বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি ইসলামে বিয়ের নিয়ম এবং কেন বিয়ে সবার ফরজ করা হয়েছে নিয়ে ।যারা ইসলামে বিয়ের নিয়ম এবং কেন বিয়ে সবার ফরজ করা হয়েছে খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে ইসলামে বিয়ের নিয়ম এবং কেন বিয়ে সবার ফরজ করা হয়েছে নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ুন। এবং নিত্য নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
ইসলামে বিয়ে নিয়ে কিছু কথা:
বিয়ে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও রাসুল (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। চারিত্রিক অবক্ষয় রোধের অনুপম হাতিয়ার। আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদাপূরণ ও মানবিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ। বিয়ে ইসলামী শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান।পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো— তিনি তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেনএকটা ছেলে একটা মেয়ে কে আল্লাহ সুবাহানআল্লাহতায়ালা কেনো অপররের সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হতে বলেছেন জানেন? অনেক কিছুর জন্যে। অধিকার প্রয়োগ , অধিকার আদায় , মানসিক ভরসা, ভালোবাসা, আস্হা নির্ভরশীলতা , মানসিক এবং অন্যান্য সহযোগীতা এবং সাপোর্টের জন্যে। এক ছাদের নীচে তো একটা ছেলে একটা মেয়ে থাকতেই পারে।যে কেউ ই পারে।একটা ছেলে একটা মেয়ে তো সারাদিন সারারাত কথা বলতে পারে।একটা বিছানায় দুইজন মানুষ শারিরীক সম্পর্ক স্হাপন ও করতে পারে।সারাদিন রিকশায় ঘুরে বেড়ানো, বাইরে খাওয়া সব সম্ভব।কিন্তু এর নাম কি সম্পর্ক হয়! যদি মনে করেন বা মনে করে এটি একটি সম্পর্ক।সেটা হোক বৈবাহিক অথবা প্রেমের , মায়ার ভালোবাসার।তবে সেখানে দায়ীত্ববোধ, দায়বদ্ধতা, একজন আর একজনকে ভালো রাখা, একজন আর একজনের বিপদে এবং কস্টের সময় পাশে থাকা এইগুলো থাকতে হবে।এইগুলোই সম্পর্কের মুল শর্ত বলতে পারেন। ভরন পোষনের জন্যে হয়তো আইন আছে কিন্তু মানসিক সাপোর্টের জন্যে আইন থাকা টা বেশী জরুরী ছিলো।আপনার পার্টনার কোনও কারনে মানসিক ভাবে ডিপ্রাইভড হচ্ছে আপনার স্ত্রী আপনার হাসব্যান্ড ব্যাবসায়িক ভাবে খারাপ অবস্হা যাচ্ছে।আপনার প্রেমিকা যার সাথে কাবিন ছাড়া সব সম্পর্ক আপনার আছে সে কোনও কারনে মানসিক ভাবে ভীষন কস্ট পাচ্ছে।এইসব কিছুতে মেয়ে পার্টনার এবং ছেলে পার্টনারের পাশে থাকাটা জরুরী। বিপদে পড়ে একজন কাতরাচ্ছে অন্যজন নির্বিকার।কেউ তাকে উত্তক্ত করছে কিন্তু সে সহযোগীতা করতে অস্বীকার করছে।তাহলে কেনো আপনি কিসের আশায় সম্পর্কে থাকবেন। সম্পর্ক ভালো থাকা এবং ভালো রাখার জন্যে।নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যে।আপনাক কাছে থেকে আপনার স্ত্রী প্রেমিকা নিরাপদ না।আপনাক সাথে থেকে আপনার সব রকম দায়ীত্ব পালন করে আপনার স্বামী প্রেমিকা মানসিক সারোর্ট টুকু পায় না।তার খারাপ সময় আপনি তাকে কোনো সহযোগীতাই করলেন না।তাহলে আপনি তার হক আদায়ে ব্যার্থ।আপনাকে আপনার স্ত্রীর এবং স্বামীর এবং সম্পর্কে থাকা দুইজন মানুষকে ভরন পোষনের দায়ীত্ব্রের মতো মানসিক শান্তির দায়ীত্ব নিতে হবে।তার সম্মান রক্ষার দায়ীত্ব নিতে হবে।তার সম্মান ক্ষুন্য যাতে না হয় সেই দায়ীত্বও নিতে হবে।আপনাক স্বামীর আর্থিক অসংগতির সময় আপনাকে দুর্গার মতো সংসারের হাল ধরতে হবে।সাগস দিতে হবে।সে যাতে অন্যের কাছে ছোট না হয় সেই জন্যে নিজের কাপড়টা পরিপাটি করে পড়তে হবে।আর মেয়েদের সবচাইতে দুর্বলতা হলো তার মন।মানসিক আঘাত
বিবাহের হুকুম:
যাদের যৌন চাহিদা রয়েছে তবে যিনায় পতিত হওয়ার আশঙ্কা নেই তাদের জন্য বিয়ে করা সুন্নাত। আর যাদের যিনায় পতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের জন্য বিয়ে করা ওয়াজিব। যাদের যৌন চাহিদা নেই যেমন, পুরুষত্বহীন ও বয়স্ক ইত্যাদি লোকের বিয়ে করা বৈধ। তবে প্রয়োজন না থাকলে যারা দারুল হরবে তথা যুদ্ধরত কাফির রাষ্ট্রে অবস্থান করেন তাদের জন্য বিয়ে করা হারাম।
কনের অভিভাবক হওয়ার জন্য শর্ত
সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হওয়া।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।
দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হওয়া।
অভিভাবক কনের ধর্মানুসারী হওয়া। সুতরাং কোনো অমুসলিম ব্যক্তি মুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না।
ন্যায়পরায়ণ হওয়া। অর্থাৎ ফাসেক না হওয়া। কিছু কিছু আলেম এ শর্তটি আরোপ করেছেন। অন্যেরা বাহ্যিক ‘আদালত’কে (ধর্মভীরুতা) যথেষ্ট বলেছেন। আবার কারো কারো মতে, যাকে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন তার কল্যাণ বিবেচনা করার মত যোগ্যতা থাকলেও চলবে।

শেষ কথা:
প্রিয় ভিউয়ার্স আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ ।আশা করি আজকের আমাদের এই পোষ্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে ।ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করে আমাদের জানাবেন। নতুন কোন তথ্য পাওয়ার জন্য নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আর আমাদের এই পোস্টে কোনো ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।