বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা নিয়ে ।যারা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা নিয়ে আলোচনা করব।এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটির সময়সূচি, যাত্রা বিরতি, ভাড়ার তালিকা ও ছুটির দিন সব কিছুই জানতে পারবেন।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
ট্রেন নিয়ে কিছু কথা:
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন নং ৭৭১-৭১২ । উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৭ই জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে উদ্বোধন হয় ।নোয়াখালী থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে নোয়াখালী স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে । এটিই বাংলাদেশের দ্রুতগামী ও বিলাসবহুল ট্রেন ।ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কয়েকটি তথ্য জানতে হবে তা না হলে আপনি ট্রেনের যাতায়াত করতে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার বেশ উন্নতি হয়েছে এবং এই উন্নতির কারণে যাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।ট্রেন আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পরিবহন। উপকূল এক্সপ্রেস আপনার ভ্রমণকে শান্তিপূর্ণ এবং সন্তুষ্ট করতে পারে।আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ট্রেনে যাতায়াত করতে পছন্দ করে। কেননা বাস জার্নি অনেকটা বোরিং হয়ে থাকে। কারণ বাসে যাতায়াত করতে গেলে আমাদের ট্রাফিক জাম এ পড়তে হয়। যার ফলে আমাদের সময় নষ্টের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অন্যদিকে ট্রেন জার্নি অনেকটা সুবিধাজনক। কেননা ট্রেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর যায়।
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী:
গন্তব্যস্থল | শো: সাধারণ | শো: চেয়ার | ১ম সিট |
নোয়াখালী | ২১০ | ২৫০ | ৩৩৫ |
চৌমুহনী | |||
বজরা | |||
সোনাইমুড়ি | |||
নাথেরপেটুয়া | |||
লাকসাম | ১৭৫ | ২১০ | ২৮০ |
কুমিল্লা | ১৬০ | ১৯০ | ২৫০ |
আখাউড়া | ১২৫ | ১৪৫ | ১৯৫ |
ব্রাহ্মনবাড়ীয়া | ১১০ | ১৩৫ | ১৭৫ |
কসবা | ১৩৫ | ১৬০ | ২১৫ |
আশুগঞ্জ | ১০০ | ১২০ | ১৬০ |
ট্রেনের টিকিট কাটার স্থান
আন্তঃনগর ট্রেনটির ট্রেনের টিকিট যেখান থেকে পাওয়া যাবে তার একটি বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে।
- টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)।
- *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যাবে।
- টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, তা যাত্রা ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে।
- তবে যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের যেকোন কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টারে এবং ওয়েবসাইটে।
শেষ কথা:
পাঠক বন্ধুরা আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা আলোচনা করেছি। আশা করি, এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………