রমজান মাস সারা বছরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ:
নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কসম! মুসলমানদের জন্য রমজানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমজান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনরা এ মাসে (সারা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনিমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৮৩৬৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বনকারী হতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)
রমজান মাসের ফজিলত:
রোজা পালনের মাস
এই রমজান মাস ধরে রোজা পালন করা ফরজ রোজা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয করা হয়েছে তাই রমজান মাসে রোজা পালন করা সবার জন্য উত্তম রমজান মাসে জীবনের সব গুনাহ থেকে মুক্তি লাভ করা যায় রমজান মাসে এক টাকা দান করলে 70 টাকা সব পাওয়া যায়।
কুরআন নাযিলের মাস
রমজান মাস এই পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে তাই এই রমজান মাসের ফজিলত অনেক বেশি রমজান মাসে পবিত্র কুরআন নাযিল হওয়ার কারণে এই মাসকে রহমতের বার্তাবাহী বলা হয়ে থাকে।
লাইলাতুল কদর
রমজান মাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল কদরের রাত্রি হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে অতি উত্তম রমজান মাসের শেষ দশদিনের বেজোড় রাতে যেকোনো রাতে এই লাইলাতুল কদর পালন হয়ে থাকে এই রাতে মানুষ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে পারে যার ফলে প্রত্যেক মানুষের পাপ সমূহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিয়ে থাকেন।
গুনাহ মাফ
রমজান মাসে যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে নেক নিয়ত করে রোযা পালন করবে তার পিছনের সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সোয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরের ইবাদত করবে তারও পিছনের জীবনের সমস্ত গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিবেন।
জান্নাত লাভ
রমজান মাসে যে ব্যক্তি নিয়মিত রোযা পালন করবে তার জীবনের সব গুনাহ মাফ হবে অন্যদের উত্তম ও ভালো কথা বলে মানুষকে খাবার দান করে নিয়মিত রোজা পালন করে এবং অন্য মানুষ যখন রাত্রে ঘুমিয়ে থাকে তখন সে নামাজ আদায় করে এই সকল ব্যক্তিদের রোজার মাধ্যমে জান্নাতের সম্মান বৃদ্ধি ঘটে। রমজান মাসে নিয়মিত দান খারাপ করবে নেক নিয়ত সারা মাস রোজা পালন করবে ।সে ব্যক্তি জান্নাত লাভ করবে।
জাহান্নামীদের মুক্তিদান
রমজান মাসে সকল মৃত ব্যক্তির কবরের আযাব বন্ধ থাকে রমজান মাসের আগমন হলে জাহান্নামের আজাব হয় না রমজান মাসে জাহান্নামের সকল দরজা বন্ধ থাকে এবং জান্নাতের সকল দরজা খুলে দেওয়া হয় নবী করিম সল্লালাহ সালাম বলেছেন রমজান মাস আগমন করলে জাহান্নামীদের মুক্ত করে দেয়া হয়।
রমজানে দান-খায়রাত বেশি করা
নবী কারিম (সা.) এমনিতেই প্রচুর দান করতেন। আর এ মাসে দানের পরিমাণ আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলে আকরাম (সা.) ছিলেন মানুষের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। তার দানশীলতা অধিকতর বৃদ্ধি পেত রমজান মাসে; যখন জিবরাঈল (আ.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। জিবরাঈল (আ.) রমজানের প্রতি রাতে আগমন করতেন এবং তারা পরস্পর কোরআন শোনাতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) তখন কল্যাণবাহী বায়ুর চেয়েও অধিক দানশীল। (মুসলিম, হাদিস : ২৩০৮)
হজের সওয়াব লাভ
এই মাসে কোন ভাল কাজ করলে তাকে সেই অন্য মাসের তুলনাই ৭০গুন বেশি সুয়াব তার আমল নামায় লেখা হয়। রমজান মাসে উমরা পালন করা অন্য মাসে হজ পালন করার সমান সওয়াব।
আল্লাহর যিকর করা
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘‘আল্লাহ তা’আলা চারটি বাক্যকে বিশেষভাবে নির্বাচিত করেছেন, তাহলো যে ব্যক্তি পড়বে, তার জন্য দশটি সাওয়াব লেখা হয়, আর বিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি পড়বে, তার জন্য বিশটি সাওয়াব লেখা হয়, আর বিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়।