার্নি অনেকটা বোরিং হয়ে থাকে। কারণ বাসে যাতায়াত করতে গেলে আমাদের ট্রাফিক জাম এ পড়তে হয়। যার ফলে আমাদের সময় নষ্টের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অন্যদিকে ট্রেন জার্নি অনেকটা সুবিধাজনক। কেননা ট্রেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর যায়।
উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী:
স্টেশনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
ঢাকা টু সিলেট | বুধবার | ২০ঃ৩০ | ০৫ঃ০০ |
সিলেট টু ঢাকা | নাই | ২৩ঃ৩০ | ০৬ঃ৪৫ |
উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী:
উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোতে আরামদায়ক এবং বিলাসবহুল ভাবে যাতায়াত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আসন রয়েছে। ট্রেনে ভ্রমণ করলে অনেকেই ভ্রমণের ক্লান্তি অনুভব করেন না।অন্যান্য যাতায়াত মাধ্যম থেকে ট্রেনের যাতায়াতে কোনরকম দুর্ঘটনার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।ট্রেনের মাধ্যমে নিরাপদের সাথে ভ্রমণ করা যায়।ট্রেনে সীমিত মূল্যের মধ্যে আপনি একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন।প্রিয় যাত্রীদের সুবিধার জন্য উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতির সময়সূচী টেবিল আকারে প্রকাশ করা হলো।
বিরতি স্টেশন নাম | ঢাকা থেকে (৭৩৯) | সিলেট থেকে (৭৪০) |
বিমান বন্দর | ২০ঃ৫৭ | ০৬ঃ০০ |
নরসিংদী | ২১ঃ৪৫ | — |
ভৈরব বাজার | ২২ঃ২০ | ০৪ঃ৪৭ |
শায়েস্তাগঞ্জ | ০০ঃ২০ | ০২ঃ৫৭ |
শ্রীমঙ্গল | ০১ঃ২৭ | ০২ঃ১২ |
ভানুগাছ | ০১ঃ৫০ | ০১ঃ৩৮ |
শমশেরনগর | ০২ঃ০৫ | ০১ঃ২০ |
কুলাউড়া | ০২ঃ৪০ | ০০ঃ৪৮ |
বরমচাল | ০৩ঃ০০ | ০০ঃ৩১ |
মাইজগাঁও | ০৩ঃ২৮ | ০০ঃ১০ |
উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা:
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন | ২৮৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৩৪০ টাকা |
প্রথম সিট | ৪৪৫ টাকা |
প্রথম বার্থ | ৭১০ টাকা |
এসি বার্থ | ১১৬৯ টাকা |
যাত্রীগনের অবগতির জন্য:
- টিকিট ছাড়া কেউ ট্রেনে উঠবেন না।
- নিজের মালামাল নিয়ে দায়িত্বে রাখুন।
- টিটি টিকিট চেক করার পরেও টিকিট টি সরবরাহে রাখুন যাতে স্টেশন থেকে বের হতে ঝামেলা না হয়।
- বিনা কারণে ট্রেনের স্টপচেন টানবেন না।
- অপরিচিত কারো দেওয়া কোন কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
শেষ কথা:
পাঠক বন্ধুরা আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা আলোচনা করেছি। আশা করি, এই আর্টিকেল আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………