বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আপনার সন্তান রেজাল্ট খারাপ করে? এখনি জেনে নিন পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর ১১ টি টিপস নিয়ে ।যারা আপনার সন্তান রেজাল্ট খারাপ করে? এখনি জেনে নিন পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর ১১ টি টিপস খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে আপনার সন্তান রেজাল্ট খারাপ করে? এখনি জেনে নিন পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর ১১ টি টিপস নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাই আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ুন। এবং নিত্য নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
সন্তানের সফলতা নিয়ে কিছু কথা:
প্রতিটি মানুষ এই তার জীবনের সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে চাই। বর্তমান সমাজ সফলতা যার থাকে না তাকে কেউ পছন্দ করে না। তাই সবাই জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য চেষ্টা করেন। সাফল্যের জন্য অনেককেই অনেক রকমের কষ্ট করে থাকেন। জীবনে সাফল্য অর্জন করার ক্ষেত্রে বাবা-মার ভূমিকা বিশেষ করে বেশি থাকে। সকল বাবা-মাই চান তাদের সন্তান যেন জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। প্রতিটি বাবা-মার স্বপ্ন থাকে তাদের তাদের সন্তানের সাফল্য দেখে তারা যেন গর্ববোধ করতে পারেন। সমাজে মাথা উঁচু করতে পারেন। কোন বাবা-মাই চান না সমাজের কাছে তাদের সন্তান হয়েও হোক। বর্তমান সময়ে সব বাবা মায়ের চায় তাদের সন্তানকে শিক্ষিত করে করে তুলতে। আর এছাড়াও এখনকার দিনে অনেক বাবা-মায়ের শিক্ষিত হন। আর তারা তাদের সন্তানের জীবনের সাফল্যতার জন্য ছোটবেলা থেকেই কিছু শিক্ষা দিতে চেষ্টা করেন। অনেক বাবা মাই আছেন তাদের সন্তানের কথা চিন্তা করে নেটে সার্চ করে থাকেন নতুন নতুন কিছু টিপস পাওয়ার জন্য। যা কাজে লাগিয়ে তাদের সন্তানকে তারা ভালোভাবে শিক্ষা দিতে পারেন। আজকে আমি ঐ সকল বাবা-মার উদ্দেশ্যে কিছু শিক্ষা মূলক টিপস আলোচনা করব। আশা করি এই আলোচনা আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনাদের সন্তানদের জীবনের সাফল্যতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর ১১ টি টিপস:
শিশুর ভালো রেজাল্টের জন্য অনেক বাবা-মা নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। যদিও শারীরিক শাস্তি কিংবা মানসিক চাপ দেওয়া কোনো শিশুর জন্যই ভালো নয়। তাহলে শিশুর পড়াশোনার উন্নতির উপায় কি? এ লেখায় রয়েছে কিছু দারুণ উপায়, যা বাস্তবে মেনে চলতে পারলে সহজেই শিশুর পড়াশোনায় উন্নতি করা সম্ভব হবে।
১. আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষাঃআপনার শিশু কোন উপায়ে শিক্ষা গ্রহণে সবচেয়ে আনন্দ পায় তা জেনে নিন। অনেক শিশুই শিক্ষার পাশাপাশি গান, নাচ, অঙ্গভঙ্গি, অভিনয়, আঙুল গননা কিংবা ভিন্ন কোনো উপায়ে খুব ভালো শিখতে পারে। তাই আপনার শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি কোনটি তা জানুন ও শিক্ষায় কাজে লাগান।
২. শিক্ষা বিনিময়ঃ শুধু পাঠ্যবইতেই শিশুকে সীমাবদ্ধ রাখবেন না। আপনার শিশু কোন কোন বিষয় শিখল তা তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। এ বিষয়ে নিজের জ্ঞান থাকলে তাও তাকে জানান। এভাবে পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ে আপনার সন্তান সহজেই শিক্ষালাভ করতে পারবে।
৩. ইউটিউবে শিখুনঃ ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব শুধু বিনোদনের বিষয় নয়। ইউটিউবে রয়েছে অসংখ্য শিক্ষামূলক ভিডিও। বহু মজার উপায়ে কঠিন সব সূত্র শিখতে চাইলে ইউটিউবে অনুসন্ধান করুন এবং আপনার সন্তানকে তা দেখান।
৪. নিজেও শিখুনঃ শুধু সন্তানকে শিক্ষা দিলেই হবে না, নিজেও শিখে নিন। সন্তানের সঙ্গে নিজে পড়াশোনা করুন। এতে সে দারুণ উৎসাহিত হবে।
৫. বিভিন্ন মাধ্যম একত্রিত করুনঃ আপনার সন্তানের শিক্ষার জন্য শুধু একটি বই যদি বারবার পড়তে হয় তাহলে তা একঘেয়ে হয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য একত্রিত করুন।
৬. সঠিক স্থান বাছুনঃ শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন সব বিষয় শিশুর পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। তাই পড়ার টেবিলটি এমন স্থানে বসান যেখানে রেডিও কিংবা টিভির মতো মনোযোগ নষ্ট করার উপাদান নেই।
৭. উৎসাহ ও প্রশংসাঃ উৎসাহ ও প্রশংসার পেলে শিশু পড়ুয়াদের পড়াশোনায় আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই সর্বদা তাদের উৎসাহ দিতে ভুলবেন না। সামান্য উন্নতিতেই প্রশংসা করুন।
৮. ছাড় দিনঃ পড়াশোনার জন্য যখন শিশু ব্যস্ত তখন অন্যান্য বিষয়গুলোতে ছাড় দিন। পরীক্ষা সারাবছর থাকবে না, এ বিষয়টি নিজে মানুন এবং তাকেও জানিয়ে দিন।
৯. সময় ভাগ করুনঃ কোনো রুটিন ছাড়া পড়াশোনা করলে তা সঠিকভাবে কাজে নাও লাগতে পারে। আবার শিশুদের সঠিকভাবে রুটিন মেনে চলা কঠিনও হতে পারে। তাই শিশুর জন্য পড়ার সময় ভাগ করে দেওয়া উচিত আপনারই।
১০. পুরো পরিবারকে সঙ্গে নিনঃ শিশুর পড়াশোনার সহায়তার জন্য পুরো পরিবারকেই এগিয়ে আসা উচিত। বাসার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পড়ার বিষয় টাঙ্গানো, ডিনার টেবিলে অংকের সূত্র লাগিয়ে দেওয়া ইত্যাদি তাকে পড়াশোনায় এগিয়ে নিতে পারবে।
১১. অগ্রগতি খেয়াল রাখুনঃ শিশুর পড়াশোনায় অগ্রগতি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কোনো সময় সে অমনোযোগিতা বা অন্য কোনো কারণে পিছিয়ে গেলে পরবর্তীতে তা পূরণ করা কঠিন হবে।
শেষ কথা:
পাঠক বন্ধুরা আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার সন্তান রেজাল্ট খারাপ করে? এখনি জেনে নিন পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর ১১ টি টিপস আলোচনা করেছি। আশা করি, এই আর্টিকেলে আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………