বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি ।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আপনার সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার কিছু টিপস নিয়ে ।যারা আপনার সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার কিছু টিপস খুঁজছেন তাদেরকে আমার এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।আমি আজকে আপনাদের সাথে আপনার সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করব।আশা করছি আজকের এই আলোচনা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
আপনার সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার কিছু টিপস:
প্রিয় ভিউয়ার্স আপনারা যারা সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার জন্য নেটে সার্চ করে থাকেন। তাদের জন্য আজকে আমি উপস্থিত হয়েছি কিছু টিপস নিয়ে ।আশা করি এই টিপস গুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
1.পড়াশোনা করার জন্য এটি সহজ রুটিন তৈরি করে দিন তাদের।রুটিং থাকার কারণে অতিরিক্ত সময় ধরে পড়াশোনা করার চিন্তা থাকবে না তাদের মাথায়। ঘন্টার পর ঘন্টা না পড়াশোনা করে মাঝে যদি কিছুক্ষণ ব্রেক নেওয়া যায়, তাহলে পড়াশোনার ব্যাপার নিয়ে একঘেয়েমি কাজ করবে না।
2.অমনোযোগীতা আনতে পারে এমন সব বিষয় মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আপনার পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু হাতের কাছেই রাখুন যাতে বারবার উঠতে না হয়। অনেকের বারবার ফোন আসে পড়ার সময়।খুব বেশি দরকার না হলে ফোন বন্ধ করে রাখতে পারেন। পড়তে বসার অন্তত ৫ মিনিট আগ থেকে মনস্থির করুন।
3.পড়াশোনা করার জন্য একটি শান্ত হোক অথবা আরামদায়ক জায়গা র ব্যবস্থা করে দিন। এমন একটি জায়গায় তার পড়াশোনার ব্যবস্থা করুন যেখানে বারবার বাইরের লোক যাওয়া আসা করবে না। বারবার তাদের কেউ যাওয়া-আসা করলে মনোযোগ সহকারে পড়া যায় না।
4.আপনি যে বিষয় পড়বেন সেটা অন্য কাউকে শিক্ষা দিন।এমন কাউকে যে সে বিষয়টা সম্পর্কে জানেনা। শিক্ষকতা নিজের জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে উত্তম উপায়। যেমন- আপনি যদি গণিত কম বোঝেন বা গণিত নিয়ে পড়তে চান ভবিষ্যতে আপনার উচিত এখন থেকেই গনিতের উপর শিক্ষা দান করা অন্যদের। এতে আপনার নিজেরও চর্চা থাকবে বিষয়টির উপর।
5.পড়াশোনা করার সময় মনোযোগ নষ্ট করে এমন কিছু জিনিস তার কাছ থেকে দূরে রাখুন টিভি অথবা রেডিও চলে এরকম ঘর থেকে দূরে তার পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিন। এছাড়া বারবার তার পড়াশোনার ঘরের কাছে গিয়ে কথা বলবেন না।.
6.পড়ানোর সময় একই পড়া বারবার না পড়িয়ে ভাগ ভাগ করে চ্যাপ্টার পরানোর চেষ্টা করুন। এপারে বাচ্চার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।
7.এমন কিছু সহজ পন্থা থাকে বলে দিন যার সাহায্যে সে পড়াশোনা খুব তাড়াতাড়ি মুখস্থ করতে পারে। যেমন যদি ছোট বাচ্চা হয়, তাহলে ছবি এঁকে তাকে পড়াশোনা করানোর চেষ্টা করুন। বাচ্চা যদি বড় হয়, তাহলে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নোট করে রাখার চেষ্টা করুন।
8.যখন কোন বিষয় পড়বেন তখন নিজের একটা আলাদা রীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন আর বিষয়টির একটি ছবি আপনার মনের মধ্যে এঁকে নিন। এতে বিষয়টি আপনার খুব সহজেই মনে থাকবে।
9.পরীক্ষার আগে কিছুদিন পড়লে আপনার মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়তে পারে। তাই সবসময় অল্প অল্প পড়ার মাঝে থাকবেন। এতে করে আপনার উপর কোন মানসিক চাপও থাকবেনা আর আপনি পরীক্ষার আগে একটু রিভিশন দিলেই আপনার হয়ে যাবে।
10.সবসময় প্রশংসা অথবা পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখুন। পরীক্ষা নিয়ে যদি ভালো নম্বর পায়, তাহলে তাকে যে কোনোভাবে পুরস্কৃত করুন। কোন খেলনা অথবা খাবার জিনিস পেলে বাচ্চারা পড়াশুনার প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে।
শেষ কথা:
আশা করি, এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আর কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টা করি আপনাদের সামনে ভালো একটি আর্টিকেল পেস্ট করতে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ………………